একটা মধ্যবিত্ত স্বপ্ন লালন করে বেড়ে ওঠা আর ক্রমাগত নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা। জীবনটাই অনেক বিচিত্র। থেমে থাকে বেশিরভাগ সময় ঠিক এখনকার শুক্রবারের ঢাকা শহরের জ্যাম এর মতো। অকারনে থেমে থাকে! আর এই থেমে থাকা অবয়ব টা ঘিরেই কিছু সাদাকালো স্বপ্নরা বাস্তবতার অলি-গলিতে ক্রমশ ডাল-পালা বিস্তার করে। নাহ, বিস্তার করে না বলে বরং বলা ভালো যে মুখ থুবড়ে পরে থাকে।
বৈষম্যের বাস্তবতায় তারা হালে পানি পায় না। বিবর্ন স্বপ্নরা এক সময় পথভ্রষ্ট হয়। অন্ধকারে তারা তাদের পথ খুঁজে নেয়। অন্ধকারের আলো গায়ে মেখে তারা আবার স্বপ্নের গায়ে রং মাখায়।
"মুক্ত" বাবা মা'র ছোট ছেলে, অনেক আদরের সন্তান।
আদরে বাঁদর হয় নি (ঠিক ডা: আইজুর মতো---উইথ ডিউ রেসপেক্ট) তবে যা হয়েছে সেটা আরো বেশী ভয়ঙকর। নিজেকে চেনার মানসিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে তার প্রচন্ড জিদ আর একগুয়েমির কাছে। বাবা মা শখ করে নাম রেখেছিলেন যেন সকল অশুভ শক্তি আর অশুভ চিন্তাধারার পথচলা থেকে যেন সে মুক্ত থাকে।
পড়াশোনায় ভালো, মানে মধ্যবিত্ত মানের আরকি। প্রথম যৌবন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ আর ক্রিকেটই ছিলো তার একমাত্র পথচলা।
একটা নির্দিষ্ট সমান্তরাল পথ। থাকেনি বেশিদিন সমান্তরাল। নিজেকে প্রকাশ করার মানসিকতার বদলে ক্রমে গুটিয়ে নিতে থাকে নিজেকে নিজের মাঝে।
সারারাত নির্ঘুম থেকে ধূসর পিচে বল বাউন্স করানোর চিত্র কর্ম বেশিদিন আঁকা হয়না তার। পরদিন খেলার মাঠে কি হবে এই কথা ভেবে উত্তেজনায় ভরা রাতগুলো ক্রমশ ফ্যাকাশে হয়ে যায় তার।
গাঢ় অন্ধকারের প্রলেপ পরে স্বপ্নের ক্যানভাস আর রং তুলিতে। পরম যত্নে মুছে ফেলা হয় না আর। এমন কুৎসিত অন্ধকারের প্রতিটি কালো আস্তরনের নিচে চাপা পরে তার ভালোলাগা, ভালোবাসা আর মানবতাবোধ। নিজের অক্ষমতার হাহাকার গুলো অন্ধকারের বাইশ গজে প্রতিনিয়ত বাউন্সার হয়ে যায়। বেসামাল স্বত্তাকে বারবার মাঝ নদী থেকে স্রোতের বিপরিতে কিনারে নিয়ে আসে, নোঙর ফেলা হয় না কখনো।
নিজের কাছে হেরে যায় বারবার।
কিন্তু যে প্রবল স্রোতের বিপরিতেও নিজেকে নিয়ে আসতে পারে সে কেন বারবার একই ভূল করতে থাকে???
নিজের মনে প্রতিনিয়ত একই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তার। সেও নিজেকে নিয়ে ছুটতে চায় কোন বিশ্বস্ত পথে। ঘোরলাগা পথ ছেড়ে কোন এক সমান্তরাল পথে অথবা হোক সেটা আঁকাবাঁকা আর অমসৃণ, নিজের জায়গাটুকু ঠিকই গুছিয়ে নিবে তার দু:খের সারথী দের পাশে নিয়ে।
ঠিক যেন ---
" চলে এসো সব দু:খের সারথি
দু:খের ভোরে
একই স্রোতে মিলেমিশে" (রেসপেক্ট: জেমস)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।