বাঙলা কবিতা ওহ, প্রিয়তমা, কত দীর্ঘকাল এই আমাকেই আস্থা রাখতে হলো নীরবতায়, যেন আলাপনহীন এক আন্তযোগাযোগ, সেই অবাস্তব উপস্থিতি নৈঃশব্দ্যের ঢোল পিটিয়ে কথা বললো শিলাময় নীরবতা; কীভাবে মর্মার্থ বুঝে নিতো, ভাবো, আহত অন্তর? তারা বলে শব্দহীন পৃথিবীই যথার্থ সুন্দর, অথচ এ কবির সম্বল শব্দ ক্রন্দনের, মিলনের, চাঞ্চল্য ও স্থিরতার, শব্দই মাধ্যম; শব্দ ছাড়া কবিতা বাঁচে না, কবি তো বাঁচে না, শব্দময় মরপৃথিবীতে যদিও সে, মাঝেসাঝে, বেঁচে আছে বলে মনে হয়, তোমার সাক্ষাত ছাড়া। কেননা, যখন ছিলে, এতো বেশি দিয়েছিলে, প্রিয়তমা, মনে হয়, ওসব প্রাপ্তির মাঝে থেকে গেছি; অন্তঃসলিলা নদী তোমার সে দান, অদর্শনে তবু ঢালে মমতার জল, বেঁচে থাকে দগ্ধ হৃদয় ও মুখের বাণীসুধা ছাড়া, চন্দ্রোদয় ছাড়া, আর মাঝেমাঝে, স্মৃতির পাথর ফুঁড়ে জেগে ওঠে স্বপ্নময় সুরভিত ব্রজের বাগিচা যে-দেশে এ তুচ্ছ কবি, সেই কবে, হারিয়ে ফেলেছে তার পৃথিবীর পথ; এখন কেবল হাঁটে সেই ভগ্নস্তুপ ঠেলে, ভস্মিভূত ব্রজে, যেন বা লোহিত পথে, কাঙ্খিতের কায়ার উদ্ভাস জনহীন তপ্ত ধুলিপথে, যেন সে বেসেছে ভালো ধ্বংসস্তুপ, এই তপ্ত ছাই-ধূলি নির্জনের, এই জেনে, এপথেই তার স্মৃতি, প্রেম তার, মৌনতর বাণী, এই নীরবতা থেকে আবার ফিরিয়ে দেবে তাকে, ব্রজরাণী; যেন বা সে নৈঃশব্দ্যের, অদৃশ্যের, বিশ্বাসের নাম। যথেষ্ট আশীষ হয়ে সে-রাণীর মৌনমুখ সোহাগের, সান্ত্বনার বৃষ্টি হবে, আর এই নীরবতা থেকে, জন্ম নেবে অনাবিল সুখ, শত স্মৃতির সম্ভার; নৈঃশব্দ্যের অন্তরালে তোমার যে ঢোল বাজে, তার ছন্দ-লয় কবির হৃদয়ে হবে অমর স্পন্দন, এই ভেবে! ___________________________________________
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।