আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাক ডাকার চিকিৎসা

নাক ডাকা হলো শ্বাসনালীর উপরিভাগের কম্পনজনিত শব্দ, যা ঘুমের সময় শ্বাসনালীর আংশিক বাধাজনিত কারণে নিঃশ্বাস আদান-প্রদানের সময় উৎপন্ন হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রভাবে Obstructive sleep apnea syndrome নামক রোগ সৃষ্টি হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই শব্দ মৃদু আবার কিছু ক্ষেত্রে উচ্চঃস্বর বিরক্তিকরভাবে শব্দ তৈরি হয়। নাক ডাকার কারণসমূহ : মূলত আলজিহ্বা এবং মুখগহ্বরের তালু তে গঠনগত সমস্যার জন্য মানুষ নাক ডাকে এবং Obstructive sleep apnea syndrome-এ আক্রান্ত হয়। নিম্নলিখিত কারণগুলো এর জন্য প্রধানত দায়ী_ স্থূলাকার ব্যক্তিরা যাদের গলগহ্বর এবং শ্বাসনালীর উপরিভাগে চর্বি জমে নালীপথ সরু হয়ে গেলে।

অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান করলে। ঘুমের সময় গলগহ্বর-এর পেশির দুর্বলতা বা টোন কমে গেলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায়। চিত হয়ে ঘুমালে জিহ্বার পেশি শৈতল্য হয়ে জিহ্বা পেছনদিকে সরে গিয়ে শ্বাস প্রবাহের বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে। নাকে পলিপ, নাকের তরুণাস্থি বাঁকা, সাইনাসের প্রদাহ ইত্যাদি থাকলে। চিকিৎসা : শ্বাসনালীর সরুতা প্রতিরোধ করে নাক ডাকা নিরাময় করা যায়।

সরুতা প্রতিরোধে এ পদক্ষেপগুলো অবলম্বন করা যায়_ শরীরের ওজন কমানো। ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা ঘুমানোর পূর্বে নিদ্রা উত্তেজক, ট্রাংকুলাইজার, এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা। একটু উঁচু বালিশে, যে কোনো একপাশে কাত হয়ে ঘুমানো। এরপরেও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয় তাহলে ব্যক্ষব্যাধি এবং নাক, কান, গলার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।