আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাক ডাকা বন্ধ করুন ...

মন ভাল নেই... নাসিকা গর্জন৷ যাকে নিয়ে আমরা হাসিঠাট্টা করে থাকি৷ সেই নাকডাকা ব্যাপারটা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, সম্প্রতি তাই জানালেন জার্মানির একদল গবেষকরা৷ সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আগে এটা অবশ্যই বন্ধ করা প্রয়োজন৷ বার্লিনের শারিটে ইউনিভার্সিটির স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান গবেষক আলেকজান্ডার ব্লাউ বেশ দীর্ঘ গবেষণার পর একথা জানান৷ তার বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই নাকডাকা কোনো একটা অসুখের লক্ষণ৷ কিন্তু ঘুমের মধ্যে আমাদের নাক কেন ডাকে? নাক, কান ও গলার সমস্যা নিয়ে জার্মান গবেষণাকেন্দ্র ডিজিএসএম’র তরফে ইয়ান লোয়লার বলেন, “নাক ডাকার অনেক কারণ আছে।” সেগুলোর ব্যাখ্যায় তিনি জানান, যেসব ব্যক্তির ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে, তাদের সতর্ক হওয়া দরকার৷ কারণ, এই নাকডাকা অনেক বড় অসুখ ডেকে আনতে পারে।” কীভাবে, নাক ডাকা থেকে অসুস্থতা? ডিজিএসএম’র গবেষণায় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, যে সব মানুষ ঘুমের ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণে নাক ডাকান। এসব লোকদের চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয়, ম্যালিগন্যান্ট স্নোরিং৷ আরো বিস্তারিত বলতে গেলে বলা যায় অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ আপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea) বা সংক্ষেপে ওএসএ৷ এই ওএসএ’র যারা শিকার, তাদের অনেকেই ভোগেন হৃদযন্ত্রের সমস্যায়৷ এদের মধ্যে কারো যদি থাকে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মত রোগ, তাহলে সমস্যা আরো বেড়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারণে অনেক সময় ত্রিশ সেকেন্ড পর্যন্ত কোনো অক্সিজেনই তার শরীরে পৌঁছায় না। ফলে রক্তে কার্বনের পরিমাণ বাড়তে থাকে৷ যা অনেক সময় দেহে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে৷ এ বিষয়েই সতর্ক করেছে ডিজিএসএম৷ তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ওএসএ’তে ভুগছেন তারা সাধারণত সারারাত নাক ডেকে ঘুমিয়েও পরের দিনটা অনেক অবসন্ন বোধ করেন, ঝিমুনি আসে, কাজে ছন্দ পান না৷ তার কারণ হলো, রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া৷ এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা তাদের জন্য জরুরি৷ উল্লেখ্য, শিল্পোন্নত দেশগুলিতে শতকরা ৫০ জন পুরুষ আর ৩০ জন মহিল নিয়মিত ঘুমের মধ্যে নাক ডাকান৷ তাদের মধ্যে জটিল নিঃশ্বাসের সমস্যায় ভোগেন ২০ শতাংশ পুরুষ আর ১০ শতাংশ মহিলা৷ এই সমস্যা দূর করার উপায় হিসেবে ডিজিএসএম জানায়, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়াটা জরুরি৷ ঘুমের আগে কোনো অবস্থাতেই অ্যালকোহল পান কিংবা নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে তো বটেই! নাক ডাকাটা স্রেফ একটা মজার বিষয় নয়৷ এর থেকে অনেক রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই যতি সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান তাহলে সময়মতো ঘুমোতে যান আর নাকডাকা আগে কমান৷

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।