আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড. ইউনূস চেয়েছিলেন দুই নেত্রী সরে যান

সমকাল ডেস্ক সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট ড. ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। গ্রামীণ ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ড. ইউনূস তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সত্যিই যদি সংস্কার আনতে হয় তাহলে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসির ওয়াশিংটনে পাঠানো কূটনৈতিক গোপনবার্তার বরাত দিয়ে উইকিলিকস গত ৩০ আগস্ট এ তথ্য ফাঁস করেছে। ২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিল গীতা পাসি ওই বার্তাটি ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠান। ওই বার্তায় বলা হয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৮ এপ্রিল গীতা পাসি এবং মার্কিন কংগ্রেসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা মনপ্রীত সিং আনন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ওই বৈঠকে ড. ইউনূস জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কর্মসূচির প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন আছে। সরকারের এজেন্ডা খুব ভালো। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রকৃতার্থে সংস্কার আনতে হলে সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে হবে। ইউনূস ঠাট্টা করে বলেন, প্রয়োজনে এই দুই নেত্রীকে জাতিসংঘের কোনো অফিসে চাকরি দেওয়া যেতে পারে। ইউনূস ওই বৈঠকে আরও মন্তব্য করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি ভালো জনসমর্থন রয়েছে।

রাজনীতির গণমুখী সংস্কারের জন্য জনগণ আরও ধৈর্য্য ধরতে প্রস্তুত আছে। বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা যদি রাজনীতির মাঠে ফিরে আসেন বা নামতে পারেন তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ জনপ্রিয়তায় ধস নামবে। ড. ইউনূস মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জানান, সরকার কিছু ছোটখাটো ভুল করেছে। যেমন, বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, এতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার অবশ্য পরে এ ভুল বুঝতে পেরেছে।

প্রসঙ্গ জাতীয় ঐক্যের সরকার : ড. ইউনূস বলেন, আমি জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের পক্ষে নই। এর প্রধান হওয়ার প্রশ্নই আসে না। জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনকে তিনি সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করেন। ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে বিধিনিষেধ উঠে গেলে তিনি রাজনৈতিক দল গঠনের কাজে নামবেন। এজন্য তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরে তার সমর্থকদের সঙ্গে এর মধ্যেই কথা বলেছেন।

কারণ, তিনি চান তার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ হবে জনগণের সমর্থন। তার দলের মূল শক্তি হবে নতুন প্রজন্ম, যুবশক্তি ও নারীরা। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ড. ইউনূস আরও জানান, তিনি দল করছেন এ কথা জানার পর বাংলাদেশের এক শ্রেণীর গণমাধ্যম ও রাজনীতিক তার ও গ্রামীণ ব্যাংকের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মাঠে নেমেছে। সামরিক বাহিনীকে 'না' : সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের দেওয়া ৩ এপ্রিলের 'ভাষণ' সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, 'এ ধরনের পদক্ষেপ ভুল পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া। ' রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ সম্পর্কে ড. ইউনূসের পরিষ্কার মত, এ ধরনের কিছু ঘটলে তা হবে দেশের জন্য বড় একটা ভুল।

তিনি এ ব্যাপারে সেনা কর্মকর্তাদের সাবধান করার জন্য ঢাকার বিদেশি কূটনৈতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।