মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক চিরদিনের। মনের অসুখ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা শরীরের অসুখ ছড়াতে পারে মনে। এ কথা কম-বেশি সবারই জানা। কিন্তু মনের দিক থেকে কাছাকাছি থাকায় চিরচেনা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর শারীরিক যন্ত্রণা বা ব্যথা অনুভব করা যায় তার মতো করেই। আর এভাবেই স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের শারীরিক কষ্টও ভাগ করে নিতে পারেন।
ভাবতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। বৃদ্ধ বয়সে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের শারীরিক কষ্ট অনুভব করতে পারেন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সমীক্ষায় পাওয়া গেছে এমনই তথ্য। গবেষকেরা ১৬টি দম্পতির ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল সায়েন্সে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা মস্তিষ্কের ব্যথা বা যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী উদ্দীপকগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। ধরা যাক, স্ত্রীর ডান হাতে ব্যথা হচ্ছে। মস্তিষ্কের যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী উদ্দীপকগুলো স্ত্রীর ডান হাতে যেভাবে ব্যথার অনুভূতি জাগায়, স্বামীর মস্তিষ্কেও একইভাবে সেই সংকেত পাঠায়। ফলে স্ত্রীর ব্যথার অনুভূতির অনেকটাই বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী—ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম।
তীব্র ব্যথায় যখন কেউ মুখ কুঁচকে ফেলেন, তখন তাঁকে দেখেই বোঝা যায়, তাঁর কষ্ট হচ্ছে।
একইভাবে না বললেও সঙ্গী মানুষটি শারীরিকভাবে কতটা কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁর অনেকটাই অনুভব করতে পারেন তাঁর স্বামী বা স্ত্রী। মনের দিক দিয়ে দীর্ঘদিন কাছাকাছি থাকায় বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের শারীরিক যন্ত্রণাও এভাবে ভাগ করে নিতে পারেন। তবে নারী চিরকালই পুরুষের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল। আর তাই স্ত্রীর ব্যথা স্বামী যতটা বুঝতে পারেন, স্বামীর ব্যথা স্ত্রী বুঝতে পারেন তার চেয়েও বেশি।
গবেষক দলের প্রধান তানি সিংগার বলেন, মনের সঙ্গে শরীরের সংযোগ আছে বলেই স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের শারীরিক যন্ত্রণাও ভাগ করে নিতে পারেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।