........ জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে বাংলা সিনেমা দেখেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া সম্ভবত সম্ভব নয় ।
আবার যারা যারা বাংলা আর হিন্দিটাই মোটামুটি দেখেন কিন্তু ইংরেজি সিনেমা দেখেন না বললেই
চলে তারাও জেমস বন্ডের একটা দুইটা ফিল্ম নিশ্চয়ই দেখেছেন । কাজেই জেমস বন্ডের চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্যের আদিম অংশটা নিয়ে সবারই কম-বেশি ধারণা আছে আশা করি । তাই আমাদের
আজকের আলোচনার বিশয়- '' জেমস বন্ড ও প্রবীর মিত্র- একটি তুলনামূলক পর্যালোচনার অপপ্রয়াস
। ''
মি।
প্রবীর মিত্রকে আশা করি নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না । তিনি যে মোট কতটি
সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তা তিনি নিজেও সম্ভবত জানেন না । কয়েকদিন আগে হলিউডে একটা
জরিপ হয়েছিল-'' কোন তারকা কতবার সিনেমায় মারা গিয়েছেন?'' সবচেয়ে বেশিবার মারা গিয়েছে,
রবার্ট দি নিরো (১৫ বার), তারপরে আছেন জনি ডেপ((১০ বার) । একটিবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে
যদি এরকম একটি জরিপের আয়োজন করা হত তাহলে ওনার স্ট্রাইক রেট কত হত, মিশা
সদাগরেরই বা কি অবস্থা হত???
অন্যদিকে জেমসবন্ডের এইসমস্ত ঝামেলা নেই, তার মরার প্রশ্নই আসে না । এই ব্যাপারে জেমস বন্ড
রজনিকান্তের চেয়ে কম কিছু নয় ।
এইবার আসল কথাটা বলি, প্রবীর মিত্র বেশিরভাগ সিনেমায় নায়কের বাবা হিসেবে অভিনয় করেন,
সিনেমার শুরুতে দেখা যায় নায়কের বাবা- মার বিয়ে হয় । বাসররাতে সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী ধীরে
ধীরে বিছানায় ঢলে পড়ে( প্যাঁ প্যাঁ সানাই ইন্সট্রুমেন্টাল তো থাকবেই ), আর একই সাথে ক্যামেরা
ধীরে ধীরে উপরের দিকে ৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে দেয়ালের দিকে উঠে গিয়ে সম্ভবত টিকটিকি খোঁজবার
চেষ্টায় লিপ্ত হয় । তবে ২টা টিকটিকির কাজ কারবার পর্যন্ত যাবে না ...শেষকালে যদি আর্টফিল্ম হয়ে
যায়!!!
অন্যদিকে জেমস বন্ড সাহেবের এইসব রাখ-ঢাকের ব্যাপার নাই । তিনি এই ব্যাপারে অতীব উদার ।
যেখানে ক্যামেরা উত্তোলন জাতীয় দৃশ্যের কিছুক্ষন পরেই দুর্দান্ত অ্যাকশন জানা নায়কের
আবির্ভাব ঘটে সেখানে জেমস বন্ডের বাই প্রডাক্ট ঠনঠন!!!
এর মানে কি দাড়াল? প্রবীর মিত্র জেমস বন্ডের থেকে বেশি...........................????????????
(আলোচনা শেষ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।