হরর মুভি গুলোতে যে ভাবে শয়তান, ভূত কিংবা দানবেরা মানুষের
রক্ত মাখা কলিজাকে খুটে খুটে খাওয়া শুরু করে ।
বাস্তব জীবনে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও, এমন কাজটি করতে কেমন
জানি দ্বিধা করছি না,
মানুষ এত হিংস্র হতে পারে ! যা কিনা বন্য পশু বাঘ কিংবা সিংহ কেউ
হার মানাবে । এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায় ।
গত একমাস পূর্বে রৌমারী উপজেলার ৫নং যাদুরচর ইউনিয়নের কর্ত্তিমারী
বাজার থেকে মাত্র কোয়াটার কিলোমিটার গোলাবাড়ি গ্রামের পশ্চিমে
সোনাভরি
নদীর সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে কিডনি, যকৃত,ও মানব দেহের মুল্যবান
অঙ্গ বিক্রেতার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। মূল নায়ক আগেই
চপট দিয়েছে এলাকা ছেড়ে ।
নায়কের বাবা পালানোর সময়
জামালপূর জেলার সানন্দবাড়ী বাস স্টপ থেকে এলাকা বাসি
ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ।
মানব দেহের অঙ্গ বিক্রেতার নায়ক *** মোঃ আজাদ*** পিতাঃ মোঃ মন্জিল হোসেন**
মন্জিল হোসেনকে নিয়ে পুলিশ তার বাড়িতে গেলে, বাড়ির নীচ তলা হতে
৫০টির বেশী ধারালো তোলোয়ার ও ছোট ছোট ছুড়ি চাকু খুজে পায় । এখানে
প্রকাশ থাকে যে কাউকে হত্যা করতে একটির বেশী তোলোয়ার ব্যবহার
করেননি বলে তার বাবা জানিয়েছে । ৫০টির মধ্যে বাইশ, তেইশটিতে
রক্ত মাখা ছিল ।
এই থেকে বুঝা যায় তারা ২২/২৩ টির হত্যার নায়ক ।
মৃত খয়রাত
নামক হোটেল মালিকের ছোট ছেলেকে হত্যার পর ঘটনাটি প্রকাশ পায় ।
তবে আজাদ ও তার বাবা কত জন লোকের হত্যকারি তা অনুমেয় নয়,
কারণ তারা শুধু মানব দেহের অঙ্গ নয়, চরশ গাজাঁ ও বিক্রি করতো ।
ঢাকা কিংবা অন্যশহর থেকে গাজাঁ কিনতে তাদের বাড়িতে আসতো,
প্রথম দু একবার তারা কিছু করতো না পরবর্তিতে ক্রেতা মোটা
অংকের টাকা আনলে সন্ধার পর তাদের চাএর সঙ্গে তুত মিশায়ে
অবস করে ফেলতো এবং জীবিত মানুষকে কেটে তাদের
অঙ্গ আলাদা করে ফেলতো । জীবিত মানুষ গুলোকে কাটার সময়
শুধু তাদের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতো আর এক সময় তারা
নিস্তেজ হয়ে পর পারে চলে যেত । কিন্তু চায়ের সঙ্গে তুত খাওয়ার
কারণে তাদের প্রতিরোধ হ্মমতা হারিয়ে ফেলতো বলে মন্জিল
হোসেন জানান ।
এই ভাবে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ গুলোকে
আলাদা করতো ফেলতো পাশন্ড আজাদ ।
গভীর রাতে স্পীড বোডে করে আসতো এই অঙ্গ ক্রেতা যমুনা
নদী হয়ে সোনা ভরিতে (শাখা নদী) এসে এই সব অঙ্গ নিয়ে যেত ।
আর রাতের গভীরে তারা
সোনা ভরি নদীর চরে পুতে রাখতো সেই সব মৃত দেহ ।
তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ত্যা সহ এলাকার জনগন জানতে পারেনি,
তারা কতজন লোককে হত্যা করেছে । অবশেষে কংকাল গুলো
নদীর জোয়ার ভাটায় মিশেযেত বালি কিংবা পানির সঙ্গে ।
হায়রে মানুষ টাকার জন্য এমনটি হতে পারে !!!
অনেক প্রতিবেশীরা জিজ্ঞাসা করতো রাত্রে কে এসেছিল ? তারা
জবাব দিত আমাদের আত্বীয় । আজাদের বাবা জবান বন্দিতে
বলেছে ঢাকার নামি দামী ক্লিনিকের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে ।
মূলত আজাদের থাকার ঘরটি ছিল টিনের তৈরী, কিন্তু আজাদ
টিনের ঘরের নীচে মাটি খুদাই করে গোপন আস্তানা তৈরী
করেছিল । কেউ যেন বুঝতে না পারে তাদের এমন রহস্যের কথা ।
বর্তমানে পুলিশ হর্নে হয়ে খুজছে, তবে অনেকের ধারণা আজাদ ভারতে
পালিয়ে আছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।