আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৫ মে গভীর রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা তদন্তে অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিমএক বিবৃতিতে গত ৫ মে গভীর রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেরসমাবেশে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি’র যৌথবাহিনীর হামলাকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেবলেছেন, আনুমানিক ৫০ হাজার নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত মানুষের উপর আধুনিকআগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত। এই বর্বরোচিতহামলায় কতো সংখ্যক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন,নিখোঁজহয়েছেন তা’ এখনো অজানা রয়ে গেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ- এর কর্মীদের সৃষ্টতান্ডবকে সামনে এনে সরকার ও তার বশংবদ সংবাদপত্র-মিডিয়াগুলো ৫ মে গভীর রাতে শাপলাচত্বরে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়েছে। নিজ দেশের জনগণেরএকাংশের উপর কোন সরকার এমন হামলা করতে পারে তা ভাবা যায় না। প্রকৃতপক্ষে ঐ রাতেগুলিতে কতো নিহত ও আহত তা জানে সরকার।

কিন্তু সরকার সবকিছু গোপন করে চলেছে। সেজন্যই এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে গভীর রাতে, মতিঝিল এলাকায়বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তথাকথিত ‘সাঁড়াশি অভিযানের’ সময় কোনসাংবাদিক বা মিডিয়া কর্মীকে ঘটনাস্থলে যেতে দেয়া হয়নি। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক সংবাদপত্রে প্রদত্ত বক্তব্যে ৫ মে গভীর রাতে ১২ সহস্রাধিকসদস্যের যৌথবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে একটি কথাও বলা হয়নি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীরমুখপাত্র সরকারদলীয় নেতা বলেছেন হেফাজতের বিরুদ্ধে অভিযানে হতাহতের কোন ঘটনাঘটেনি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ মে গভীর রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরেনিরস্ত্র ও ঘুমন্ত মানুষের উপর সশস্ত্র হামলা এক মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অপরাধেরবিচার হতে হবে। এজন্য অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা দাবী আদায়েমাঠে নেমেছে তা গণবিরোধী ও চরম প্রতিক্রিয়াশীল। কিন্তু প্রথম থেকেই সরকার এইবিষয়টি খোলাখুলিভাবে জনগণের কাছে নিয়ে যায়নি, একেরাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করেনি।

ভোটের হিসেব কষে হেফাজতে ইসলামকে প্রশ্রয় দিয়েছে। অন্যদিকে সরকারের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, দুঃশাসন,শ্রমিকগণহত্যা, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, দেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভকেআড়াল করতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কতিপয় ‘ব্লগারের’বিরুদ্ধেঅভিযোগ তুলে, একে প্রধান করে সামনে এনেছে। জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়েইসলাম রক্ষায় মাঠে নেমেছে, যখন ১৯৭১ এর গণহত্যার দায়ে জামাতে ইসলামী ও বিএনপি’র কতিপয় নেতারবিচার চলছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বর্তমান সরকারের চরমফ্যাসিস্ট শাসন অবসানে ও ইসলাম রক্ষার অজুহাত তুলে হেফাজত-জামাত-বিএনপি-জাতীয়পার্টির তান্ডব ও চক্রান্ত প্রতিরোধে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জনগণেরহাতে ক্ষমতা আনতে জনগণের সরকার গঠনে দেশব্যাপী গণরাজনৈতিক অভ্যুত্থান গঠনেপ্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।

Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।