১. শুরু করি রসকসহীন গণিত দিয়ে। গণিতপ্রেমিকরা রাগ করবেন না। বলেন দেখি, নীচের গূণফল কত হবে? আচ্ছা মোবাইলের ক্যালকুটেরটা ব্যবহার করেন।
111,111,111 গূণ 111,111,111 = কত?
ক্যালকুলেটরে ঝামেলা?
ঠিক আছে, নীচে দেখুন:
উত্তর: 12,345,678,987,654,321 (আহা, গণিতের কত রূপ!)
২. এবার একটু বৈজ্ঞানিক আধ্যাত্মিকতা। নীল রংয়ের মাহাত্য কি? আমরা তো অনেক সময় বেদনায় নীল হয়ে যায়।
গণপিটুনি খেলে পিঠে নীলচে দাগ পড়ে।
কিন্তু নীল রং নাকি প্রশান্তিদায়ক। মস্তিস্কে নাকি প্রশান্তিদায়ক হরমোন নি:সরণ বাড়ায়। নীল ফুল দেখুন। টবে রাখুন নীল অপরাজিতা।
৩. এবারে একটু ডাক্তারি। হাড়গোড়ের ডাক্তারেরা এটি না পড়ে এগিয়ে যান।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অনানুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান মতে, প্রতি চারজন হাড় জোড়া-কাটার ডাক্তার (অর্থোপেডিক সার্জন) এর মধ্যে এক জন বাম হাতপায়ের বদলে ডান বা ডানের বদলে বামে কোপ মারেন।
৪. আরেকটু ডাক্তারি- সবার জানা কিন্তু রাজমিস্ত্রি আর সিভিল ইন্জিনিয়ররা কেন যে বোঝে না।
মানুষের উরুর হাড় কনক্রিটের চেয়েও শক্ত।
৫. এবারো আমেরিকার তথ্যসুত্র। বাংলাদেশেরটা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আন্ডারটেকাররা (অর্থটা কোন মুভি প্রেমিক একটু বলে দেবেন) অভিমত দিয়েছে যে এখনকার মানুষের মৃতদেহ পচতে আগের যুগের চেয়ে কিছুটা বেশী সময় লাগে। অভিমত: খাবারে এত প্রিজারভেটিভ থাকে যে মরার পর মানবদেহও কিছুটা প্রিজারভাড হয়ে যায়।
কৌতুহল: বাংলাদেশ কংকাল চোরেরা কি অভিমত দিবে খেজুরে ফর্মালিনের পরে?
৬. এবারে পরপর তিনটি শরীরি কৌতুহল:
আপনার নাকের দৈর্ঘ মাপুন।
এবার বুড়ো আংগুলটা মাপুন। মিলে গেলে আপনি আম জনতা। না মিললে ব্যতিক্রম।
৭. মানুষের শরীরের সবচে শক্তিশালী পেশী কোনটি?
বাইসেপ ফোলাচ্ছেন? লাভ নেই। জিহ্বা সবচে শক্তিশালী।
৮. আপনি আম জনতার কেউ হলে, আপনি আপনার নিজের কনুই জিহ্বা দিয়ে চাটতে পারবেন না।
৯. খাবার-পানীয়-ধুম পিয়াসীদের জন্য চারটি তথ্য:
কোকা-কোলার রং কি? লাল?
নাহ্, আসলে এখন লালচে, কিন্তু শুরুতে ছিল সবুজ। গ্রামের শেওলা জমা ডোবার সবুজ পানি কল্পনা করুন। ওয়াক থু!
১০. সব খাবারই নষ্ট হয়। কোন খাবার সহজে নষ্ট হয় না?
যে খাবার একবার হজম হয়ে গেছে – মধু।
১১. জলপাই ভালবাসেন? জলপাই তেল মাখেন? জলপাই পাতার মুকুট পরার স্বপন্ দেখেন? জলপাই গাড়ির তাড়া খেয়েছেন? ফার্স্টক্লাসের যাত্রীদের সালাদে একটা করে জলপাই কম দিয়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্স। ১৯৮৭ সালে। কত টাকা বেঁচেছিল?
৪০,০০০ ডলার।
১২. সিগারেটটা কি এখনো টানছেন? ধরিয়েছন কিসে? লাইটারে না ম্যাচ কাঠিতে?
হ্যাঁ, ম্যাচ আবিস্কারের আগেই লাইটার আবিস্কার হয়েছিল।
১৩. সামান্য হাঁচির অসামান্য শক্তি।
খুব জোরে হাঁচি দিলে, পাঁজরের হাড়ে চির ধরতে পারে।
আবার চেপে রাখলে মাথা কিংবা ঘাড়ের শিরায় চির ধরে মারাও যেতে পারেন।
সাবধান!
১৪. বুলেট প্রুফ জামা, আগুন লাগা বিল্ডিং থেকে বাঁচার দরজা, গাড়ির উইন্ডশিল্ড উইপার এবং লেজার প্রিন্টার: এগুলো সব আসলে নারী না পুরুষের সংগে সম্পর্কিত?
উত্তর: সবগুলোই নারীর আবিস্কার
১৫. এবার নারীর আবিস্কার নয়, নারীর ব্যবহার্য বস্তু। লিপস্টিক।
বেশীরভাগ লিপস্টিকে থাকে মাছের আঁশ।
ওহ হো, মাছের আঁশ।
১৬. মানবদৈহিক বিজ্ঞান। আপনার আংগুলের ছাপের মত জিহ্বার ছাপও অনন্য।
ইউরোপে ঢুকতে কবে না জিব বের করে কম্পউটার স্ক্রিনে ধরতে হয়!
১৭. জাপানে প্রকাশিত সব প্রকাশনার ২০% হচ্ছে কমিকস এর বই।
আমার মেয়ে এখন ডরেমনের খপ্পরে।
অফিস যায়, তখন ডিজনিতে ডরেমন। অফিস থেকে আসি, তখনও ডরেমন। কত করে ভুলাতে চাই, কাজ হয় না। রিমোট কন্ট্রোল নষ্ট করেও লাভ হয় নায়। উপায় কি?
১৮. আপনি খুব ক্লান্ত/মন খারাপরত/অতি আত্মবিশ্বাসী ইত্যাদি ইত্যাদি না হয়ে থাকলে......
আপনি এতক্ষণে একবার কি করার চেষ্টা করেছেন?
. .
. .
. .
. .
. . . . . .
. . . .
. . . .
. . .
..
.
জিহ্বা দিয়ে কনুই ছোঁয়ার চেষ্টা করেছেন।
হয়ত বা না
১ম পর্বের লিংক এখানে। http://www.somewhereinblog.net/blog/selfhelp/29386573
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।