আই লাভ দ্যা স্মোক, আই লাভ দ্যা স্মোকি লাইফ। সব ধোয়াটে থাকবে। ইচ এন্ড এভরিথিং। বেশ কিছুদিন কেটে গেছে এরই মধ্যে। তুলি অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে ঢাকার সাথে।
এখন তেমন একটা সমস্যা হয়না। বেশীরভাগ ছেলেকেই কেমন জানি সার্কাস সার্কাস লাগে। চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে হুন্ডায় চড়ে ভাবভঙ্গি নিয়ে চলাফেরা দেখলে হাসি পায় তুলির। বেশীরভাগ মেয়েই মনে হয় এই ছেলেদেরকে নিজেদের শরীর দেখিয়ে মজা পায়। সন্ধ্যায় টি.এস.সির মোড়ে ছেলে মেয়েদের নির্লজ্জ কাজকর্ম দেখে ঘৃণা হয় তুলির।
মনে চিন্তার উদয় হয়, ‘অশিক্ষিত লোকজন হলে মানা যেত। কিন্তু এত শিক্ষিত মানুষেরাই যদি এরকম করে বাকীরা কি করবে?’ ছোট্ট মফস্বলের মেয়ে তুলি নিজেকে বোঝায় এটাই জীবন। সে মেনে নিয়েছে বড়লোকের স্টাইলিশ ছেলেমেয়েরা ইচ্ছামত অসভ্য পোষাক পড়তে পারবে, অসভ্য কথা বলতে পারবে, অসভ্য আচরণ করতে পারবে, সবার সামনে যৌনলীলা করতে পারবে। এটা তাদের অধিকার। সালোয়ার কামিজ ছাড়া অন্য যে কোন ড্রেসেই তুলির এলার্জী লাগে।
কিন্তু এই ক্যাম্পাসে মেয়েরা ছোট্ট স্কার্ট, টি-শার্ট, স্কিন-টাইট জামা কাপড় পড়ে অবলীলায় ঘুরে বেরায়। কেউ ওড়নাও পড়েনা। সত্যিই বড় বিচিত্র প্রাণী এরা। মাঝে মাঝে পলাশ ভাইয়ের কথা বড় মনে পড়ে তুলির। বেচারা না জানি কেমন আছে।
পলাশ ভাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট হয় তার। মা-বাবার সাথে ফোনে কথা হয় প্রতিদিন। তবুও তাদের জন্যও অনেক খারাপ লাগে। এই জীবনটা কেমন যেন। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।
যার যার মত ব্যস্ত। কেউ কারো খোজ রাখেনা। সেদিন হঠাৎ তিনতলায় চিৎকার শুনে গিয়ে শোনে তিনতলার তারিন আপু সুইসাইড করেছেন। তারিন আপু অনেক সুন্দরী ছিলেন। তুলিকে অনেক আদর করতেন।
শুনল তারিন আপুর নাকি ভিডিও ক্লিপ বের হয়েছে। বয়ফ্রেন্ড তাদের ঘনিষ্ট দৃশ্য ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছ। তুলি হতবাক হয়ে যায় শুনে। বিয়ের আগেও যে এসব জিনিস মানুষ করে, আবার সেটা ভিডিও করে মানুষকে দেখায় তুলি সেটা মানতে পারেনা। উচিত শিক্ষা হয়েছে তারিন আপুর।
আবার ভাবে, ‘দোষ কি তারিন আপুর একার? ছেলেটার দোষই তো বেশি। সে তার ভালবাসার মানুষের বিশ্বাস ভাঙল। শাস্তিতো ছেলেটার হওয়া উচিত। তারিন আপু শুধুশুধু কেন মরতে গেল’? নিজের ভাবনা তুলি নিজের মাঝেই রাখে। কাউকে বলেনা।
যদি হাসাহাসি করে।
