আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: কৃষি অনুষদ- প্রথম ব্যাচ আহা কতো মজারে! সাইট্রাস সেন্টারে!!

ভাল দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু এই প্রবাদ প্রমান করতে যেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটু দূরে জৈন্তাপুর গিয়েছিল কৃষি অনুষদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। উদ্দেশ্য ছিল জৈন্তাপুরে অবস্থিত সাইট্রাস সেন্টার। সহজ কথায় এগ্রোফরেস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট থেকে ছোটখাট শিক্ষাসফর। সকাল নয়টায় বাস ছাড়ার কথা ছিল। বেঁেক বসল বৃষ্টি।

না না সে কোন মেয়ে নয়! সিলেটের আবহাওয়ায় যাকে একটু পর পর পাওয়া যায় সেই বৃষ্টি। যাই হোক কাক ভেজা হয়ে সবাই বাসে পৌছুল,বাস ছাড়তে ছাড়তে সকাল দশটা। বাস ছাড়ার সাথে সাথে সবার মাঝে হৈ হৈ রব পরে গেল। অনেকে আবার কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগল আবার অনেকে দল বেঁধে গান শুরু করে দিল। হঠাৎ করে গান বন্ধ সবাই বাইরে তাকিয়ে ।

মুগ্ধ নয়নে সকলে যে তখন প্রকৃতির অপরুপ সুধা পান করছে। সুন্দরী কন্যা সিলেটকে যেন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে বানিয়েছেন। পাহাড়ী নদী আর ঝর্ণা হাতছানি দিয়ে ডাকছে সবাইকে। রাস্তার দুপাশে বর্ষায় প্লাবিত মাঠগুলো দেখে মনে হয় সাগরের মাঝ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে। পৌনে এক ঘন্টা পর সবাই কাঙ্খিত সাইট্রাস সেন্টারে পৌছালো।

সেদিনকার শিক্ষা সফরের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোঃ সামিউল আহসান তালুকদার। তিনি সেখানকার (সাইট্রাস সেন্টার) দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার কে সাথে নিয়ে ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখালেন। সাইট্রাস মানে লেবু জাতীয় ফসল। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান আমলে সাইট্রাস সেন্টার টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে কলেবর ছোট থাকলেও বর্তমানে এটি ১১৯একর জায়জা নিয়ে কাজ করছে।

কমলা, মাল্টা, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাতকরা, তৈকর, গোলমরিচ এর অনেক জাত এখান থেকে উদ্ভব হয়েছে এবং একে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রটির পাশেই ভারতের বর্ডার। অনেক কাছ থেকে থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সত্যিই যেন মেঘালয়, সারি সারি মেঘের ভেলা উড়ে যাচ্ছে। আবার কিছু মেঘ যেন রাগ করে উঁচু পাহাড়ের বুকে ঠায় দাড়িঁয়ে আছে।

এপাশ থেকে ভারতের বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট দেখা যাচ্ছে। কয়েকটা পাহাড়ী ঝর্ণাও দেখা গেল। এপার বাংলা ওপার বাংলা মাঝখানেশুধু কাটা তারের বেড়া। ফেরার সময় হয়েছে। অনেকের ইচ্ছা ছিল কাছাকাছি রাজবাড়িটা পরিদর্শনের।

সময়ের অভাবে আর হয়ে উঠেনি। ফেরার পথে সামিউল স্যার সবাইকে সিঙ্গারা আর পানীয় খাওয়ালেন। দুপুরের আগেই সকলে ক্যাম্পাসে ফিরল। পেছনে রেখে এল কিছু সুখ স্মৃতি। সব ছবি দেখতে চাইলে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.