মীর দাউদ আহমেদ।
ডাক নাম নাজিম, ওই নামেই তার পরিচিতি।
বনানীতে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া প্রতিষ্ঠান এমিকনের বর্তমান কর্ণধার তিনি।
কারিগর নাজিমের তত্ত্বাবধানে তার প্রতিষ্ঠানের ২২ শ্রমিকের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা’।
এটি তৈরিতে শ্রমিকদের মজুরি গুণতে হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
বলেন, ১৯শে জুলাই সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরে ডাক পান তিনি। সেখানেই তাকে কাজটি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
দেশবরেণ্য শিল্পী হাসেম খান ও কাইয়ুম চৌধুরী সম্মাননার ডিজাইন আগেই চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। তিনি শুধু পিডব্লিউডিতে সংরক্ষিত ৫০ বছরের পুরনো কাঠের ওপর ২০০ ভরি স্বর্ণ দিয়ে নির্ধারিত ডিজাইনে স্মারকটি তৈরির অর্ডার গ্রহণ করেন।
সময় দেয়া হয় চারদিন।
ডেলিভারির সময় নির্ধারিত হয় ২৩ তারিখ সন্ধ্যা।
স্বর্ণ জোগাড় আর ডিজাইন বুঝে নিতে ১ দিন চলে যায়।
আমিন জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণ কেনা হয় সরকারি উদ্যোগে। তারপর পরীক্ষা করা হয় এটমিক এনার্জি কমিশনে।
২২.৮ ক্যারেটের ২০০ ভরির একটু বেশি স্বর্ণ বুঝিয়ে দেয়া হয় নাজিমকে।
শর্ত দেয়া হয় স্মারক তৈরির পর পুনরায় পরীক্ষা করে তা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়ার।
এক প্লাটুন পুলিশের পাহারায় তা পৌঁছে দেয়া হয় গাজীপুরস্থ এমিকনের কারখানায়।
সেখানেই মূল কাজটি হয়।
কাজ চলাকালে কারখানায় সার্বক্ষণিক ৬ জন পুলিশ মোতায়েন ছিল।
স্পেশাল মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আর পুলিশ সুপার।
প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় তেজগাঁও ও বনানীর কাঠের কারখানা ও পলিশিংয়ের জন্য তিনবার ঢাকায় আনা নেয়া করতে হয়েছে স্মারকটি।
যাতায়াতে গাজীপুর থেকে এক প্লাটুন পুলিশ নিয়োজিত ছিল।
নাজিম জানান, প্রত্যক্ষভাবে ২২ জন শ্রমিক পালাক্রমে তিনরাত তিনদিন কাজ করে স্মারকটি তৈরিতে।
কেবল তিনি নন, তার সহযোগীদের কাজটি যথাসময়ে সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে আবেগ কাজ করেছে বলে জানান নাজিম।
তার ঘনিষ্ঠ দু’জনের নাম স্মরণ করেন তিনি।
মূলত স্বর্ণের ওপর মূল কাজটি করেছেন তপন রায়।
সব কিছু দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সুপারভাইজার বরকত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।