বাতি ঘরের আলোয় সবাই আলোকিত হউক আসুন আমরা সবাই এই ব্লগের মাধ্যমে ভূমিকম্প এবং এর পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
হিরোশিমায় আণবিক বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের আশঙ্কা বাংলাদেশে
গত বছর সেপ্টেম্বরে ৩ বার ভূমিকম্পের ফলে বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকার ভূগর্ভের কাঠামো বদলে গেছে। ফলে হিরোশিমায় আণবিক বোমার চেয়েও চারশ গুণ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এমন আশঙ্কা করছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে গত বছর ২০টি ভূমিকম্প হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টিই ছিল রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি।
এসব ভূমিকম্পের ৪টির উত্পত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরে। বাকিগুলোর উৎপত্তিস্থলও বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায়। চলতি বছর এ পর্যন্ত ভূমিকম্প হয়েছে ৯ বার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসবই বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরে অল্প সময়ের ব্যবধানে ৩টি ভূমিকম্প হয়।
এরপর থেকেই ভূমিকম্প উত্পত্তিস্থলের ভূগর্ভস্থ কাঠামোতে পরিবর্তনের বিষয়টি নজরে আসে। বিশেষ করে ভূগর্ভ কাঠামোর মধুপুর ফল্ট দীর্ঘদিন স্থির অবস্থায় থাকলেও গত বছরের ভূমিকম্পের পর এতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ কারণে যে কোনো মুহূর্তে ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। ঘন ঘন মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প এরই পূর্বাভাস বলে জানান অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি আরও জানান, গত ৪টি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলই ছিল দেশের ভেতরে চাঁদপুর ও ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায়।
এর মধ্যে চাঁদপুর এলাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদী আহমদ আনসারী জানান, গত একশ বছরে বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়নি। এ সময় ভূগর্ভের প্লেট বাউন্ডারি অথবা ফল্ট বরাবর প্রচুর শক্তি সঞ্চয়ের সম্ভাবনা রয়ে গেছে। এই শক্তি যখন ভূ-স্তর ধরে রাখার ক্ষমতা হারাবে তখন বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে।
ভূমিকম্প গবেষকরা বলছেন, বিগত সময়ে ঘটা ৬টি প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থলের মধ্যে একটি হচ্ছে সীতাকুণ্ড ফল্ট।
এ ফল্টের পাশের এলাকা চাঁদপুরে সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এটিএম আসাদুজ্জামান জানান, চাঁদপুরের ওই এলাকাটি অনেক ছোট ছোট ফল্টের সংযোগস্থল (টেকটোনিক প্লেট জংশন)। ফলে এলাকাটি বড় ভূমিকম্প সৃষ্টির সহায়ক। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের খুব কাছে মেঘালয়ের ডাউকি ফল্ট এবং ইউরেশিয়া-ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলের অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে আসাম-মেঘালয় ফল্টে একশ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
এ এলাকায় ১৮৯৮ সালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প হয়েছে। এরপর একশ বছর পার হওয়ায় যে কোনো সময় এ এলাকায় আবার ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাব্য এলাকা হিসেবে বগুড়া-মধুপুর ফল্ট (৭ মাত্রা), ত্রিপুরা ফল্ট (৭ মাত্রা) ও সাব-ডাউকি ফল্টকে (৭ দশমিক ৩ মাত্রা) চিহ্নিত করেছে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর।
সূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।