আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"কেন বিএনপি ভারতের কাছে বাংলাদেশের ইজ্জত বিকিয়ে দিলনা" মাহফুজ আনামের আফসোস!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গতকালই একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম যে প্রকাশ্যে সরাসরি আওয়ামী-বাকশালী গং এবং ইনিয়ে-বিনিয়ে তথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এ দেশের তথাকথিত এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ ভারতের নির্লজ্জ তাবেদারী করে যাচ্ছে। মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান সহ ডেইলী ষ্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। এরা ভন্ড তথা মোনাফেক টাইপের সুশীল। সহজ অর্থেই জ্ঞানপাপী। মাহফুজ আনামের বয়সের বিচার করলে সেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে ১) তিন বিঘা, ২) ফারাক্কা বাধ, ৩) ভূমি ও সুমুদ্র সীমা বিরোধ, ৪) বাণিজ্য ঘাটতি ইত্যাদি বিষয় দেখে আসছে যে নিজ দেশ ভারতের কাছে কত অসহায়।

যার মূলে হচ্ছে ভারতের চরম সদিচ্ছার অভাব, শঠতা-প্রতারণা এবং রাজনৈতিক চাণক্যতা। কেবল মৌখিক আশ্বাস। বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা ভারত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কত করুণ হয়েছে তা নিয়ে মাহফুজ গংদের কোন ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। তারা ভাল ভাবেই জানে যে দুটি দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক কোনদিনও এক তরফা হয় না।

তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে উভয়ের সদিচ্ছাতে হতে হয়। ইংরেজীতে একটি কথা আছে You can take a horse to the water but you can not make it drink! তাই বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে সেই মুজিব আমল হতে বেরুবাড়ী, ফারাক্কা বাধ চালু এবং নৌ-করিডোর ভারতকে দিয়ে আসলেও আমাদের দিল্লী হতে প্রাপ্তি সামান্যই। তাই ভারত যদি বাংলাদেশকে উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের বিনিময়ে ন্যায্য প্রাপ্তি না দেয় আমরা আর কত ছাড় দিব? সেই জিয়ার পথ অনুসরণ করে খালেদা ১৯৯১-৯৬তে একক ভাবে এবং ২০০১-০৬এ জোটগত ভাবে ভারতের বিভিন্ন প্রস্তাবের বিপরীতে বাংলাদেশেরও ন্যায্য প্রাপ্তি সমূহ যূগোৎপৎ চাইলে দিল্লী আর অগ্রসর হয় নি। ভারতের কথা হল সে বাংলাদেশ হতে করিডোর সুবিধা নিবে কিন্তু বিএনপি কর্তৃক দাবীকৃত বাংলাদেশের ন্যায্য সুবিধা দিবে না। ভারত একক ভাবে ষোল আনাই ভোগ করবে।

কিন্তু সুশীল ও অন্ধ ভারত প্রেমিক মাহফুজ আনাম এই সব বিস্তারিত না বলে ২০১১ সালে এসেও কি বলছেন; এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হোক, তা চায়নি। Click This Link যা সম্পূর্ণ নগ্ন মিথ্যা ও বিএনপি বিদ্বেষ। বিএনপি ভারতের করিডোর খায়েশের বিপরীতে ৬টি শর্ত মেনে নিতে বলায় ভারত পিছু হটে। তো এখানে মাহফুজ আনাম কি ভাবে বলল যে বিএনপি ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন চায় নি! মাহফুজ আনামের কথার ও মনোভাব দেখে মনে হয় তিনি বাংলাদেশের নন দিল্লীর শিকল পরিহিত কোলকাতার ভারতীয় বাঙালী বুদ্ধিজীবি। তা না হলে হয় বলতেন যে বিএনপির দেশ বান্ধব শর্তে ভারত রাজি হয়নি অথবা উনি বিএনপির বিষয় না তুললেও পারতেন।

কিন্তু বিএনপির ভারতকে দেওয়া শর্ত সমূহ উল্লেখ করলেনই না বরং বিএনপিকে কালপ্রিট বানালেন। স্পষ্টতই চুরি তার উপর শিনা জুড়ি! দেশের শীর্ষ স্থানীয় সুশীল হিসেবে যে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবী গুলো বেমালুম চেপে গিয়ে যারা এর পক্ষে কথা বলছে তাদেরকে দোষী ঠাউড়িয়ে নিজেদের জ্ঞাপাপী, দেউলিয়া ও পরগাছা হিসেবেই চিহ্নিত করে। মাহফুজের মতন জ্ঞানপাপী সুশীলরা যেভাবে ভারতের ইন-ডাইরেক্টলি তরফদারি করে তাতে আমাদের জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভারতের কাছ থেকে দাবী আদায়ের সুযোগ হয় না। মাহফুজদের কথা হল ভারত বিনা পয়সায় বাংলাদেশের ইজ্জত হরণ করেই চলবে কিন্তু ভারত হতে আপনি কিছু নিতে পারবেন না। কিন্তু মাহফুজদের মতন দালালদের পথে বিএনপি সব সময় রুখে দাড়িয়েছে।

ফলে প্রভু ভারতের পাশাপাশি দালাল মাহফুজরাও বিএনপিকে ভারতের ভাষাই সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন কখনও নিজেদের ন্যায্য পাওনা ভারতের কাছ থেকে আদায় করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না তার বিরুদ্ধে বাকশালী সহ মাহফুজ গংরা সর্বদা সচেষ্ট। দেশের স্বার্থে কিছু দাবী করলেই তারা তাকে ৭১ এবং তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ফলে ভারতের সুবিধাই হয় যে বাংলাদেশের মানুষ কখনই আমাদের বিরুদ্ধে আন্তরিক ও দৃঢ় ভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে একত্র হতে পারবে না। জিয়া ও তার বিএনপি বরাবর ভারতকে এক তরফা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কোন সুবিধা না দেওয়ায় দিল্লী বার বার হতাশ হয়েছে।

এই একই হতাশা মাহফুজ গংদেরও গ্রাস করেছে। তাই এরা আজীবন হতাশা ব্যাক্ত করেই যাবে কেন বিএনপি বাংলাদেশের ক্ষতি করে ভারতকে চাহিদা মাফিক সব সুবিধা দিল না? যে দেশে মাহফুজের মত বিদেশের দালাল থাকে সেই দেশের কপালে খারাপি থাকে। সহজে তার বিপদ কাটে না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।