গতকালকে একটা অনুষ্টানে গিয়েছিল ইউনিভার্সিটির। অনেক ছেলেমেয়ে এসেছিল। একটা ব্যান্ড গান গাইলো। অনেক ভাল লাগল তুলির।
মজার ঘটনা হল, একটা ছেলের সাথে তার পরিচয় হল। অন্য কোন ছেলে হলে তুলি কথাই বলতনা। কিন্তু এই ছেলেটা কেমন জানি অন্যরকম। চেহারা ও সুন্দর। ছেলেটার নাম রুদ্র।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়ে। আরো মজার ব্যাপার হল, এই ছেলে নাকি গাড়িও চালায়। এর নাকি নিজের গাড়িও আছে। ওরে বাব্বা, অনেক বড়লোকের ছেলে। কেন জানি গতকালকে রাত্রে ওই ছেলেটার কথাই বারবার মনে পড়েছে তুলির।
কি যে মজার মজার কথা বলতে পারে ছেলেটা। খালি ইংরেজীতে বকরবকর করে। ছেলেটার সাথে আরেকবার কথা বলতে পারলে মন্দ হতনা। ছেলেটা অবশ্য ফোন নাম্বার দিয়ে গেছে। ফোন করে দেখবে নাকি একবার।
ভয় লাগে তো। না থাক।
-----------------------------------------
ল্যাপটপে তুলির ছবিগুলো দেখতে থাকে রুদ্র। নাহ, মালটা ভালই। সিস্টেম করতে হবে এনিহাউ।
কালকে অর্ধেক পটিয়ে ফেলেছে। একটু গাইয়া টাইপের মেয়ে। তবুও চেহারা, ফিগারটা জোস। চেখে দেখতে হবে। রনিকে মনে মনে থ্যাংকস দেয় রুদ্র।
ওই শালায় আরেকটা জিনিস। কেমনে চিপা দিয়া ছবিগুলা তুলসে। কেউই টের পায়নি। মেয়েটার ফোন নাম্বারটা নিয়ে এসেছে রুদ্র। ফোনে চাল দিতে হবে হিসেবমত।
যতই কনসারভেটিভই হোক পটাতে হবেই। জাস্ট একবারের জন্য হলেও.... একটা মাত্র ক্লিপ। ফ্রেন্ডরা মাথায় তুলে নাচবে। ভাবতে ভাবতেই খুশি হয়ে উঠে রুদ্রর মুখ। মোবাইলটা হাতে নেয় রুদ্র।
তুলি : হ্যালো, আসসালামুআলাইকুম।
রুদ্র : চিনতে পেরেছেন আমাকে?
তুলি : হুম। আপনি তো সালামের জবাব দিলেন না?
রুদ্র : সরি সরি ভুল হয়ে গিয়েছে। আসলে অনেক নার্ভাস লাগছে তো তাই। ভালো আছেন?
তুলি : আমি ভালো আছি।
আপনার নার্ভাস লাগছে কেন?
রুদ্র : না মানে, আপনাকে অনেক রাগী মনে হলতো কালকে, এজন্য।
তুলি : হা হা হা। আমি রাগী আপনাকে কে বলল? আমি তো একদমই রাগ করতে পারিনা।
রুদ্র : উফফ বাচলাম তাহলে। আচ্ছা, আপনি আর আমি কিন্তু একই ব্যাচের।
আমরা তো তুমি করে বললেই পারি। আপনি করে বলাটা কেমন যেন লাগে।
(তুলি চুপ করে থাকে)
আচ্ছা আমিই শুরু করি। তুমি ঘুমাবা কখন?
তুলি : এইতো আর কিছুক্ষণ পরে। আপনি?
রুদ্র : উহু।
হলনা। আমি কিন্তু তুমি করে বললাম। তোমাকেও তুমি করে বলতে হবে।
তুলি : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কখন ঘুমাবে?
রুদ্র : জানি না।
সত্যি কথা বলতে কি, কালকে থেকে আমার চোখ থেকে ঘুম চলে গেছে।
তুলি : কেন?
রুদ্র : জানিনা। আচ্ছা কালকে বিকালে তুমি ফ্রি আছ?
তুলি : আছি। কেন?
