ঢাকা ফাঁকা। ঘরটা ফাঁকা। বুকটাও ফাঁকা।
ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ছুটে চলায় ঢাকা এখন ফাকা। বউ আর মেয়েকে দু দিন আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি গ্রামে।
তাই আমার ঘরটা ফাকা। ঘরে আমার আড়াই বছরের মেয়ের ছুটোছুটি নেই। আমি দুয়ারে নক করলে এখন আর কেউ আধো আধো বুলিতে বলে না কে...। ফাকা বাড়িতে একা আছি বলে আমার বুকটাও ফাকা।
ঈদের ছুটি চেয়েছিলাম অফিসে।
পাইনি। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটির পর শনিবার অফডে পাব। সেটাও বাতিল। পোড়া কপাল আমার। শুধু আমার বেলাতেই কেন? কেন? কেন?
জানিনা।
আমি কিছুই জানিনা। ঈদের আমেজ ঢাকায় লাগার শুরুতে আমার বাড়ি ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তাম তখন আর অফিসের মতো বাধাধরা কিছু ছিল না। ইচ্ছে হলেই ইচ্ছে ঘুড়ির নাটাইটা ছেড়ে দিয়ে দে ছুট..। চল ছুটে যাই বাড়ির টানে।
এখন আর সেসব পারিনা। সব কিছু বাধা পড়ে আছে।
অফিস করে রাতেই বেরিয়ে পড়তে চাই বাড়ির টানে, নাড়ীর টানে। জানিনা রাতে গাবতলী বা কল্যাণপুরে গিয়ে টিকিট পাব কি না। আগে থেকে টিকিট কাটতে পারিনা।
ওই একই কারণ। ছুটি মিলবে কি মিলবে না।
গত বছর ঈদে মোটর বাইক চালিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। বউ রাগ করে সাতদিন আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এবার আর ঈদের আনন্দ মাটি করার রিস্ক নিলাম না।
অগত্যা গাড়িই ভরসা। জানিনা কি হবে। রাতে গাড়ি চললে প্রয়োজনে ভেঙে ভেঙে যাব। ঘাট পার হলে ফরিদপুর, রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া এরপর ঝিনাইদহ...অতটা যাওয়া লাগেনা। এর আগেই শৈলকুপা।
মোটরবাইকে একটা থ্রিলিং ব্যাপার স্যাপার আছে। কিন্তু রাস্তার যা অবস্থা সাহস পেলেও এভাবে মনে হয় যাওয়া যাবে না।
যাই.. এবার অন্য ভাবেই যাই।
ঈদে আমার জন্য যে অপেক্ষা করছে মা বাবা বোন ভাই বউ মেয়ে ভাগ্নি সব্বাই... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।