আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিঃ গওহর রিজভী এবং ডঃ মসিউর রহমানের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাই

গওহর রিজভী এবং মসিউর রহমানের কর্মকাণ্ড, কথাবার্তা শুনে নিশ্চিতভাবেই বোঝা যায় যে এই দুইজন দেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকেই বড় করে দেখেন। এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। এদের অতীত কর্মকান্ড, প্রকাশিত সরকারী কাজের বাইরে ভারত সফরের পরিমাণ, ব্যাংক হিসাবে লেন-দেনের পরিমাণ ও উৎস, বিদেশে কোন স্থাবর সম্পতি থেকে থাকলে তার বিবরণ-এসব অনুসন্ধান চালানো এখন সময়ের দাবি। মিঃ গওহরের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্যসূত্রে থেকে জানা যায় তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত "ফোর্ড ফাউন্ডেশনের" হয়ে নয়াদিল্লীতে চাকুরী করেন। আর তার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠা হওয়া ছিল চরম নাটকীয়।

কারন উপদেষ্ঠা হবার আগে ভদ্রলোককে এখানের তেমন কেউই চিনতোনা। মিঃ রিজভী ২০০৯ সালের ৯ জুলাই বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা অবস্থায় হটাত করে মন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্ঠা হিসেবে নিয়োগ পান। এই নিয়োগের ৯ দিন পর তিনি দেশে এসে ১৮ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করে আবার বিদেশে চলে যান। এর আগের প্রায় ২৫ বাংলাদেশের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিলনা। এমনকি আওয়ামীলীগের অনেক এম্পি মন্ত্রীও তাকে চিনতোনা।

তিনি বহু পুর্বে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তার স্ত্রী এঞ্জেস বারলো একজন ইতালীয় নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়কে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ান তিনি এবং সেই সুত্রে তার সাথে ঘনিষ্ঠতা হয় বলে জানা যায়। পরবর্তিতে তার অনুরোধেই গওহর কে ৭ম উপদেষ্ঠা হিসেবে নিয়োগ দেন তার আম্মি শেখ হাসিনা। অন্যদিকে সাম্প্রতিক শেয়ার বাজার বিপর্যয়ের অন্যতম পিছনের মানুষ ডঃ মশিউর রহমান ছিলেন সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।

তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্ঠা হয়েও শেয়ার বাজার চরম ক্রান্তিকালের সময় বলেছিলেন, পুঁজিবাজারের দায় সরকার কোনোভাবেই নেবে না। এছাড়া সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ আলোচনায় গওহর এর পর এই উপদেষ্ঠা ছিলেন সবচেয়ে সরব। তবে তার সরবতা ছিল যতটা না বাংলাদেশের জন্য তার ছেয়ে বেশি ভারতের স্বার্থে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতায় পিছিয়েছে। আজকে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০১১-১২ অর্থবছরের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে (জিসিআর) বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতা সূচক অনুযায়ী জিসিআর এ গতবছর বাংলাদেশ ১০৭তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর তা একধাপ নেমে ১০৮-এ এসে দাঁড়িয়েছে।

সুতারাং সবদিকে থেকে মাকাম ফল এই দুই উপদেষ্ঠাকে দ্রুত বিদায় করা হোক সাথে আরেক ভাঁড় দিপু মনিকেও। ***বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষনঃ সবাইকে এই পেইজটায় যোগ দিয়ে আলোচনার অনুরোধ থাকলো। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এমন অনলাইন উদ্যেগে একদিন আমাদের তরুণ প্রজন্ম সত্যিকার দেশপ্রেমের দিকে এগিয়ে যাবে সেটাই পেইজটার প্রত্যাশা।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।