আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশে রপ্তানী সম্ভব মাসকলাই-এর ডালের বড়ি

সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি মেয়েরা মাসকলাই-এর ডাল থেকে বড়ি তৈরি করে নিজেদের খাওয়ার পরও বাড়তিগুলো বাজারে বিক্রি করে সংসারের আয় বাড়াতে পারেন। মাসকলাই-এর ডাল দিয়ে বড়ি তৈরি করা যায়। শুকনো বড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়, আবার মাছ ছাড়া শুধু সবজি দিয়েও রান্না করা যায়। রান্না করা বড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু। রান্না করার আগে বড়িগুলো সামান্য তেলে ভেজে নেয়া হয় বাজার সম্ভাবনা আমাদের দেশে গ্রাম বা শহর সব জায়গায়তেই ডালের বড়ি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার।

সাধারণত শীত মৌসুমে ডাল দিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। যে কোন লোকের কাছেই বড়ির তরকারী খুবই লোভনীয় খাদ্য। পূর্বে কেবলমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্যই বড়ি তৈরি করা হত। বর্তমানে অধিক চাহিদার কারণে এগুলো বাজারে বিক্রি করা হয়। যে কোন ব্যক্তি বড়ি তৈরির ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

ডালের বড়ি তৈরি করে বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি করা যায়। যেমন- ১. খাবারের দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে। ২. নিজেই কোন দোকান দিয়ে বিক্রি করা যেতে পারে । ৩. অনেক সময় ক্রেতা বাড়িতে এসেই কিনে নিয়ে যেতে পারেন। ৪. নিজের তৈরি খাবারের প্রচার চালানোর জন্য প্রথমে প্রতিবেশীদেরকে জানানো যেতে পারে, স্থানীয় দোকানীর সাথে যোগাযোগ করা যায়।

আবার খাবারের বর্ণনা করে লিফলেটও বিলি করা যেতে পারে। মূলধন আনুমানিক ৭০০-৮০০ টাকা মূলধন নিয়ে বড়ি তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ ডালের বড়ি তৈরি শেখার জন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন নেই। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে ধারণা নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান স্থায়ী যন্ত্রপাতি প্লাস্টিকের গামলা (বড়) ১টি ৫০-২৬০ টাকা শাড়ি/পুরানো টিন ১টি ৩০০-৪৫০ শিল পাটা ১ সেট ১৫০-২০০ কাঁচামাল উপকরণের নাম মাসকলাই ৫ কেজি ২৯০-৩০০টাকা লবণ পরিমাণ মত ৫-৬টাকা পানি পরিমাণ মত মোট=২৯৫-৩০৬ টাকা ডালের বড়ি তৈরির নিয়ম ১ম ধাপ নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

২য় ধাপ ভোর বেলা ডালগুলো মিহিভাবে বেটে নিয়ে এর সাথে পরিমাণ মত লবণ মেশাতে হবে। এরপর একটি গামলার মধ্যে নিয়ে ভালোভাবে ফেঁনাতে (মাখাতে) হবে। ছবি: পানিতে ভেজানোর পর ডাল ছবি: মিহিভাবে ডাল বাটা ছবি: গামলার মধ্যে ডাল মাখানো ৩য় ধাপ মাখানো ডাল একটি পরিস্কার পলিথিনে ভরে এর এক কোণা ছিদ্র করে নিতে হবে। ৪র্থ ধাপ একটি পরিস্কার কাপড় বা টিনে পলিথিনের ছিদ্র দিয়ে মাখানো ডাল বড়ির আকারে শাড়ি/টিনে/বাশের চিক এ বসিয়ে দিতে হবে। ৫ম ধাপ টানা কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে মেপে প্যাকেটজাত করতে হবে।

আগে বাড়িতে মেয়েরা নিজেদের পরিবারের খাওয়ার জন্যই কেবল বড়ি তৈরি করত। তবে বর্তমানে বাজারে চাহিদা থাকায় ব্যবসা হিসেবে বড়ি তৈরি শুরু করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। সচরাচর জিজ্ঞাসা প্রশ্ন ১ : বড়ি কি দিয়ে তৈরি করা হয় ? উত্তর : মাসকলাই-এর ডাল ও চাল কুমডা মিশিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। প্রশ্ন ২ : বড়ি তৈরি করে কোথায় বিক্রি করা যায় ? উত্তর : নির্দিষ্ট মাপে প্যাকেটজাত করে বড়ি বাজারে, মুদি দোকানে, হোটেল রেস্তরায়, সুপার শপে, ইকমার্স এ এমন কি বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।