আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের জন্য সুখবরঃ আসন বাড়ছে

অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে এখন মেডিকেলে এমবিবিএস ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কাঙ্ক্ষিত মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে মেধাবীদের অবতীর্ণ হতে হচ্ছে ভর্তিযুদ্ধের কঠিন লড়াইয়ে। আর এজন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি নিতে ভর্তিচ্ছুদের চোখে এখন ঘুম নেই।

তাদের লক্ষ্য স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে নিজের যোগ্যতার জানান দেয়া। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি মৌসুম। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন প্রক্রিয়ায় চলছে ধুম। সব আবেদনই নেয়া হচ্ছে অনলাইনে।

এবার সবার আগে মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর সবক’টি মেডিকেল কলেজের পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সুখবর, এবছর মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজারের অধিক আসন বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিত্সা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা : দেশের সব মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার দেশের সরকারি ২৫টি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৪০টি। এর মধ্যে ২১টি মেডিকেল (এমবিবিএস) কলেজে মোট ভর্তির আসন রয়েছে ২ হাজার ৬৮৬টি। ৪টি ডেন্টাল কলেজে মোট আসন রয়েছে ২৬৫টি।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতিদের জন্য ৮৯টি আসন রয়েছে। এদিকে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের আলাদা ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) : ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণে যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ অক্টোবর। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ৩০ অক্টোবর। অনলাইনে আবেদন পূরণ ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

এরপর ২১ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের, ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের, ১৮ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগ পরিবর্তনকারী ‘ঘ’ ইউনিটের এবং ২৫ নভেম্বর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখে বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে ১৬ আগস্ট শুরু হয়েছে। ফরম উত্তোলন ও জমাদান প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একই দিন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সকাল ১০টা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ অক্টোবর, বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ অক্টোবর এবং বিভাগ পরিবর্তনকারী ইউনিট ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। টেলিটক অপারেটরের মাধ্যমে আবেদন ২২ আগস্ট থেকে নেয়া হচ্ছে।

চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৮ অক্টোবর। চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ২৩ আগস্ট থেকে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ অক্টোবর থেকে। চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। টেলিটক অপারেটরের এসএমএসের মাধ্যমে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ও ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ নভেম্বর। ‘এইচ ১-৩’ ও ‘জি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর।

‘সি ১’ ও ‘সি ২-৩’ ইউনিটের পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর। ‘বি ১’ ইউনিটের পরীক্ষা ২৯ নভেম্বর। ‘ডি ১’ ও বি ২-৫’ ইউনিটের পরীক্ষা ৩০ নভেম্বর এবং ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।

টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুষ্টিয়া) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ নভেম্বর থেকে। চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টেলিটক মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদনপত্র ইন্টারনেটে জমা নেয়া হবে।

আবেদনের শেষ সময় ১৬ অক্টোবর। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ অক্টোবর। ফলাফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন নেয়া হচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ ডিসেম্বর। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে আসন বাড়ছে : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার আসন বাড়ছে। ইউজিসির প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসন বাড়াতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কয়েক বছর ধরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করায় ইউজিসি এই উদ্যোগ নেয়। দেশে বর্তমানে ৩৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ২৯ হাজারের মতো। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আসন সংখ্যা ২০০ বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ বাড়িয়ে প্রায় ৬ হাজার করা হয়েছে। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢুয়েট) প্রায় ২০০ আসন বাড়াবে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৬৫ করা হয়েছে। শাহ্ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ থেকে ১০০টি বাড়িয়ে ১৩৫০ আসন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নতুন যাত্রা শুরু করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এবার এই বিশ্ববিদ্যালয় অনার্সের বিভিন্ন বিষয়ে কমপক্ষে ৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৭৫৫; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই হাজার; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২২০; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬শ’ আসন রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩৮; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫; হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০; মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫০; চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১; রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮৫; নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮০; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩শ’ আসন রয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ আসন রয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনাল এবং রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার আসন রয়েছে।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কিছু আসন বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। ২৫টি মেডিকেল ও ডেন্টালেও প্রায় চারশ’ আসন বাড়িয়ে ৩০৪০ করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে কিছু আসন বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৯৮টি কলেজে অনার্সে ভর্তির আসন রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজারের মতো। দেশে ৫১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার আসন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই প্রকাশিত ১০টি বোর্ডে এবার এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ থেকে জিপিএ-৩ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯১ জন। এছাড়া গত বছর পাস করা প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বারের মতো মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা করবে। এদের সবাইকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি হতে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।