এক ছোট ভাই নিকটা গিফট করেছেন, এখন থেকে সব লিখা ও কমেন্টের দায় আমার| ২০১২ সালে জাপানে টেলিকাস্ট করা আমার প্রিয় কিছু জেড্রামা নিয়ে এই পোস্ট। সেই সাথে প্রিয় কিছু জেড্রামার ছোট্ট একটা লিস্ট।
*PRICELESS ~There's No Such Thing!~
কেনদাচি নামক ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ঘিরে কাহিনী। একটি কোম্পানিতে একজন মাঝারী মানের একজন কর্মকর্তা কেনদাচি প্রচুর খরুচে জীবনযাপন করে অভ্যস্ত। ভাল চাকরী করার কারনে প্রত্যেকদিন বিভিন্ন জনের সাথে ডেটে যেতে বা অকারনে প্রচুর খরচ করতে তার সমস্যা হয় না।
কিন্তু কারোই সব সময় ভাল যায় না; কেনদাচির জীবনেও ঘটে বড় ধরণের পরিবর্তন। কোম্পানি প্রেসিডেন্ট হঠাৎ মারা যাওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্টের ষড়যন্ত্রে কেনদাচির চাকরী যায়। ঠিক সেই দিনই গ্যাসের বিস্ফোরনে কেনদাচির এপার্টমেন্ট আগুনে পুড়ে যায়; ব্যাংকে যেয়ে আবিষ্কার করে অতিরিক্ত খরুচে স্বভাবের কারনে তার একাউন্টও প্রায় খালি। থাকার জায়গা, টাকা পয়সা সব হারিয়ে তাকে নামতে হয় পথে। শুরু হয় তার নতুন জীবন।
জমজমাট কাহিনী আর নিখুত অভিনয় এই ড্রামাটিকে ২০১২ সালের অন্যতম সেরা জেড্রামাতে পরিণত করেছে। কেনদাচির ভুমিকায় অভিনয় করা কিমুরা তাকুয়া বরাবরের মতই দুর্দান্ত। কিমুরাকে যে শুধু শুধু কিং অফ জেড্রামা বলা হয় না সেটা সে অরেকবার প্রমান করেছে। কিমুরা তাকুয়ার অভিনয় ভাল লাগলে এই ড্রামাগুলাও একবার দেখে নিতে পারেন-
====>A Sleeping Forest
====>Concerto
====>Pride
====>Engine
====>Beautiful Life
====>Karei Naru Ichizoku
====>Long Vacation
====>Love Generation
====>MR. BRAIN
====>Good Luck
====>Hero
====>Sora Kara Furu Ichioku no Hoshi
====>CHANGE
*Boys On The Run
ছোট এক খেলনা প্রস্তুতকারী কোম্পানির এক সাধারণ এমপ্লয়ী তানিসি তসিয়োকি নিয়ে কাহিনী, যে কিনা তার ২৭ বছরের জীবনে কোন গার্লফ্রেন্ডের দেখা পায়নি। শুধু গার্লফ্রেন্ডই নয় যে কোন মেয়েদের ব্যাপারেই তার অভিজ্ঞতা শূন্যের কোঠায়।
তার সময় সে পার করে টেলিফোন ডেটিং ক্লাবের মত ব্যাপার নিয়ে আর অ্যাডাল্ট ভিডিও দেখে। তার কোম্পানিরই এক মেয়ে চিহারুকে সে পছন্দ করে, কিন্তু সেই মেয়েকে প্রপোজ করার সাহসটুকুও তার নেই। কিন্তু একদিন আরেকজনের সহায়তায় ভাগ্যক্রমে তানিসি সেই মেয়েটিরই ডেট পেয়ে যায়। ডেটের দিন ডিনার শেষে ট্রেন মিস করায় তসিয়োকি আর চিহারু বাধ্য হয় লাভ হোটেলের এক রুমে থাকতে। এরপরই ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসে তানিসি তসিয়োকির জীবনধারায়।
মজার মজার ঘটনা আর সুন্দর পরিচালনা এই ড্রামাটিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। কাস্ট মোটামুটি; কিন্তু প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতাকেই বিভিন্ন সময়ে বিরক্তিকর মনে হয়েছে। তবু বলা যায় এই জেড্রামাটি দেখতে বসলে খুব একটা হতাশ হবেন না।
*Great Teacher Onizuka 2012
এটি ১৯৯৮ সালের জেড্রামা GTO -এর রিমেক। কাহিনীর প্রধান চরিত্র প্রাক্তন এক বাইক গ্যাং মেম্বার ওনিজুকা একচি, যে একদিন একটি স্কুলে পার্ট টাইম মালি হিসাবে কাজ করতে যায়।
ঐ স্কুলের এক ছাত্রকে তার উত্যক্তকারী ক্লাসমেটদের থেকে রক্ষা করে ওনিজুকা স্কুলের প্রিন্সিপাল সাকুরাই ইয়োসিকোকে মুগ্ধ করে ফেলে; ওনিজুকার প্রবলেম সলভ করার অদ্ভুত উপায় দেখে ইয়োসিকো ভাইস প্রিন্সিপালের মতের বিরুদ্ধেই ওনিজুকাকে টিচার হিসাবে নিয়োগ করে। ওনিজুকা জানতে পারে তাকে আসলে টিচার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র স্কুলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ক্লাসটিকে সামলানোর জন্য; যেই ক্লাসে কোন টিচারই টিকে থাকতে পারে না।
১৯৯৮ সালের GTO ড্রামাটিও অনেক মজার একটি ড্রামা ছিল; কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে এটি যেন ওরিজিনালকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রধান কারন মনে হয় ওনিজুকা এখন আগের থেকে অনেক বেশী ব্যাডঅ্যাস। যাই হোক কাহিনী, কাস্ট সব মিলিয়ে এটিকে ২০১২ এর অন্যতম মজাদার ড্রামা পরিণত করেছে।
*Hungry!
