আমি সব সময় আমার ভিতরের আমিকে খোজি অনেক দিন পর তোমাকে দেখে আমি চমকে উঠে ছিলাম | তুমি আমাকে সালাম দিয়া জিগ্যেস করলে, কেমন আছ | আমি উত্তর দিতে ভুলে গেলাম, আমি তাকিয়ে দেখলাম, তুমার কুলে একটি শিশু , দেখতে খুবই সুন্দর একদম শিল্পীর আঁকা ছবির মত, আমি জানতাম তোমার একটি মেয়ে হয়েছে, তুমিই আমাকে ফোন করে বলেছিলে, যখন তোমার মেয়ের বয়স ৭ দিন, আমি সেদিন খুবই আশ্চর্য হয়ে ছিলাম(এখনো আমাকে অনুভব কর !). আমি জানতে চাইলাম তোমার মেয়ের নাম কি রেখছ, তুমি উত্তরে বললে "তৌফিকা"| আমি আর কোন কথা না বলে হাত বাড়িয়ে বাবু বলে মেয়েটাকে কুলে নিয়ে তোমার দিকে লক্ষ করলাম দেখলাম তুমি এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছ | এই তাকানো এবং আজ থেকে তিন বত্সর আগের তাকানোর মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য দেখতে পেলাম আমি | আমি আজকে পরিস্কার ভাবে দেখতে পেলাম তোমার চোখের কোথয় যেন একটা কান্না কান্না ভাব, তুমি যেন কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছ অনেক আগেই | আমিও কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম | তোমার এরকম অনভতি দেখে আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছিল সেই, ৫ বত্সর আগের মত(৬-০৮-২০০৬) , যেদিন তোমাকে প্রথম দেখে ছিলাম, বাসায় গিয়ে মোবইলে কথা বলতে বলতে কি না কান্নাই কেদে ছিলাম সেদিন( তুমি শুনলে নিশ্চই আরো আশ্চর্য হবে, আমার এক বন্ধু ছিল " তুমি তাকে আগে থেকেই জানতে, যার মধ্যমে তোমার সাথে আমার প্রথম পরিচয়, আজকে সে আর এই ধরিত্রীর মাঝে নেই, সে আমাদের সবাই কে আশ্চর্য করে ১১-১১-২০০৯ এ পালিয়ে গেছে নিজেকে বাচানোর জন্য, সে আমাকে এতটাই ভালবাসত যেকোনো মুহর্তে আমার জন্য তার জীবন উত্সর্গ করতেও রাজি ছিল | এই আশ্চর্য বেপারটা আমি অনুভব করে ছিলাম সেদিন, যেদিন তোমার সাথে কথা শেষ করে আমার রুমে গিয়ে আমার দুই পা জড়িয়ে ধরে কেদে ছিল, এমন কান্না কোন পুরষ মানুষ কাদতে পারে 'তবু অন্যের জন্য আমার জানা ছিলনা' | সে কোন দিন আমাকে বলে নি, তুমি সেদেন কি বলেছিলে | সুধু একটা কথা ও বলেছিল আমাকে, তুমি নাকি তাকে জিগ্গেষ করে ছিলে" আমি যদি সাত সন্তানের জননী হয়ে তার কাছে গিয়ে যদি দাড়াই তাহলে সেকি আমাকে গ্রহণ করবে" আমি উত্তরে কি বলে ছিলাম হয়ত তুমি ত়া জান, কিন্ত, আজও আমার জানাহলনা তুমি তাকে আরো কি বলেছিলে, যার জন্য সে আমাকে একটু একটু ঘৃনা করত এবং তুমার প্রতি যেন ওর শ্রদ্ধাটা আরো একগুন বেড়ে গেল" আমি তখন খুবই আশ্চর্য হয়ে ছিলাম যে আমার জন্য তার জীবন দিতে প্রস্তত, সেকিনা তোমার জন্য আমাকে ঘৃনা করে আর তোমার প্রতি ওর শ্রদ্ধা অনেক গুন ওপরে" আমি এই রহসসের জাল থেকে আগেও বের হতে পারিনি, আর হয়ত জীবনে কোনদিন ইচ্ছে করলেও বের হতে পারবনা, কারণ সে এখন আমাদের কাছ থেকে অনেক অনেক দুরে চলে গেছে" বড় অভিমানী ছিল যে তাই" | আর তুমি যেকিনা থেকেও নেই !) আমি যতক্ষণ তোমার বাচ্চাকে কুলে নিয়ে বসে ছিলাম, ততক্ষণ তুমি বারবার আমার দিখে লক্ষ রাখছিলে, আর আমি বারবার তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে লক্ষ করছিলাম, তোমার সেই চাহনি আর আজকের চাহনিতে অনেক অনেক পার্থক্য | হয়ত, আমি আজও বোঝতে পারিনাই তুমি আমার কাছে কি চযেছিলে বা এখনো | তবে আমি এখনো তোমাকে অসম্ভব অসম্ভব অসম্ভব রকম ভালবাসি | প্রশ্ন করতে পার এতটা বেশি ভালবাস তাহলে কেন, কেন কাছে টানতে