আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩৮ শতাংশ ইউরোপীয় মানসিক রোগী

I believe in miracles and dreams that will come true ভাল আছেন তো ? আমি কিন্তু অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। ইউরোপ-আমেরিকার কোন দেশে আমি থাকি না, মানসিক অশান্তিতে থাকি না ,আমি আমার মা/বাবার সান্নিধ্যকে আমার জ়ীবনের অংশ হিসেবেই নেই। তাদের উপদেশ সব সময় ভাল না লাগলেও ,তা পুরাপুরিভাবে avoid করার সাহস আমার হয় না । তাই ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ ।

। কে জানে ঐ সব দেশে থাকলে হয়তো আমি ভাল থাকতাম, কিন্তু সেটা বাহ্যিক ভাবে,মানসিক ভাবে হয়তো ভাল থাকতাম না। দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা থেকে পালানোর জন্য হয়তো আমাকেও মানসিক চিকিৎসা নিতে হতো। মুখে হাসি আনার জন্য আমাকেও কোন এক ‘’কৌতুকClub’’ এর member হতে হতো। নিরাপত্তা প্রহরীরা ও আমার মনের নিরাপত্তা দিতে পারতনা।

''আশেপাশের পরিবেশ, নিরাপত্তা প্রহরীরা নিরাপত্তা দিতে পারে না। ভরি ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, দামি ফোন ,নতুন পোশাক ,গাড়ি আর আপনার BF/GF সব কিছুই অর্থহীন যদি আপনার মনে শান্তি না থাকে। '' ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোয় মানুষ গুলোর সাথে মনে হয় তত্ত্ব খাটে। তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভাল আছি। বয়স ১৮ বছর হলেও আমাদের মা/বাবা আমাদের অবাধ মেলামেশাকে support করে না।

মানসিক ভাবে সমস্যাগ্রস্ত হলে আমরা মদ এর আশ্রয় নিতে এখনো কিছুটা ভয় পাই। সুতরাং আমরা যেমন আছি ভাল আছি। সম্প্রতি করা এক জরিপ আপনাদের জ়ন্য দেয়া হ্লঃ ''৩৮ শতাংশ ইউরোপীয় মনোরোগী'' হয়তো অনেকের ধারণা, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোয় মানুষ খুব সুখে-শান্তিতে থাকে, সেখানে অর্থ-সম্পদের কোনো অভাব নেই বলে তাদের রোগবালাই কম, দুশ্চিন্তা কম, শুধু আনন্দ আর আনন্দময় জীবন। কিন্তু না, এ ধারণা আসলে ভুল। ''সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ইউরোপজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ১৬ কোটির মতো মানুষ মেনটাল ডিসঅর্ডার বা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়, যা মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৮ শতাংশ।

তাদের তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি বা চিকিৎসা নিয়ে থাকে। জার্মানির ড্রেসডেন ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ও সাইকোথেরাপি বিভাগের ডিরেক্টর হ্যান্স অলরিচ উইটচিনের নেতৃত্বে এ গবেষণাকর্ম পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষাদগ্রস্ত, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা বা অস্থিরতার ফলে মস্তিষ্কের বা মানসিক রোগ দেখা দেয় মানুষের জীবনে। আর এসব সমস্যা মূলত কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্কে ভাটা পড়লে বা ভেঙে গেলে কিংবা সামাজিক ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণেও দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশে তিন বছর ধরে এ গবেষণা চালানো হয়।

গবেষকরা সেখানে দেখতে পান, ১৪ শতাংশ মানুষ অধিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, ৭ শতাংশ অনিদ্রা আর ৬.৯ শতাংশ বিষাদাক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেক মানুষ মানসিকভাবে, বাকি অর্ধেক মস্তিষ্কগত জটিল সমস্যায় আক্রান্ত। এ প্রসঙ্গে গবেষকদলের প্রধান হ্যান্স অলরিচ উইটচিন বলেন, 'মেনটাল ডিসঅর্ডার মোকাবিলা একুশ শতকের ইউরোপের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। '' সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ, ন্যাচার অনলাইন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।