যৌন হয়রানি সহ্য করতে না পেরে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার বিকালে মাধবপুর উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে আবদুল আউয়াল গত এক বছর যাবৎ কলেজে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে শিমুল নাহারকে উত্ত্যক্ত করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার সকালে শিমুল নাহার তার বান্ধবী ইতি দাশকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেয়ার জন্য উপজেলা সদর ডাকঘরে যায়। এ সময় শিমুল খামের পাশে মোবাইল ফোন রেখে খামের ওপর ঠিকানা লিখছিল।
আউয়াল পেছন দিক থেকে শিমুলের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। তখন সে প্রতিবাদ করলে আউয়াল তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। পরে শিমুল বাড়িতে ফিরে তার বাবা-মাকে বিষয়টি অবহিত করে। শিমুলের মা রাশিদা বেগম গ্রামের মাতবর ধনু মিয়া, গফুর মিয়া, দিদার মিয়া, মাশুক মিয়া, সাবেক মেম্বার আবেদুর রহমান আবেদন, বর্তমান মেম্বার লাফু মিয়াকে ঘটনাটি জানান। আবদুল আউয়াল প্রভাবশালী হওয়ায় মাতবররা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে বখাটে আবদুল আউয়াল শিমুলের পরিবারের মোবাইলে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে শিমুলকে তার কাছে বিয়ে না দিলে তার মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডে রক্ষিত ছবি নগ্ন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এ কথা শুনে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার বিকালে শিমুল সবার অগোচরে বিষ পান করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ খুর্শিদ আলম জানান, আবদুল আউয়াল এলাকার চিহ্নিত বখাটে।
তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (সার্বিক) মঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। বখাটে যুবককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।