আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
এবারও প্রতিক্রিয়া নেই বিএনপির
Click This Link
ঘটনা সেই ১৯৯১-৯২ সাল হতেই শুরু। ৯১এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১৩৮, আম্লীগ ৮৮, জাপা ৩৫ এবং জামাত ১৮ সিট পেয়ে কোন বড় দলই একক ভাবে সরকার গঠন করতে পারছিল না। তখনই জামাতকে নিয়ে আলীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাটানি শুরু হয়। শেষমেশ বেশী সিটের জন্যই জামাত সরকার গঠনের জন্য তাদের সমর্থন বিএনপিকে দেয়। এখান থেকেই হাসিনা সহ তার দল তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা শুরু।
তারপর নিজেদের লোক হিসেবে বদরুল হায়দার চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য গোলাম আযমের বাসায় পাঠিয়েও সমর্থন নিতে ব্যার্থ হয় হাসিনা। ঐ সময়ই হাসিনা বলে যে "বিএনপি সরকারকে একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দিব না"। তারপরেই হাসিনার নির্দেশে রাজনৈতিক মঞ্চে ঘাদানিকের আগমন। শুরু হল ৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যু। এরপর যখন মাগুরা নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আসল তখন ১৯৯৫-৯৬ আম্লীগ ইউটার্ন দিল।
তখন এই ইস্যুতে জামাতকে সাথে পেয়ে কিসের বিচার এমনকি ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে এই নিয়ে হাসিনা টু শব্দটিও করেনি। এরপর যখন জামাত বিএনপির সাথে চার দলীয় জোট করে ২০০১এ ক্ষমতায় আসে তখন আবার ৭১এর যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গ। তার মানে আলীগের সাথে থাকলে জামাতের ৭১এর অপরাধ নিয়ে কোন ব্যাপার নয় কিন্তু বিএনপির সাথে থাকলেই যত্ত হুক্কা হুয়া ও ক্যাচাল। এরপর ২০০৯এ ক্ষমতায় এসে হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে ২০১০ সালে। মজার কথা হল এতদিন যুদ্ধাপরাধ যুদ্ধাপরাধ বলে চেচালেও শেষমেশ এটাকে মানবতা বিরোধী অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়।
শুরুতেই অতি উৎসাহী হয়ে হাসিনা এই বিচারকে আন্তর্জাতিক সমমানের সহ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতমূক্ত বিচারের কথা বলে মার্কিন মন্ত্রী ষ্টীফেন রাপের কাছে। হাসিনা বলে এই বিচার যেন সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হয় সে এভাবেই হবে। এরপর স্কাইপি স্ক্যান্ডালে বুঝা গেল যে হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব আছে এই ICTর উপর। নিজামুল হক নাসিম ও বেলজিয়ামে জিয়াউদ্দিনের সাথে যেই ধরণের কথোপকথন তাকে দেশীয় আইনেও সুষ্ঠ বিচার বলে না। বস্তুত আলীগ সরকার নিজেই এটাকে বিতর্কিত করে ফেলে।
এরপর বাচ্চু হতে একে একে এখন পর্যন্ত জামাত নেতা মুজাহিদের শাস্তি ঘোষিত হয়। এখানে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন ও গোলাম আযমের ৯০ বছরের জেল বাদে বাকী সবার মৃত্যুদন্ড হয়। কিন্তু এই সমস্ত রায়ে বিএনপি কেন তাদের প্রতিক্রিয়া জানাল না তাতে আওয়ামী-বাকশালী ও সুশীল নামক ছুপা BALদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা এই নিয়ে এখন নোংরা রাজনীতি ও উস্কানি মূলক আচরণ করে। ভাবখানা এমন যে বিএনপি রায় গুলি নিয়ে কোন কিছু না বলাতে যেন অপরাধ করে ফেলেছে! তো বাংলাদেশের কোন আইনে আছে যে বিএনপিকে এই নিয়ে কিছু বলতেই হবে? এই সমস্ত বিষয়ের উদ্দেশ্য হইল পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করা।
এখানে ১) বিএনপিকে জামাত হতে সরিয়ে আনা অথবা ২) বিএনপিকে বদনাম করা যে তারা ৭১এর ঘাতকদের বিচারের বিরুদ্ধে। মূলে একটাই কথা ভোট ব্যাংক। কারণ বিগত সাড়ে বছরে চুরি, র্দূনীতি-লুটপাট, জুলুম এবং হিন্দুস্থানের দালালি করে হাসিনা গংদের জন সমর্থন ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ভোটে তারা আর পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এই কারণেই বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য শাহবাগ ও তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ সারা দেশে আয়োজন করা হয়।
এর মাধ্যমে বিচারকে ইস্যু বানানো হলেও আসল মতলব ইসলামী মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঘায়েল করা। বার বার বলে যে বিএনপি জামাতকে ছাড়ুক। এমনকি সুশীলের মোড়কে ছুপা বালও এ ভাবেই বলে আসছে;
সপ্তাহের হালচাল
বিএনপি এখন জামায়াতকে ত্যাগ করুক
আব্দুল কাইয়ুম
Click This Link
অথচ ভন্ডের দল এটা বলে না যে কেন আলীগ ২৭০ সিট নিয়েও জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না? মানে জাতে মাতাল তালে ঠিক। ফালতু কাজের জন্য হুক্কা হুয়া! তবে তাদের মনে রাখা উচিত বিএনপি অত বোকা না যে আলীগ ও তার দালালদের মিষ্টি মিষ্টি প্রতারণামূলক কথায় জামাতের সাথে রাজনৈতিক জোট ত্যাগ করবে। যতই চেতনা-ফেতনা বল না কেন জনগণই ভোট দিয়ে রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পাঠায়।
ভোট নাই তো কোন লাভ নাই। এখন আওয়ামী-বাকশালীরা যদি বলদ মূর্খের মত এই রকম প্রলাপ করে নিজেদেরকে মিথ্যা সান্তনা দেয় দিক। বিএনপি তোমাদের শয়তানি ফাদে পা দিবে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।