ব্লগ লিখার মত অনেক টপিকস মাথায় আসে, কিন্তু লিখতে ইচ্ছা করে না... তবে কমেন্ট করতে ভাল লাগে... বিগত দশক জুড়ে বাংলাদেশের পুলিশের পাশবিক দিকটি বারবার ই প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে, প্রশ্ন বিদ্ধ এই ঘটনা গুলো এতদিন মন্ত্রনালয়ের টেবিলে টেবিলে ফাইল বন্ধ পরে থাকায় সাধারন জনগন তা জানতে পারে নি, তবে তথ্য প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে এসে যখন এই ঘটনাগুলো প্রচার মাধ্যম গুলোতে ফলাও ভাবে প্রচারিত হচ্ছে তখন প্রশ্ন জাগে আমাদের পুলিশ এত অমানবিক আচরনের সাহস কোথায় পায় ? আগে লোক চোখের অন্তরালে এই জঘন্য কাজ গুলো হত, কিন্তু এখন তো প্রকাশ্যেই হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের সামনেই ৬ জন ছাত্রকে আমিনবাজারে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, আব্দুল কাদিরের মত কত নিরপরাধ ছাত্র-জনগণ কে তো অহরহ মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছেই, কোম্পানিগন্জে দিনে-দুপুরে এক তরুণকে জনগনের হাতে তুলে দেয়া হলো মারার জন্য, এর আগে নোয়াখালির ই অপর এক অন্চলে গণধোলাইয়ের পর ডাকাত দলের জীবিত সদস্যদের মৃত ঘোষনা করে তাদের মৃত্যু যন্ত্রণাকে প্রলম্বিত করা হোল, এছাড়াও পুলিশের প্রত্যক্ষ - পরোক্ষ সংশ্লিস্টতায় নানা রকম সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটছে তাতো কারই অজানা নয়্। কিন্তু সরকার ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় সবসময় ই এই ব্যাপারে উদাসীন্, কারন আর কিছুই না, রাজনীতির কালো-ছায়া এই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কে হয়রানীর কেন্দ্রে পরিনত করেছে, দলীয় নেতা কর্মীদের এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া, প্রশাসনের রমরমা ঘুষ বানিজ্য এই জন্য দায়ী, এই পুলিশকেই বিগত দুই দশকে বিরোধি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হয়েছে, এর ই ধারাবাহিকতায় খোকা, নাসিম্, মতিয়ার মত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশি এই নির্যাতন যেনো আযান দিয়েই শুরু হয়েছে, এনি, ফারুক সহ অন্যান্য বিরোধি দলীয় নেতাদের যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা পুলিশের ভুমিকাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তাছাড়াও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ গুলোতে পুলিশ সব সময়ি মারমুখী ভুমিকায় থাকলেও এদানিং তা পৈশাচিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, এই সরকারের আমলে পত্রিকা ও টি ভি চ্যানেলে পুলিশের যে মারমুখি রোপ দেখা যাচ্ছে তা সবার পিলে চমকে দেয়্, গত তিন দিনে হরতাল সমর্থক কে মাটিতে ফেলে ১/১১ এর মত লাঠি দিয়ে পিটানো ও বুকে-মুখে পুলিশের বুটের লাথি মারার মত মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে, যা অতি অগ্রহনযোগ্য ও অমানবিক্। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত প্রসাশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা, নয়তো শেখ হাসিনার উপর চালানো গ্রেনেড হামলায় যেমন পুলিশের শীর্ষস্থানিয় কর্তা-ব্যক্তিরা জড়িত ছিল তা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে।্
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।