আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই ওয়াইম্যাক্স অপারেটরের বকেয়া ৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

টেলিকম নিউজ আর্কাইভ !! : বেশ কয়েকটি প্রান্তিক হতে চলল কোনো দেনা পাওনাই পরিশোধ করে না দেশের দুই ওয়াইম্যাক্স অপারেটর বাংলালায়ন এবং কিউবি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্পেকট্রামের জন্যে কোনো ফি’ই পরিশোধ করেনি অপারেটর দুটি। সব মিলে নিয়ন্ত্রন কমিশন-বিটিআরসি অপারেটর দুটির কাছে ৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পাবে। দফায় দফায় বিটিআরসি অপারেটর দুটির সঙ্গে টাকা প্রাপ্তির বিষয়ে বৈঠক করেছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভই হয়নি।

ফলে কমিশন বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক কমিশন (১৪৪তম) বৈঠকে লিগাল অ্যান্ড লাইসেন্স বিভাগকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওখানে লাইসেন্সের ৫ দশমিক ৫ ধারা থেকে উদ্ধিৃত করে বলা হয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুসারে, কোন দেনা পরিশোধের জন্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত পাবে অপারেটররা। এর মধ্যে দেনা পরিশোধ না হলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। বিটিআরসি’র কমিশন বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বাংলায়নের কাছে বিটিআরসি’র টাকা পাওনা রয়েছে ৩০ কোটি ৭১ লাখ।

এর মধ্যে স্পেকট্রামের জন্যে বিটিআরসি’র প্রাপ্য ২২ কোটি ৪৩ টাকা। ২০০৯ সালে ৩৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিয়ে যাত্রা করা বাংলালায়ন গত বছরের শেষ পর্যন্ত কোনো স্পেকট্রাম ফি-ই দেয়নি। তাছাড়া লাইসেন্সের শর্ত অনুসারে শুরুর দিকে রেভিনিউ শেয়ার করলেও পরের দিকে তারা আর কোনো রেভিনিউ শেয়ার করেনি বিটিআরসি’র সঙ্গে। আর সব মিলে ১৫ শতাংশ লেট ফি হিসেবে বিটিআরসি’র আরো প্রাপ্য হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। একইভাবে অজের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড বা কিউবি’র মোট বকেয়া ২৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

২০০৯ সালের এপ্রিলের পর থেকে স্পেকট্রাম বাবদ কোনো টাকা তারা বিটিআরসিকে দেয়নি। আর গত বছরের শুরু থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে রেভিনিউ শেয়ারিংও। স্পেকট্রামের জন্যে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ এবং রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে ২ কোটি ৩৯ লাখ এবং সব মিলে লেট ফি হিসেবে আরো ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বিটিআরসি’র প্রাপ্য। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিটিআরসি’র লিগাল অ্যান্ড লাইসেন্স বিভাগের কমিশনার মোঃ আবদুস সালাম বলেন, এটুকু বলা সম্ভব যে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে যদি লাইসেন্স বাতিল হয় তো হবে।

এর ২০০৮ সালে লাইসেন্স নিলেও ২০০৯ সাল থেকে সেবা দিতে শুরু করে দেশের দুই ওয়াইম্যাক্স অপারেটর। অন্যদিনে নিলামে বিজয়ী হয়েও লাইসেন্স নেয়নি ব্র্যাক-নেট। আর সরকারের অপারেটর বিটিসিএল নিলামে অংশ না নিয়েও লাইসেন্স পাওয়ার নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু লাইসেন্স ফি’র ২১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে না পরায় এখনো তারা লাইসেন্স পায়নি। :::প্রিয় টেক::: ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।