সবাইকে শুভেচ্ছা... কপি ও পেষ্টঃ
জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির মডেলে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে। আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে যুবলীগের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে রাশিয়া এই ঘোষণা দেয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুইপ মির্জা আজম এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত প্রমুখ।
প্রতিনিধি দল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মেদভেদের পক্ষে তার উপদেষ্টা ড. আসলাম বেগ আসালনভের কাছে এবং প্রধানমন্ত্রী পুতিনের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক সহকারী ইউবি ভি উসকাভের কাছে শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের প্রস্তাবনা হস্তান্তর করে।
জাতিসংঘে ‘জনগণের মতায়ন’ শীর্ষক শেখ হাসিনার শান্তির মডেলের উপর আলোচনার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের একদিন পরই নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া নিরঙ্কুশ সমর্থন এই প্রস্তাবের গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিলো।
প্রস্তাবের সমর্থন দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা আসলাম বেগ বলেন ‘শেখ হাসিনার এই মডেলের ভিত্তিতে আমাদের সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। ’
তিনি বলেন, এটা কেবল একটি দর্শন নয়, এটি হলো মানবতার মুক্তির সনদ। শেখ হাসিনাকে এসময়ের বিশ্বের অন্যতম ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা বলেন, ‘তার কর্মউদ্দীপনা সারা বিশ্বের জন্য উদাহরণ।
’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক, জাতিসংঘে উপস্থাপিত প্রস্তাবে রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত। ’
এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তির মডেলের প্রস্তাবনা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির অফিসে হস্তান্তর করে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন ‘সন্ত্রাস সঙ্কুল বিশ্বে শান্তি আনতে পারে এই মডেল। ’
********************************************************************
শান্তির মডেলঃ
নমুনা ১:
বাংলাদেশের রাজনীতি আগামীতে কোন দিকে মোড় নেবে তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই বিরোধী দলকে আরো কাবু করে ফেলতে চাইছে সরকার। বর্তমানে অর্থনৈতিক টানাপড়েন, বেকারত্ব, বিদ্যুৎ, পানি সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ বিভিন্ন কারণে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংসদ, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ কোথাও ক্ষমতার ভারসাম্য নেই।
সরকারের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতার একাধিক বলয়। এক পক্ষের ভাবনার সাথে অপর পক্ষের কোনো মিল নেই। প্রশাসনে সাবেক বামপন্থীদের দাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এখন কোণঠাসা। কাজের মধ্যেও নেই ন্যূনতম সমন্বয়। এ অবস্খায় জনগণ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বিরোধী দল এ অবস্খায় কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইলে জনগণ তাতে সাড়া দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই বিরোধী দলকে কিছুতেই সে সুযোগ দেয়া যাবে না। আন্দোলন ঠেকানোর মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিই সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।
নমুনা২:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১শ’ জনের এক বিশাল বহর নিয়ে জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল শনিবার নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।
সফরসঙ্গী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত ১২ জনের মধ্যে ৭ জন আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা। ৪ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী এবং অন্যজন গোপালগঞ্জের এক স্কুলশিক্ষক।
নমুনা৩:
দুর্নীতি ও নানা ধরনের কেলেঙ্কারির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটে জড়িতদের ছেড়ে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম ধস সৃষ্টি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাত্কারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করে রিপোর্ট তৈরি করেছে দুদকের অনুসন্ধানী টিম। টিমের প্রতিবেদনে রাঘব-বোয়ালদের বাদ দিয়ে শুধু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাসহ তাদের ৫ আত্মীয়ের সম্পদের হিসাব নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ সুপারিশ পেশের মধ্য দিয়েই শেয়ার কেলেঙ্কারির মূল হোতাদের ধরতে দুদক পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযান শেষ হয়েছে। দুদক সূত্র এ তথ্য জানায়। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধানে দুদক টিম যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। আইন ও বিধি-বিধানের ভেতরে থেকে দুদকের পক্ষে যতটা সম্ভব, তা পরিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দুদক কিছু করতে চায় না।
নমুনা৪:
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবমতে, আগস্টে মূল্যস্ফীতি (মাসভিত্তিক) হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ৪৩ মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর আগে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।