দুর্ঘটনার ষোড়শ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৪৯টি লাশ ধ্বংসস্তূপে মিলেছে বলে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহতম ভবনধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে ৬৯৮টি লাশ।
এদিকে কোনো দাবিদার পাওয়া না যাওয়ায় আরো ৭৬টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এখনো ৭৫টি মৃহদেহ রয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে।
ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় তখন কাজ চলছিলো।
উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ সরাতে পেরেছেন। তবে ভবনের বেজমেন্টে এখনো ঢুকতে পারেননি।
ভবনের পেছনের অংশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় বুধবার রাতে। সেখানে এখনো একটি ফ্লোরেরও ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো যায়নি।
উদ্ধার কাজ শেষ হতে আরো কয়েক দিন লাগতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার মাধ্যমেই পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দুই ধাপে ৭৬টি লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. ইউসুফ হারুন।
তিনি বলেন, এনিয়ে মোট ১৫৬টি লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।