আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদু ভাইরা রাজপথে না পেরে নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের পেটালো

নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রদল। হামলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে বিএনপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর দেড়টার দিকে ভিক্টোরি হোটেলের সিড়িতে দাড়িয়ে কয়েকজন সাংবাদিক আইনজীবী এমইউ আহমদের জানাজা ও বিক্ষোভ সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। জানাজা শেষে বিএনপির মিছিলের সঙ্গে যেতে সাংবাদিকরা সিড়ি থেকে নামতে যান।

আগে থেকেই সিড়িতে পথ অবরুদ্ধ করে বসেছিল কয়েকজন ছাত্রদলকর্মী। সাংবাদিকরা তাদের সরে দাড়িয়ে পথ করে দেয়ার অনুরোধ জানালে হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীনের অনুসারী ছাত্রদলের এসব ক্যাডার মুহুর্তের মধ্যেই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার কাফি কামাল ও আজকালের খবরের আবদুর রশিদ অর্ণবকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় সিড়ির নিচের দিকে দাঁড়ানো কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা করে খোকন ও শাহীনের ক্যাডাররা।

এতে কাফি কামাল ও আবদুর রশিদ অর্ণব আহত হন। একই সঙ্গে দৈনিক নয়াদিগন্তের মঈন উদ্দিন খান, ইনকিলাবের রফিক মুহাম্মদ, প্রথম আলোর তানভীর সোহেল, আমাদের সময়ের তারেক সালমান ও সংবাদের উমর ফারুককে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে গালাগালি করতে করতে তেড়ে আসে ছাত্রদল ক্যাডাররা। ছাত্রদল সূত্র জানায়, হামলায় অংশ নেন খোকনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত- মহসিন, রফিক, রুবেল, রুহুলসহ ১৫-২০জন ক্যাডার। তবে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত দলের নেতাকর্মীরা কেউ সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি।

তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের গেটে অবস্থানরত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে জানানো হয়। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের হতবাক করে দিয়ে বলেন, যা করবার তা বাইরে গিয়ে করেন। এখান থেকে বেরিয়ে যান। ওদিকে তখন হামলাকারীদের একজনকে মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, ভাই কয়েকজনকে সাইজ করছি। এগুলো আওয়ামী লীগের দালাল।

দু’একটি নিউজ করলে কিছুই হবে না। মানব জমিনের সিনিয়র রিপোর্টার কাফি কামাল জানান, কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনিও নিহত এমইউ আহমেদের জানাজা শেষে ভিক্টোরি হোটেলের সিড়ি থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় সিড়ি অবরূদ্ধ করে থাকা ছাত্রদলকর্মীদের সরে জায়গা করে দেয়ার অনুরোধ করলে তারা দূর্ব্যবহার করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে কিল ঘুষি মারা শুরু করে। এদিকে পরে ঘটনাটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে জানানো হয়।

তারা ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও নয়াপল্টন কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে একাধিকবার সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তবে দলের পক্ষ থেকে কখনো এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।