আগেই লিখেছিলাম টিকেট কাটার কি বেদনা বোঝানো যাবেনা। একমাত্র সেই বুঝে যে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট কাটে। ২৬ তারিখ রাতের ট্রেন এর টিকেট কেটে ছিলাম সেদিন। যাত্রা শুরু করলাম বাসা থেকে। খুব সুন্দরভাবেই আমরা সবাই ষ্টেশনে এসে পৌছালাম।
শুরু হলো এবার অপেক্ষার পালা। ট্রেন আসার কথা ১১টা ৩০ মিনিটে। সেই ট্রেন এল ১২টা ৩০মিনিটে। লেট বেপারটা আামাদের রক্তে প্রবেশ করেছে খুব ভালোভাবেই। তাই আমরা যে কোন কাজ এ লেট এর দিক থেকে সর্ব প্রথমে থাকি।
এর মাঝে রেলওয়ে কর্তিপক্ষ ঘোষনা দিল যে ওনারা ট্রেন এর কোন একটা বগি যেন লাগাতে পারিনি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে। তাই ঐ বগির যাত্রিদের অনুরোধ করলেন যেন তারা টিকেট বদলে এসি এর টিকেট করেন। প্রশ্ন হলো সারারাত দাড়িয়ে যেখানে টিকেট পায় না এখন সেখানে কি করে এত এসি এর টিকেট এল?? যাই হোক আমরা আমাদের বগিতে উঠে বসলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখা গেল অনেক গুলো এসি টিকেট এর চেয়ার খালি। আর এই চেয়ার গুলো ট্রেন ভেতরের লোকজন বিক্রি করছে।
মোটামুটি বেশ কিছু লোকজন ননএসি এর বগি ছেড়ে এসি বগিতে গেল। এই অবস্হা দেখে আমরা আর বসে থাকতে পারলাম না। একটু হাটাহাটির পর সন্ধান পেল বন্ধুরা ভালো সিট এর। জানতে পারলাম শুধু ভালো না একদম কেবিন এ পেয়ে গেলাম ২টা। মনে হচ্ছিল স্বর্গ পেয়েছি।
এর পর আমরা সবাই কেবিন এ শিফট হলাম। আর মহা সুখের মধ্য দিয়ে আরাম করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চিটাগং এসে পৌঁছালাম।
বি দ্র: এখন থেকে কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার আর প্রয়োজন নেই বন্ধুরা। ব্যাগ নিয়ে গিয়ে সরাসরি ট্রেন এর বগিতে উঠে পরবে। ওখানেই সকল এন্তেজাম করা আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।