আমিও শিশুর মতো/ তারই মতো মেনে নিতে পারি, যতো ব্যাথা না পাবার,/ ততো কাঁদি, ততো ঠুঁকি মাথা,/ যতো ক্ষতে বয়ে চলে- এ জীবনধারা। পবিত্র রমযান মাস চলছে। সারাদিন রোযা পালন শেষে আর কিছু থাক আর না থাক ইফতারিতে জুসের আইটেম থাকতেই হয়। রোযার সময় শরীরে যে পানি ও লবণের ঘাটতি থাকে তা জুস খেলে অনেকাংশে পূরণ হয়। তাছাড়া ছোট্ট সোনামনিদের কাছেও জুস অনেক প্রিয়।
বাজারে আম, কমলা, লেবু প্রভৃতি ফ্লেভারে জুস কিনতে পাওয়া যায়। আকর্ষনীয় প্যাকেটে পাওয়া জুস গুলো কতটা স্বাস্হ্যকর সেটাই বিবেচনার বিষয়।
বাজরে বিক্রিত জুসের মূল উপাদান হচ্ছে পানি,সুগার,প্রিজারভেটিভ,কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার। প্রাকৃতিক রং শরীর খুব দ্রুত শোষন করতে পারলেও কৃত্রিম রং সহজে শোষন করতে পারেনা। এতে বিভিন্ন জৈবিক কাজ সম্পন্ন করতে শরীরের অনেক সমস্যা হয়।
নামে ফলের জুস হলেও যেহেতু ফ্লেভার দেওয়া থাকে, তাই ক্রেতারা একরকমের প্রতারনার শিকার হন। প্রিজারভেটিভগুলো কেমিক্যাল, বিধায় শরীরের জন্য এটা ক্ষতি ছাড়া উপকার করেনা।
বাজার থেকে জুস না কিনে যদি বাসায় আসল ফলের জুস বানানো যায় তবে সেটাই হবে সবচেয়ে স্বাস্হ্যসম্মত উপায়। তবে যদি একান্তই প্রয়োজন পড়ে তাহলে খেয়াল রাখতে হবে, ক্রয়কৃত জুস পাস্তুরাইজড্ কিনা। পাস্তুরাইজড্ জুস সাধারণত অল্প সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে নেওয়া হয়।
এতে জুসে উপস্হিত ক্ষতিকারক জীবাণু মারা যায়। আমেরিকার বিক্রীত ৯৮% জুস পাস্তুরাইজড্।
আনট্রিটেড জুসে উপস্হিত ক্ষতিকারক জীবাণুর মধ্যে রয়েছে ই. কোলাই, সালমোনেলা (ব্যাকটেরিয়া), কৃপটোস্পরিডিয়াম (প্যারাসাইট), যা মানবদেহে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। পাস্তুরাইজেসন প্রকৃয়ায় এ সকল ক্ষতিকারক জীবাণুর দমন সম্ভব।
অতিরিক্ত জুস খেলে আরো যে সব স্বাস্হ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে আছে ওজন বৃদ্ধি, দাঁতের ক্ষয়, ডায়রিয়া ও আন্ত্রিক গোলযোগ।
কেমিক্যালযুক্ত জুস ও সফ্ট ড্রিংকস্ বেশি খেলে পিত্তথলিতে পাথর ও বৃক্ক নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।
এ জন্য অহেতুক আজে বাজে জুস ও সফ্ট ড্রিংকসের পেছনে পয়সা খরচ না করে ইফতারিতে স্যালাইন বা গুড়ের শরবত খান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।