বাঙলা কবিতা বাঙলায়ন : রহমান হেনরী ______________ [Words by Edward Thomas] ______________ আমরা যারা পদ্য লিখি তাদের ভেতর থেকে তুমি কি মাঝে সাঝে বেছে নেবে আমায়- বাতাস যেমন বেছে নেয় দেয়ালের ফাটল কিংবা নর্দমার তাদের আনন্দ-বেদনার শিস বাজাবে বলে- আমাকে বেছে নেবে তুমি বাঙলা শব্দ-ভাণ্ডার? আমি সর্বৈব জানি, চিনি তোমাকে : স্বপ্ন-কোমল তুমি, শক্ত শাল কাঠের মত, সোনার মত দামী, পপি ফুলের মত সুন্দর আর মাদকতাময় আর ভূট্টার মত দাণাদার, সুবিন্যস্ত, কিংবা পুরনো কোনও জোব্বার ভেতর থেকে ঠিকরে বেরোয় তোমার আলোকমালা : মিষ্টি আমাদের কানে কানে কলস্বরা পাখিদের মত, বিলে বিলে আন্দোলিত শাপলা তুমি : অগণিত মৃত আর অনাগত মানুষের মত দুর্বোধ্য : দুর্বোধ্য আর মিষ্টি সমানে সমান, আর খুবই চেনা চোখের নজরে, যেমন প্রিয়মুখগুলি দেখামাত্র চিনে নেয় লোকে, এবং খুইয়ে ফেলা বাড়ির মত : যদিও খুব বৃদ্ধ আর সেকেলে তুমি বাঙলার বটগাছগুলির চেয়েও প্রাচীন, যেমন সুপ্রাচীন আমাদের নদীগুলো : নিত্য-নতুন সাজে সাজো তুমি, বার বার, তুমুল বর্ষণে সৃজিত স্রোতের মত আনকোরা, নবীন, আর এই পৃথিবীর মতই প্রিয় যার প্রতি আমাদের এই প্রেম তোমাতেই প্রমাণিত প্রকাশিত। পুণ্ড্র-বরেন্দ্র থেকে তোমার কিছু মিষ্টতা দিয়ে ঋদ্ধ করো আমাকে যে-মাটির ডানাহীন পাখিগুলো সুন্দর, স্বাপ্নিক, সুরেলা; আর সমতটত, সুধারাম, বাকেরগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং চট্টলা থেকে, আর ওইসব ভূমণ্ডলের সবুজ গ্রামগুলি থেকে, যে সব নাম ও বিষয় বললাম, এই শেষ নয়, আরও আছে। মাঝে মাঝে আমাকে নাচতে দিও তোমার সাথে, অথবা গাছে চড়ার মত চড়তে দিও তোমার দেহময় শাখা-প্রশাখায়, না হয়, অকস্মাৎ দাঁড়িয়ে পড়তে দিও তোমার গা ঘেঁষে, বিস্ময়-স্তম্ভিত. স্থির অথচ মুক্ততায় একটা পদ্যের অন্তরে যেমন আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়ে কবিরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।