প্রাক্তন এক রক ব্যান্ড মেম্বার ইয়ামাতে, যে কিনা তার মিউজিক ড্রিমকে ছেড়ে ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নামতে বাধ্য হয় শুধুমাত্র ফ্যামিলি ট্র্যাডিশন ধরে রাখার জন্য। ইয়ামাতের গার্লফ্রেন্ড মারিয়া প্রচণ্ড শকড্ হয় তার এই ডিসিশনের কথা জানতে পেরে, সে তাদের রিলেশনের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে শুরু করে, নিজেকেও সরিয়ে নেয় ইয়ামাতে থেকে দূরে। এই পর্যায়ে কাহিনীতে আসে চিহে যে আগে ইয়ামাতেকে অপছন্দ করত, কিন্তু ইয়ামাতের রান্না টেস্ট করার পর তার মধ্যে ইয়ামাতের প্রতি ফিলিংস জন্মানো শুরু হয়; তৈরি হয় এক লাভ ট্রায়াঙ্গল। এদিকে ইয়ামাতের প্রাক্তন রক ব্যান্ড মেম্বারও তাকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ইয়ামাতে তখনও ঠিক করতে পারে না সে আসলে কি চায়।
ইয়ামাতের রেস্টুরেন্ট, রেস্টুরেন্টকে ঘিরে লোকজন আর ইয়ামাতের বিভিন্ন সমস্যা ফেস করা নিয়েই গড়ে উঠেছে কাহিনী।
২০১২-এর সবচেয়ে এনজয়েবল জেড্রামাগুলোর লিস্ট করতে গেলে প্রথমেই Hungry! ড্রামাটির নাম আসবে। কাহিনী, কাস্ট, পরিচালনা সবকিছুই এখানে সুন্দর ও মানসম্মত। মনোযোগ দিয়ে দেখতে বসলে হতাশ হবেন না এই নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।
*Going My Home
তসুবি রিয়োতা একজন সাধারণ চাকরিজীবী, যাকে লোকে চেনে বড় শরীর কিন্তু ছোট মনের একজন মানুষ হিসাবে।
পারিবারিক জীবন বা কর্মক্ষেত্র কোন জায়গায়ই পুরোপুরি সন্তুষ্ট না থাকা রিয়োতা নিজেকে সান্ত্বনা দেয় “এটাই হ্যাপি এনাফ লাইফ” ভেবে। কাহিনীর শুরু হয় যখন একদিন অন্য সবার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা রিয়োতার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে; তখনই রিয়োতা জানতে পারে তার বাবা অনেকদিন থেকেই কিংবদন্তীর ছোট এক প্রাণীকে নিজের হোম টাউনে খুজে বেড়াচ্ছে। শুরুতে বিশ্বাস না করলেও পরে রিয়োতা এই ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করা শুরু করে; সাথে সাথে চেঞ্জও হতে থাকে তার “হ্যাপি এনাফ লাইফ”।
অসাধারণ স্টোরি আর অনন্য অভিনয় এই ড্রামাটিকে শুধুমাত্র ২০১২ সালই নয়, অনান্য সময়ের সেরা জেড্রামাগুলাও কাতারে ফেলে দিয়েছে। অভিনেতা/অভিনেত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় আবে হিরোসি তো আছেই; তবে আসল চমক হচ্ছে ৯০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইমাগুচি তোমোকোর ব্যাক করা।
অন্যদের পারফর্মেন্সও এই দুই স্টার থেকে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই। নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় এটা অন্যতম সেরা জেড্রামাগুলার মধ্যে একটি যেটি যে কাউকে রেকম্যান্ড করা যায়।
এছাড়াও আমার প্রিয় আরও কিছু জেড্রামা:
*Buzzer Beat
*Love Shuffle
*Tiger & Dragon
*Tokyo Love Story
*Uta no Onii-san
*Boku to Star no 99 Nichi
*My Boss My Hero
*Hito ni Yasashiku
*Nankyoku Tairiku
*Tokujo Kabachi
*Zettai Kareshi
*Mukodono!
*Natsu no Koi wa Nijiiro ni Kagayaku
*HOTMAN
*Orange Days
*Tatta Hitotsu no Koi
*Majo no Jouken
*Kamisama Mou Sukoshi Dake
এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভাল কিছু জেড্রামা খুজে বের করতে সাহায্য করে, তাহলে এখান থেকে জেড্রামা নিয়ে আমার আগের পোস্টটিও দেখতে পারেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।