পারলেনা আমাকে ( আমি হয়ত উত্তরে বলব, তখন আমি দুই রাস্তার মাঝে ছিলাম ১| হলো আমার career ২| হলে তুমি | তখন আমি বুকার মত ১ নাম্বার টাকেই বেছেনিলাম | কারণ, আমি জানতাম তুমিও আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসো, আমি যখন তোমাকে আমার মত করে চাইব তখনিই তুমি আমার হবে | দেখো, আমি কি বুকাইনা না ছিলাম, যে ডাকে তুমি আমাকে বার বার ডাকতে এবং আজও ডাকলে | আমি কিন্ত এতটুকুও আশ্চর্য হই নাই তোমার এ ডাক শুনে |) হে আমার career এখন অনেক ভাল, আমি ইচ্ছে করলেই প্রতিমাসে এখন মোটা অঙ্কের dollar কামাইতে পারি | কিন্ত তুমি কি যান আমি কিরকম এক গভীর শুন্যতা, গভীর শুন্যতার মধ্যে বসবাস করছি, না তুমি ত়া যান না এবং আমি লক্ষ করে দেখলাম তুমি জানতে চাওনা | তাহলে আমার ধারণা কি ভুল হয়ে গেল, ওই যে আমি জানতাম তুমিও আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসো( আমার সেই বন্ধুর মাধ্যমে), নাকি ভালোবস ঠিকই কিন্ত চিন্তা কর সমাজ, সংসার, চারিদিকের মানুস গুলোর কথা | আমি পরিস্কার করে বলতে পারি তুমি আজও আমাকে ভালোবাসো, আর এই ভালোবাসাটা আমি তোমার, তোমার চোখের এক কোনে লোকিয়ে থাকা জলের মধ্যে অনভব করেছি আজকেও | হটাত তোমার বাবুটা কান্না শুরু করলো, তুমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে আমার চলে যাওয়ার সময় হয়েছে, আমি আজও সেই আগের মত তোমার দিকে তাকালাম, তখনও কিছু বলতে পারিনাই , আজও বলতে পারলাম না ( বলতে যেয়েও আটকে গেলাম, ভাবলাম কি হবে বলে, তুমি তো এখন একটা পাথরের মূর্তি হয়ে গেছ ). আমি খুবই আশ্চর্য হলাম তুমি যাওয়ার কথা বলেও বাবুকে আমার কুল থেকে নিচ্ছনা, আমি একদম তোমার খুব কাছা কাছি বাবুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছি, আর তুমি নিচের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছ | এই মুহর্তে তোমার দিকে তাকিয়ে আমার চোখে জল এসে গেল | আমি কিছু একটা বলেতে গিয়ে আটকে গেলাম হটাথ রোমের মধ্যে কারো উপস্তিতি টের পেয়ে আমি আমার অশ্রু ভরা চোখটাকে জানালার দিকে সরিয়ে নিলাম, কিছুই বলা হলনা | এবার আর তুমি দেরি করলেনা, আমার কাছ থেকে বাবুকে নিয়ে, সালাম দিলে এবং বললে আশি, আমি সুধুইই তাকিয়ে রইলাম | তুমি আছেতে আছতে সিড়ি বয়ে নিচে নামতে লাগলে, আমি তাকিয়েই রইলাম | সিড়ির প্রথম ধাপ পারহয়ে তুমি আবার উপরের দিকে তাকালে এবং একটু সময় দাড়ালে, তুমি আবারও বললে আশি, আমি কোন উত্তর দিলাম না শুধুই তাকিয়ে রইলাম, আর অনুভব করলাম আমি যেন এক গভীর শুন্যতায় হারিয়ে যাচ্ছি( যেখানে শুধুই অন্ধকার, আমি যেন এক অন্ধের মত দুহাত বাড়িয়ে রাস্তা খোঁজ্ছি, কিন্ত রাস্তা খোঁজে পাচ্ছিনা ) | তুমি আছতে আছতে নিচে নেমে গেলে, আমি এবার জানালা দিয়ে তোমাকে লক্ষ করতে লাগলাম, আর মনে মনে ভাবতেছিলাম হয়তো তুমি আবার একবার উপরের দিকে তাকাবে, কিন্ত না তোমি ত়া করলেনা, তুমি তো আগে এরকম ছিলেনা | আমি তখনও তোমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম, আর দেখলাম আছেতে আছতে কোথায় যেন হারিয়ে গেলে, আর আমি এক গভীর শুন্যতায় ডুবে গেলাম | হটাথ আমি অনুভব করলাম এটাই মনেহয় আমাদের শেষ দেখা, সাথে সাথে আমার দু চোখে জলের আগমন অনুভব করলাম, আর মনে মনে বলতে লাগলাম তুমি জানলেনা আমি আজও আজও তোমাকে অসম্ভব অসম্ভব রকম ভালবাসি ভালবাসব এবং ভালোবেসেছিলাম |
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।