আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথা কথিত সামাজিকতা ও মানবতার কান্না

রমজান মাস আসলেই ইফতার পার্টি,এটা এখন একপ্রকার সামাজিকতা। ঘরোয়া পার্টি থেকে সুরু করে বিভিন্ন সংগঠন এমনকি বি্শ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচ,বিভাগ পর্যন্ত আলাদা আলাদা ভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। খাবার ও থাকে হরেক রকমের, মুরগী পোলাও থেকে শুরু করে আরও কতো কি!আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৭ই রমজানে এরকম একটা পার্টির আয়োজন করা হয় বি্শ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়। হরেক রকম খাবার দেখে পেটটা খিদায় চোচো করতেছিল আর ভাবতেছিলাম কখন ইফতারের সময় হবে। নির্ধারিত সময়ে খাবার পর্ব শুরু হলো বুঝলাম অনাহারে থাকার কি যন্ত্রনা।

হঠাৎ চোখ আটকে গেলো দরজার ও পাশে কিছু ছোট ছোট ছেলেমেয়ের উপর আমরা যখন খাচ্ছিলাম ওদের ক্ষুধার্ত চোখগুলো হয়তোবা ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আমাদের প্লেটে সাজানো হরেকরকম খাবারের উপর। আমরা যখন সারাদিন না খাওয়ার পরে হরেকরকম খাবার খেয়ে না খাওয়ার কষ্টটা সুদে আসলে মিটিয়ে নিচ্ছিলাম ওদের নিশ্বাসটা হয়তো আরও একটু দির্ঘায়িত হচ্ছিলো আমাদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ঠের অপেক্ষায়। ভাবতে পারেন কতটা অমানবিক আমরা?আমাদের পাশেই না খেতে পারা কিছু কোমলমতি শিশু আমাদেরই ফেলে যাওয়া খাবারের অপেক্ষায় প্রতিক্ষারত আর আমরা রসনা বিলাসে মত্ত তথা কথিত সামাজকতার ব্যানারে। এটা একটা উদাহরন মাত্র,এরকম ঘটনাতো প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে আমাদের আনাচে কানাচে। আমরা কি পারি না এত বিলাসবহুল খাবার না খেয়ে কিছু কিছু টাকা বাচিয়ে ওদের ক্ষুধার নিবৃত্তি ঘটাতে অন্তত এক বারের জন্য হলেও।

জানি আপনার একার দ্বারা কিছুই হবে না কিন্তু চেষ্টা করতে দোষ কি? আমার মনে হয় রমজানের মাহাত্ব শুধু নিজে না খেয়ে থাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং অভুক্তকে খাওয়ানো ও অনেক ভাল কাজ। আপনি যত খারাপ মানুষই হন মন থেকে একবার একটা ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন তুলে দিন। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আপনি যে মানষিক তৃপ্তিটা পাবেন তা হয়তো আপনার তথাকথিত সামাজিকতার মাঝে পাবেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।