রুদ্র : কালকে আমি বিকালে তোমাদের ক্যাম্পাসে যাব। তুমি ফ্রি থাকলে গল্প করা যেত।
তুলি ইতস্তত করে রাজী হয়ে যায়। রুদ্র ফোন রেখে ইয়েসস বলে একটা মৃদু চিৎকার করে উঠে।
--------------------------------------------------
২ মাস পর
“দোস্ত, ক্যামেরা গুলা রেডী কর। আমি আর আধ ঘন্টার মধ্যে আসছি। মালটাকে নিয়ে এসেছি।
”- এস.এম.এস. টা পাঠিয়ে রুদ্র তুলিকে বলে, “গাড়ীতে উঠ। একটা মজার জায়গায় নিয়ে যাব তোমাকে। ইট উইল বি অ্যা লট অব ফান”। তুলি গাড়ীতে উঠার পর রুদ্রও গাড়িতে উঠে গাড়ী স্টার্ট দিল।
তুলি দরদর করে ঘামছে।
রুদ্রের সাথে এটা কোন জায়গায় এল বুঝতে পারছেনা সে। চারপাশে অনেক ছেলে মেয়ে জড়াজড়ি করে নাচানাচি করছে। রুদ্র কোথা থেকে যেন দুটো মদের গ্লাস নিয়ে এল। তুলিকে দিয়ে খেতে বলল। তুলি ভয়ে না করতে পারেনা।
রুদ্র যদি কিছু মনে করে। কাপা হাতে গ্লাসটা ঠোটে ঠেকিয়ে দেয় তুলি। প্রথমে একটু ঝাঝ লাগল। গ্লাসটা খালি করতেই মাথাটা কেমন যেন ঝিম মেরে উঠল তুলির। এমন সময় রুদ্র হঠাৎ তুলিকে জড়িয়ে ধরে তুলি কিছু বুঝে উঠার আগেই তুলির ঠোটে ঠোট লাগিয়ে দিল।
তুলি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল রুদ্রকে। “এসব কি করছ?”
- কেন? আমি কি তোমাকে ভালবাসি না। আই লাভ ইউ সো মাচ তুলি। জাস্ট একবার একটা কিস করব। এমন করছ কেন? তুমি কি আমাকে বিশ্বাস কর না?
- নাহ।
এগুলো ভাল না। আমি পারব না।
- তুলি, প্লিজ বোঝার চেষ্টা কর। ইট উইল বি ফান। এই যে দেখো সবাই এখানে এমন করছে।
তুমি এমন করলে কিন্তু আমি তোমার সাথে আর কথা বলব না।
বলতে বলতেই রুদ্র তুলিকে আবার জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমো দেয়। তুলি রুদ্রকে আটকায় না। মাথাটা বড় ঝিমঝিম করছে। রুদ্র তুলিকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটা গ্লাস এনে তুলিকে দিয়ে বলল, “এটা খাও।
ইউ উইল ফিল বেটার। ” অনিচ্ছাসত্ত্বেও গ্লাসের তরলটুকু গলায় ঢেলে দেয় তুলি। শরীরটা কেমন যেন দুর্বল দুর্বল লাগতে শুরু করে তুলির। রুদ্র তুলির ঠোটে আবার ঠোট লাগিয়ে দেয়। অসভ্য হাতটা আস্তে আস্তে তুলির বুকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
তুলি অস্পস্টভাবে বলে উঠে, “আহ, কি করছো? ছাড়ো। ” বাধা দিতে চায়। কিন্তু শরীরটা হঠাৎ করে কেমন যেন ভারী হয়ে গেছে।
“ইউ আর সো সুইট এন্ড সেক্সী তুলি। আই রিয়েলী লাভ ইউ।
”- রুদ্র অচেতনপ্রায় তুলিকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নেয়। তারপর হাটতে শুরু করে কোণার রুমটার দিকে। রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় রুদ্র। তুলিকে বিছানায় ফেলে উপরের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট ক্যামেরাটা দেখে নিশ্চিন্ত হয়। তুলি অস্পষ্ট স্বরে জিজ্ঞেস করে, “উফফ রুদ্র, কোথায় এনেছো আমাকে? আমি চলে যাব।
প্লিজ। ”
“এমন করে না সোনা। ইটস ফান। কেউ কিছু জানবেনা। বিলিভ মি।
”- টি শার্টটা খুলে বিছানায় তুলির উপর শরীর এলিয়ে দেয় রুদ্র। তুলির জামার বোতাম ধরে একটার পর একটা খোলা শুরু করে। তুলি আপ্রাণ চেষ্টা করে বাধা দেবার। কিন্তু শরীরটা কেমন যেন অবশ অবশ মনে হয়। তবুও হাত দিয়ে মৃদু ধাক্কা দেয় রুদ্রর শরীরে।
চেষ্টা করে রুদ্রকে সরিয়ে দিতে। কিন্তু রুদ্র তুলির হাত সরিয়ে দেয়।
“আই লাভ ইউ সোনা। এমন করে না। ইট উইল বি ফান।
বিলিভ মি। ”
প্রথম পর্বের লিংক
শেষ পর্বের লিংক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।