বিশ্বের নিপীরিত মানুষের শত্রু একটাই এবং তদের ধরন একই, এরা রয়েছে অনেক দূরে। এই শত্রুরা রয়েছে যেখানে থেকে পুঁজিবাদী এলিটদের জন্ম, যেখান থেকে এরা সরকার প্রধানদের ব্যাবহার করে তাদের শক্তি প্রেরণ করে, আর ঐ সরকাররা তাদের তাঁবেদারি করে লাভবান হয়। থার্ড ক্লাস শব্দটাতে অনেকের চুলকানি আছে। কেউই বলতে পছন্দ করেন না। বিরক্তি প্রকাশেও শব্দটা বহুল ব্যবহৃত।
খানিকটা আনলাকি থারটিনের মত মাঝে মাঝে অপছন্দের হয়ে যায় এই সংখ্যা। অথচ একজন, যিনি জীবনের কোথাও কখনও প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হননি। সব কিছুতেই তিন নম্বরে ছিলেন তিনি।
তিনি হচ্ছেন আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট। টমাস জেফারসন।
এখন তার গল্পই আপনাদের সামনে আমি উপস্থাপন করছি। তিনি ছিলেন পরিবারের তিন নম্বর টমাস। তিনি ছিলেন পিতামাতার তৃতীয় সন্তান। স্কুলে ভর্তি হন মাত্র তিন বছর বয়স।
১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকা যখন বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে, তখন তার বয়স ছিল মাত্র তেত্রিশ।
পড়া-শুনা শেষ হবার পর তিনি নিউ ইয়র্কের তৃতীয় কমিশনার হিসেবে তিন বছর চাকরি করেন। এরপর অবশ্য তিনি ফ্রান্সে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
চাকরির ধরা-বাঁধা রুটিনে অল্প দিনেই হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি। শুরু করেন রাজনীতি। চাকরি ছারার পর তিনি ওয়াশিংটন স্টেটের তৃতীয় সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি আমেরিকার দর্শন সমিতির তৃতীয় সভাপতি ছিলেন। এরপর নির্বাচনে নেমে আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্টে নির্বাচিত হন।
তিনি জীবনে তিন বারই প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রথমবার ১৭৯৬ সালের মাত্র তিন ভোটের ব্যাবধানে তিনি নির্বাচনে হেরে যান। এরপর ১৮০১ সালে অল্পের জন্য তিনি আরেকবার পরাজিত হন।
সবশেষে, ১৮০৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।
তবে সব ব্যাপারে তিনি তৃতীয় হলেও ঐতিহাসিকরা বলেন, তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন আমেরিকার ছিলেন আমেরিকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ব্যাক্তিদের একজন।
তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, সেরা সৈনিক, নাম করা আইনবিদ, দক্ষ সার্জন পর্যটক, অর্থনিতীবিদ , কবি, আবিষ্কারক, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ, রসায়ন শাস্ত্রবিদ, প্রকৃতি বিশারদ, ইঞ্জিনিয়ার, বিখ্যাত জ্যতির্বিদ, প্রানী বিজ্ঞানী, প্রত্নতত্ববিদ, ড্রাফট্স্ম্যান, শিল্পী, সার্ভেয়ার, অঙ্কশাস্ত্রবিদ, জলবাইয়ু বিশারদ, আর্কিটেক্ট, ভাষাতত্ববিদ, চার-চাকা অলা গাড়ির প্রস্তুকারক, সঙ্গীতজ্ঞ, ঝানু কুটনীতিবিদ, মস্ত বড় পন্ডিত, অভিজ্ঞ কৃষক, দক্ষ ঘোড়াসাওয়ার এবং পাকা খেলোয়াড়।
প্রথমবারের মত যান্ত্রিক লাঙ্গল আবিষ্কার করেন। ওয়াকিং স্কি, রিভলভিং চেয়ার, গাড়ির স্পিডোমিটার, লেটার প্রেস, হেল্প মেশিন-এসব তার অনন্য আবিষ্কার।
প্রথমবারের মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অলিভঅয়েল, লম্বা লোমওয়ালা ভেড়া আর শুকর পালন পদ্ধতির প্রচলন করেন।
(শেখ আমিরুল ইসলাম রাসেলের লেখা অবল্মনে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।