বিএসসি প্রকৌশলী ও এক সময়ের তুখড় টিভি সাংবাদিক ভিটামিন-এঃ বিড়ম্ববনায় পুরো দেশ !
ঢাকা, বাংলাদেশ
দেশের সব মানুষই বর্তমানে দুটি ভাগে বিভক্ত। একদল যেকোন তথ্যই সরকারের বিপক্ষে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। অন্য দল, ঠিক তার বিপরীত।
উদাহরন স্বরৃপ বলা যেতে পারে, হরতালকালীন সময়ের মৃত লোকের সংখ্যা। এই সংখ্যা মানুষ যে যার সুবিধা মত দিয়ে থাকেন।
সঠিক তথ্যের তোয়াক্কাও করছেন না কেউ।
বিপত্তি দেখা দিয়েছে, ভিটামিন-এ খায়ানো নিয়ে। এব্যাপারেও যে যার সুবিধা জনক ব্যাসার্ধ নিয়ে বৃত্ত আঁকছেন। সরকার বিরোধীরা মনের মত রঙ লাগিয়ে বিভিন্ন খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একজন ৩য় স্তরের সংবাদ কর্মী দিসেবে, অন্যের কথায়, বিশ্বাস না করে, আমি সরাসরি অনুসন্ধানে নেমে পরি।
আ্মার বড় বোনের ছেলে “নুদরাত ওয়াফী’কে” খায়ানো হয়েছে ভিটামিন-এ। আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তাকে ফোন করি। ১ম বার ফোন তিনি রিসিভ করেননি। ২য় বার আবারো তার মায়ের ফোনেই কল করা হলে “নুদরাত ওয়াফী” ফোন ধরেন। কিন্তু আমার ফোন পেয়ে সে যে ইস্টাইলে মামা বলে চৎকার করে উঠেছে, তাতে মনে হয়েছে তিনি আগের চেয়েও ভালো আছেন (আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন)।
উনার বয়স ১ থেকে ৫ এর মাঝে হওয়ায় উনার সুস্থতা সম্পর্কে উনাকে প্রশ্ন করা যায়নি। অনেক কষ্টে তার মায়ের কাছে ফোনটি ট্রান্সফার করে, তার মাকে, তার ছেলের ভিটামিন-এ খায়ানো এবং ততপরর্বতী সুস্থতা সম্পর্কে জনতে চাইলে তিনি আমাকে ঝারির স্বরে উত্তর দেনঃ – “তোর এই আজাইররা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় আমার নেই, কোন কাজের কথা থাকলে বল, নাইলে ফোন কাট। অনেক কাজ পোরে আছে”।
এরপর স্বসম্মানে ফোনটি কেটে দেয়া হয়।
বাধ্য হয়ে ফোন করা হয় বড় দুলা ভাইকে।
মূল জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী আমার বড় দুলাভাই উত্তর দেনঃ “হ হেয়া হইতে পারে। একটু কেমন যেন মনে হয়”।
কিন্তু সততার সাথে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে আমি তাকে বলি, তার করা উক্তি তার সহ ধর্মীনীকে জানানো হবে। সাথে সাথে তিনি তার বক্তব্য তুলে নেন ও তার সন্তান পুরো সুস্থ আছেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেন। ব্যাপারটি সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হতে ফোন দেই, “নুদতার ওয়াফী” যে সরকারি চিকিৎসিকের পরামর্শে ভিটামিন গ্রহন করে, তার কাছে অর্থাৎ আমার পিতার কাছে।
তাঁর কাছে ফোন দিলে কিছুক্ষের মধ্যেই মোবাইল সেটটি কান থেকে সরিয়ে নিরাপদ দূরুত্বে নিতে বাধ্য হই। তিনি বলেন “আমার কোন কাম করতে কইলেইতো খালী হুনাও অফিসে কাম। এহন এই ফাও কাম করার সময় কই পাও, অফিসে কোন কাম নাই”।
নিজ সম্মান বজায় রাখতে ও পরবর্তী মাসে, হাত খরচ না পাওয়ার ভয়ে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে ফোনটি রেখে দেয়া হয়। সর্বশেষে ফোন দেয়া হয় সরকারি অন্য এক কর্মকর্তাকে।
জনস্বাথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত আমার ছোট দুলা ভাইকে ভিটামিন-এ খায়ানো সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, তিনি নান্না বিরিয়ানী খাওয়ার প্রসংগে চলে যান। তাই প্রতিবেদকের পক্ষে তখন আর কর্তব্য পালন সম্ভব হয়নি।
পাদটীকাঃ পরো ব্যাপারটি নিয়ে উপরের সবার উত্তর শুনে এটা নিশ্চত হওয়া যায় যে, তারা কেউই সিরিয়াস না। তাহলে কি, অনেকেই বাস্তব ঘটনা না যেনেই অন্যের কথায় গা ভাসাচ্ছেন। দেশে আজ তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠিত।
কেন আমাদের অন্যের কথা বিশ্বাস করতে হবে। কেন, আমরা নিজেরা বিষয় গুলো যাচাই করছিনা। হ্যা বিষয়টি নিয়ে নেগেটিভ কিছু পাওয়া গেলে আমারা অবশ্যই এর বিপক্ষে অবস্থা নেব। কিন্তু আগেতো নিজেকে নিশ্চিত হতে হবে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, কোন খবর নিশ্চিত না হয়ে ছড়িয়ে দিবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।