আলো হয়ে ছুঁয়ে দাও আকাশ !!
চটপটি নামটা শুনলে জিহবায় পানি আসে না এমুন কাইস্টা মানুষ আশা করি দুনিয়ায় খুব কম-ই আছেন! তবে ঝামেলার কথা হলো এইটা বানানো-ই একটা বিশাল ঝামেলা ! যেইখানে প্রোবলেম সেইখানেই সমস্যা আর কি ! বাবা মা প্রায়-ই বাচ্চাদের এইটা কিনে খাওয়ায়, আমরা বুড়ো মানুষেরাও বানাতে কষ্ট লাগে দেখে প্রায়-ই কিনে খাই !! টাকা দিয়ে কিনে খাই বলে মজা না হলেও বলি অনেক মজা !: আবার অত্ত ঝামেলা করে বানানোর-ও সময় বা ধৈর্য্য সব্বাইরে ভগবান দেয় না !! সাধে কী আর কই, ভগবানের লীলা বুঝা বড় ভার !
ত আসুন দেখি আজকে এট্টু টেরাই মারি ! বাসায় বসে, নিজের হাতেই চটপটি বানাই! খুব সহজে-ই !
উপকরনঃ
যেসব উপকরন লাগবে---
বুটের/মটর ডালঃ
আধাকেজি ডাল, চটপটি রান্না করার আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বুটগুলো ফুলে সন্দেশ আকার নিলে, অল্প হলুদ আর আধা চা-চামচ পরিমান লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধবুটগুলো কে এইবার চটপটির জাতে তুলতে, একটি পাত্রে এক্ টেবিল চামচ পরিমান সয়াবিন তেল দিন, গরম হলে তাতে অল্প পেয়াঁজ কুচি, রসুন বাদামি করে ভাজুন, তারপর আস্ত কয়েকটা কাচাঁ মরিচ, অল্প মাংসের মসলা, খুব-ই অল্প হলুদ, মরিচ আর জিরার পেস্ট দিয়ে মসলাটুকু ভুনা করতে থাকুন খয়েরী রঙ ধরা পর্যন্ত। রঙ হয়ে আসলে সিদ্ধ ডাল ঢেলে দিয়ে নাড়ুন, ২-৩ টা সিদ্ধ গোল আলু চটকে দিয়ে দিন বুটের সাথে এবং সম্ভব হলে মাটির ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পরে নামিয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন, চটপটির ডাল আর ঝোল যেন সমান সমান হয়! তো চটপটি জাতে উঠে গেলো !!
এইবার এই রান্না করা বুটকে মুখ রুচক করতে হবে! আর মোটা মুটি এইটা করতে গিয়ে আপনার মেরুদন্ড ব্যথা হয়ে যাবে !! অধিকাংশ মানুষ এই কষ্টের ভয়ে চটপটি বানাতে চায় না !
তারপরও যথাসম্ভব সহজ করে লিখেছি।
চাই স্বাদ ও চাহিদা অনুযায়ী পিয়াঁজ কুচিঃ
চাই জিহবার ঝাল সহ্য করার ক্ষমতা ও রুচিমত কাঁচামরিচ কুচিঃ
লাগবে সিদ্ধডিমের কুচিঃ
চাই সালাদঃ
সালাদ যোগ করতে পারেন, ইচ্ছামত। শসা, টোমাটো, গাজর অথবা বীটের সালাদ হতে পারে। আমি এইখানে শুধু শসার কুচি যোগ করেছি।
চাই,সস! যেইটা না দিলেই না ! সস চাই-ই চাইঃ
তেতুলের সস নিজেই বানাতে পারেন, আমি নিজেই করি।
তেতুলের সাথে পানি মিশিয়ে, তাতে অল্প নুন আর ধনে পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সাধারন লবলের পরিবর্তে বীট লবন ব্যবহার করতে পারেন, আর কেউ কেউ আমার মত টকের সাথে অল্প চিনি এবং ভাজা শুকনা মরিচের গুড়ো দিতে পারেন, এতে সস খুব মজা হয় খেতে !
চাই স্বাদবুঝে বীট লবনঃ
আর চাই মচমচে নিমকি ভাজাঃ
তো হয়ে গেলো সব উপকরন রেডি, চলুন এইবার সাজাই--
একটা বড়পাত্রে প্রথমে বুটগুলো ঢালুন, তারপর পিয়াঁজ-কাচাঁমরিচ কুচি ছড়িয়ে দিন। অতঃপর ডিমের কুচি, ধনে পাতা বা পুদিনা পাতার কুচি, সালাদ দিয়ে, সস দিন, বীট লবন দিন আর সবশেষে নিমকির গুরো ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন ! ব্যস হয়ে গেলো !
তো আজ এই পর্যন্ত-ই থাক ! শেষ হইয়াও হইলনা শেষ !
তবে মনে রাখবেন, চটপটি এতকিছুর পরও মজা নাও হতে পারে !! এর জন্য চাই প্রেকটিস !! চাই রান্নার সাথে প্রেম !! যাদুটা অই অখানেই !! মানে, রাধুনিঁ মসলায় নয়, আসল যাদুটা আপনি আর আপনার রান্নার কৌশলের মধ্যকার বুঝাবুঝির উপড়েই!!
ভালো থাকুন--নিজের হাতে রান্না করুন, সব্বাইকে যাদু করুন! হৃদয়ের টান বড় টান ! রান্না এইখানে দড়ি হিসাবে কাজ করে !!
মনে রাইখেন, যে রাধেঁ, সে চুলও বাধেঁ !! সে আপনার মাথায় বয়কাট থাকুক !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।