আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলের ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রতিনিয়িত যাত্রীদের ভীর লেগেই আছে। কিন্তু আসন স্বল্পতার কারনে যাত্রীরা সিট না পেয়ে যাত্রীরা ষ্টেন্ডিং টিকেট করে ঘরে ফিরছেন। এতে সাধারণ মানুষকে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি ষ্টেশন কর্তৃপও পড়ছেন বিপাকে।
শ্রীমঙ্গল রেল ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ৫টি আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করলেও শ্রীমঙ্গলের সহস্রাধীক যাত্রীদের চাহিদার বিপরীতে এ ষ্টেশনে আসন বরাদ্ধ রয়েছে মাত্র ২১৭টি।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার হরি গোপাল সেন জানান, শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজার জেলা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াতের জন্য সরাসরি কোন বাস সার্ভিস না থাকায় যাত্রীদের জন্য ট্রেনই একমাত্র অবলম্বন। এরই মধ্যে শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন থেকে অনেকগুলো আসন কেঁটে নিয়েছে রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপ। আসনের চাহিদা পূরন করা না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ মেটানো সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সিলেট-চট্টগ্রামগামী দু’টি আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে আসন বরাদ্ধ আছে মাত্র ৮২টি।
এর মধ্যে আন্ত:নগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য ২৭টি এবং আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৮টি আসন বরাদ্ধ রয়েছে। দুই ট্রেন মিলিয়ে পথিমধ্যে লাকসাম, কুমিল্লা ও ফেনীতে আসন রয়েছে মাত্র ২৭টি। অপরদিকে সিলেট-ঢাকা গামী ৩টি আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে আসন বরাদ্ধ আছে মাত্র ১৩৫টি। এর মধ্যে আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য সাধারণ আসন শোভন ১৯টি, ৬টি চেয়ার, ৪টি প্রথম শ্রেণী ও ৪টি এসি সিট বরাদ্ধ রয়েছে। আন্ত:নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কেবলমাত্র শোভন চেয়ার সিট রয়েছে ১৭টি।
আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেসে শোভন ৬৫টি, চেয়ার ১০টি এবং প্রথম শ্রেণীর জন্য ১০টি আসন বরাদ্ধ রয়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের অগ্রীম টিকেটের জন্য মহিলাসহ ২ শতাধিক যাত্রী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সন্ধ্যা থেকে তারা টিকেটের জন্য ষ্টেশনে অপো করছেন। রাত ১২টার দিকে কিছু টিকেট পাওয়া যেতে পারে এমন আশায় ষ্টেশন কর্তৃপ যাত্রীদের লাইনে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য সিট বরাদ্ধের কারণে টিকেট সংকট চরমে উঠার করণে অনেকে অগ্রীম টিকেট নিতে এসেও পাচ্ছেন না।
বাধ্য হয়ে আসন বিহীন ষ্টেন্ডিং টিকেট ক্রয় করেই চলতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর ও চা-শিল্প সমৃদ্ধ পর্যটন এলাকা শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশনে টিকেট স্বল্পতার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। মৌলভীবাজার জেলা সদর সহ কয়েকটি উপজেলার ট্রেন যাত্রীদের একমাত্র অবলম্বন শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশন। প্রতিদিন ট্রেন যাত্রীদের জন্য এ ষ্টেশনে সহশ্রাধিক আসনের চাহিদা থাকলেও আসন সংখ্যা সর্ব-সাকুল্যে রয়েছে মাত্র ২১৭টি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।