আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট গেদি বড় গেদি (যমজ গেদি) মা আমার চেয়ে বড় গেদিকেই বেশি ভালবাসে। (কাদেঁ মা)

ভাল মন ঐ বাড়িতে যমজ মেয়ে দেখে আসলাম, কি যে সুন্দর এক্কেবারে একই রকম, কোন পার্থক্য নাই। তবে যাই বলি, ০৫ বছর আটখুরে থেকে শেষ পর্যন্ত কালামের দুই মেয়ে হল। বাবার তো খুশির অন্ত নাই খুব কাজের মানুষ, সারাদিন মাছ ধরে রাতে ফিরে মেয়েদের মুখ দেখেই সব ক্লান্তি দূর। অনেক সাধনার ধন্, অতদিন ছোট ভাইয়ের ছেলে মেয়েদের দিয়েই বাবার স্বাদ মিটাইছি, এখন নিজের মেয়ে…সদাইতো আনতেই হয় প্রতিদিন। দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল….বাপের আল্হাদের আর সীমা নেই , যা ছয় পয়সা উপার্জন তা পুরোটাই মেয়েদের ভরনপোষন করতেই শেষ।

তার মধ্যে ৬ বছর পর আবার ছেলের জন্ম। মায়ের ব্যস্ততারতো সীমা নেই, সংসার , এক ছেলে, দুই মেয়ে , ছেলে মেয়ের স্কুল আরও কতোকি? মেয়ে দুটোতো শুধু খাবার পোশাক নিয়েই ঝগড়া, আর সহ্য হয় না। মাঝে মাঝে দুজনকেই মারে। তবে বেশি মার খায় ছোট মেয়ে শারমিন, একটু বেশিই চঞ্চল, একটু বেশিই দুষ্টু, কথাও বলে বেশি। মায়ের সাথেও চাপা কম চালায় না।

কেউ একটা বললে তাকে দশটা শুনিয়ে দেয়। অন্য দিকে বড় মেয়ে পারভীন খুব শান্ত। পাড়ার পড়শীর যত বিপদ এ পাড়া ওপড়া দুজনেই ঘুরে বেড়ায়, যত অনিষ্ট করে ছোটজন দোষ মাঝে মাঝেই গিয়ে পড়ে বড়জনের। দুজনকে আলাদা করাই দায় পাড়াপড়শীরা যদি ওদের নাম মনে রাখতে পারে না, চেয়ে দেখলেই নাম উলটপালট হয়ে যায়। তাই সবার তাদের ছোট গেদি ও বড় গেদি বলে ডাকে যদিও মাঝে মাঝেই জিজ্ঞেস করে নিতে হয়।

তুমি কি ছোট গেদি? মা তো ঠিকই চিনতে পারে, শাস্তি তো ছোট মেয়ে শারমিনকেই দেয়। ছোট মেয়ের বয়স এখন ১২ হলেও সে তার মাকে দেখতে পারেনা এই ভেবে যে তার মা বড় মেয়েকে বেশি ভালবাসে তাই তার মা তাকে যা করতে বলে, সে করে তার বিপরীত। এদিকে মেয়েতো বড় হয়েই চলেছে, বিপদতো বাড়ছে মাকে থাকতে হয় আরও সজাগ, কখন স্কুলে যায় পাড়ার ছেলেরা লাগে পিছু, ছোট মেয়েতো কারও র মানে না। তাই মা তাকে একটু বেশিই শাসন করে, বড় গেদিকেতো কিছু বলতেই হয়না কারণ সে একটু শান্ত স্বভাবের ও ভদ্রনম্র। যদিও দেখা গেছে যমজ ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে ছোটটা একটু বেশি দুষ্টই থাকে।

কিন্তু্ এই দুষ্টমিই যে কাল হয়ে দাড়াবে কে জানে? মেয়ের বয়স ১৫, পড়ে ৮ম শ্রেণীতে , সুন্দরীও কম নয়, পাড়ার ছেলেরাতো পিছু ঘুরবেই। এই ঘোড়াকেই ঠাই দিয়েছে বুকে। ১৭ বছর বয়সী এক অশিক্ষিত বাউন্ডেলে বালকের সাথে তার মন মজিল। কথা চলে ফোনে, রাতে একা একা নির্জনে। পথে ঘাটে বাড়ির চারপাশে দেখা তো হয়ই প্রতিনিয়ত।

একদিন মা তার বুঝতে পারে, এত কষ্টে গড়া ধন আমার, ঐ লাফাঙ্গাটার হাতে তুলে দিব? তাই সে ফোন কেড়ে নেয়, লোকলস্কর দিয়ে বোঝায়, দেয় কিছু শাস্তি। হিতে বিপরীত মরলেও যে ছোট গেদি ভেসে যাবে উজানে তা কে জানিত। মা হলো চোখের বিষ প্রেমিক হলো আশিষ। মায়ের মনে ভালবাসাও কম নয়, গ্রাম্য ভালবাসাতো তাই শিক্ষিত সমাজের মতো প্রকাশ করতে পারে না। কিছু পরেই করে বিয়ে ঠিক ,অনেক কষ্টে টাকা যোগার করে আয়োজন শেষ, বুঝতে পেরে কণ্যা উঠে বসে প্রেমিকের বাড়ি।

জাহির করে বলে লোকের কাছে, মা বা বাবা নেই আমার , তারা মারা গেছেন। মা বাবার দুঃখ রাখার জায়গা নেই, কাদে চুপিচুপি। বলে বেড়ায় এতকষ্ট করে এই লানত ছিল কপালে! *এখনও মেয়ের একই অভিযোগ মা ভালবাসে বড় গেদিকেই বেশি, আমাকে নয়!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।