***** গণমালিকেরা কারো কারো প্রতি আস্থা রেখে তাদেরকে সাময়িক কিছু দায়িত্ব দেওয়ার পর আবিশ্বাস নিয়ে সারাক্ষণ তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে না। তবে সেই সীমিত দায়িত্বের প্রতি ঐ দায়িত্বপ্রাপ্তদের ক্রমাগত বাড়ন্ত উদাসীনতা প্রকাশ পেতে থাকলে, মালিকেরা যখন উদাসীনদেরকে সরিয়ে রেখে নিজেরাই তাৎক্ষণিক ক্ষয়পূরণে ব্যস্ত হতে বাধ্য হয়! -আমরা যেন নিত্য স্মরণ করি, কী ভয়াবহ ভীষণ সেই এলোপাথাড়ি গণপদক্ষেপ! -গণপিটুনি! -গণরোষ, -সে এক দুঃসহ দৃশ্য! .. কোনো বিশেষ দলের তাণ্ডবলীলা আর গণপিটুনি সমার্থক নয়। গণপিটুনিদাতারা নির্দলীয় বা নির্বিশেষ সর্বদলীয় জনসাধারণের সমন্বয়, গণতন্ত্রে যে সমন্বয়টি বিশৃঙ্খলাকারী এবং বিচারবিভাগ উভয়েরই অভিভাবক বা মালিক সমতুল্য। সীমাবদ্ধতা বা সাময়িক দুর্বলতার কারণে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রতি যারা হুমকিস্বরূপ তারাও গণমালিকের গণপিটুনির নাগালের বাইরে নয়। সঙ্গত কারণেই কেউ গণপিটুনির শিকার হলে তার পক্ষ নিয়ে কোনো মামলা রাষ্ট্রের আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। কোথাও দলীয় আবরণে ক্যাডার সেজে, কোথাওবা নিজ নিজ পরিচয়ে সন্ত্রাসকর্মে জড়িত যারা, আসলে তারা আত্মহন্তাবাহিনীতে নিজেদের নাম লিখিয়েছে অভিভাবকদের অবহেলার সুযোগে। যেকোনো সময়ে সন্ত্রাসক্ষেত্রে পুলিশবাহিনী পৌঁছানোর আগেই গণপিটুনিতে কারো মৃত্যু হলে, সমস্ত দায় তার পরিবারের অভিভাবকের উপরেই বর্তায়। রঙ্গপুর : ০৭/০৯/২০১১
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।