একটা আটপৌরে ঘরোয়া সাদামাঠা প্রেমের কবিতা লিখতে চাই এবার ঈদ টা কুফা যাবে জানতাম। তবে এতোটা কে জানতো
ঈদের টিকিট কাটাতে গিয়ে রাত থেকে লাইন ধরে ৮ টিকিটের জায়গায় ৫ টা পেলাম। আমার নিজে টা--------------
পরে ২৯ তারিখের একটা পেলাম বাসের একবারে পেছনে---
তারপরতো আবুল রোডে শাহজান ড্রাইভার থাকলে ভ্রমণ কেমন হতে পারে তা আপনারাই বলেন---
যা হোক সহী সালামতে মায়ের ছেলে বাবার কোলে ফিরে এলাম। --
বউ নাই ক্যান--
---
প্রচণ্ড গরমে ঈদের নামায পড়ব নাকি দৌড় দিব ভাবছি--
কোনো রকমে নামায শেষ হলেও শা্ বেক্কল হুজুরের খুতবা আর শেষ হয় না---
মুনাজাত শেষ করেই দৌড় ঈদাগায়ের কাছেই ফুপুর বাড়ি -- সেখানে চাওমিন, সেমাই ফিরনি.কোপ্তা, ফালুদা, কাস্টার্ড আর পায়েস খেয়ে বাসায় এসেই সেই যে ঢুকেছি আর
বের হবার নাম গন্ধ নেই। কারণ সূয্যি মামা তার রাগ আর কমায় না।
ক্ষেপেছেতো ক্ষেপেছে।
ফ্রেন্ড রা ফোন দেয় বেরুবার জন্য আমি বলে বাসায় মেহমান এসেছে--আম্মুকে হেল্প করছি--
কি আর করা ল্যাপি ভরে আনা বায়োস্কপে ঈদ উৎযাপন করলাম।
সারা মাস সংযম করে ঈদে একটু কম খাওয়াতে
পেট গুড় পেট গুড়
ছোট্ট ঘর কত দূর
মাপতে লাগলাম---
বছর খানেক আগে মা একটা ছাগল কিনেছিল।
সেটার একটা কিউট ছানা হয়েছে। তিনি আবার একটু আপার ক্লাস।
থালায় ভাত তরকারি ছাড়া খায় না। আবার ছাগলে কিনা খায়
এটা কে সত্যি পরিণত করা জন্য বাড়ির কোনো গাছের বাকল নেই সব খেয়ে ফেলেছে।
কাহিনী এটা না --
ওই পিচ্চি ছাগের আবার মেয়েদের ওড়নার প্রতি খুব মায়া
কাজিনদের ওড়রা টানা টানি করা ওর একটা প্রিয় কাজ।
মনে মনে ভাবলাম বেটায় আবার পূর্ব জন্মে পরিমলের আত্মীয় ছিল কিনা :
আজ দুপুরে দু' চাচতো ভাই মারামারি করছিল। তো ছোটোটা বলে বড়টা কে ওই মুখে হাত দিয়েছিস কেন..হাত সরা আমি থাপড় দিব---
বড়টা হাত সরাচ্ছে না বলে তার চিৎকার করে কান্না।
তারা কিন্তু খুব পিচ্চা না। ৮ আর ১২।
আর সালামির কথা কি বলব--
একটা টাকাও পাইনি---গুরু জনের ------কিলাই
আর পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে প্রায় বিশ ভাই-বোনকে ঈদি দিতে হয়েছে্ না দিলে মাপ নাই-- আমারে নাকি খুঁইজা পাওয়া যাবে না.. ডিজিটাল হুমকি--
এভাবেই কাটলো ঈদের দু'দিন।
৪/৫ তারিখে আবার ইট-কাঠের সেই জঙ্গলের রাজধানীতে ফিরতে হবে, মায়ের হাতের রান্না ফেলে---
এটাই হয়তো জীবনের ভাগ্য লিখন ----
সবাইকে ঈদ মুবারক-- ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।