আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক রাতে ৩ টি ইদুরের সিগারেট চুরর গল্প..........

আমি বিড়াল পছন্দ করি ,এ দেশের কষ্ট থাকা বিড়ালদের উপকার করতে চাই। তখন ছিল শীতকাল। আমরা ময়মনসিংহ এ ফুল ফেমিলি বেড়াতে গিয়েছিলাম। ময়মনসিংহ আমার দাদু বাড়ি। আমি ও আমর ২ ফুফাতো ভাই একসাথে হলে বাদরামি এর জ্বালায় সবাই অতিষ্ট হয়ে যাবার যোগার হয়।

বলাই বাহুল্ল যে সেবার আমরা একসাথে বেরাতে গেলাম। আগেই বলে রাখা ভালো আমরা ৩ ভাই ধূমপান করি না,আমরা অতি ভদ্র ছেলে,ধূমপান যে বিষপান এটা আমরা অতি সম্মানের সাথে মানি। তবে এখানে একটা কিন্তু আছে। মাঝে মাঝে যে করি না তা না। তো সেই মাঝে মাঝে এর একটা দিন ছিল ময়মনসিংহ এর সেই শীত এর রাত।

প্রচন্ড শীত। রাতে আমাদের শুতে দিল একটা টীনশেড এর ছোটো ঘরে,কারন আমাদের বাসায় যায়গা ছিলো না। টীনশেডের বাসা টা দুই রুম এর। এক রুম এ আমরা,আর আরেকটাতে আমার ২ ফুফা। রাত বাজে তখন তিন টা,সবাই ঘুম,নাক ডাকার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।

কিন্তো আমরা ৩ জন তখনও চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছি আর শীতে জমছি.......তখন হটাৎ আমার পানির পিপাসা পেল,আমি পাশের রুম এ পানি খেতে গিয়ে দেখি ২ ফুফা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে,কোন হুস জ্ঞান নাই। আমার হঠাৎ চোখ পড়ল টেবিলে,দেখি এক প্যকেট বেনসন। আমি ইউরেকা বলে চিৎকার করতে গিয়ে ও করলাম না। এক দৌড়ে ভাইয়াদের ঘটনা খুলে বল্লাম। ভাই্য়ারা শুনে সাবাশি দিলো,এখন ঘটনা হল প্যাকেটে মাত্র ৩ টা সিগারেট ছিল।

ঠিক হলঐখান থেকে একটা আমরা হাপুস করবো। আমি আইডিয়া দিলাম যে লটারি হোক কে যাবে চুরি করতে। ওমা!! ওরা লটারি তো দুরে থাকুক, আমি ছোট বলে আমাকে ঠেলে ভিতরে ঢুকায় দিল আমার কোন কথায় শুনলো না । ভেবে দেখলাম কিছু করার নাই,এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে কাজটা করতেই হবে। আমি ঢুকলাম রুম এ,এদিক ওদিক তাকায় দেখি কেও দেখছে না।

এই সুযোগ। আমি সুযোগের সদ্য ব্যবহার করলাম। সুন্দর করে প্যকেট টা হাতে নিলাম,ফুস করে খুল্লাম,টুস করে একটা বের করলাম,প্যকেট টা আবার সুন্দর করে লাগিয়ে রাখলাম। আমার তখন উত্তেজনায় হাত পা কাপাকাপি অবস্থা। এরপর এক দৌড় এ আমি গায়েব।

আমার কাজকর্মে ভাইয়ারা হেব্বি খুশি। আমার ও গর্বে বুক এক হাত বেড়ে গেলো। তারপর এলো সেই অন্তিম মুহুর্ত। কিন্তু জ্বালাতে গিয়ে দেখি ম্যাচ নাই। আয়হায়!!! আমি আর্তনাদ করে উঠলাম!!! সব ই কি তাহলে পন্ডশ্রম?? আমার হটাৎ মনে পড়লো টেবিল এ একটা ম্যাচ ছিলো,বল্লাম সেটা ভাইয়াদের।

বলেই বুঝলাম কত্তবড় ভুল করে ফেলসি। একটু পর আবার নিজেকে আবিস্কার করলাম সেই রুমে। গজগজ করতে করতে ম্যাচ নিয়ে বাহিরে আসলাম। জ্বালানো হল,২ জন পেট ভরে খেল,আমি যেই চাইলাম,আমাকে একটু দাও,তখন আমার উপর ফিলসফি ঝাড়ল। মেজাজ খারাপ এর চুরান্ত হবার পর দিল একটুখানি আমাকে।

সেটাতেই সন্তুস্ট থাকতে হল আমার। তারপর কিছুক্ষন পর আমি আবার সেই রুম এ । ম্যাচ রেখে আসতে হবে যায়গামতন। এতোক্ষনে বেপার টা আমার কাছে গা সহা হয়ে গেছে। বের হয়ে দেখি,২ জনকেই চিন্তিত দেখাচ্ছে।

আমি জিজ্ঞাস করলাম কি হইসে?? সিগারেট খেয়ে পেট ভরে নাই??ভাইয়া তখন কাছে ডেকে বলে,তোর ফুফা উঠে যখন দেখবে একটা নাই,আমাদের কে সন্দেহ করলে তখন কি করবি??আমার মাথায় হাত,এতক্ষন এটা একবার ও মাথায় আসলো না কেন?? ভাই্য়া আমাকে ঝাকি দিয়ে বলল, বলবি টা কি???তোর দোষ সব.......... আমি রেগে বলে উঠলাম,কিসের আমার দোষ?? আমি কিচ্ছু জানিনা,আমাকে আসক্‌ করলে আমি বলবো,৩ টা ইদুর আসছিল,ওরা প্যকেট খুলে একটা নিয়া গেছে........ব্যস,এটার ই দেড়ী ছিলো,আমাদের আর পায় কে,৩ জনে হাসতে হাসটে অবস্তা কাহিল........এক ভাইয়া এর আবার হাসির বাতিক ছিল......ও হাসলে বিল্ডিং কাপায় হাসে.....(nt jocking) ,এতো বিপদের মধ্যে আবার আমাদের মনে একটা দৃশ্য ভেষে উঠল,৩ টা ইদুর সিগারেট এর প্যকেট থেকে একটা চুরি করতেসে মানলাম.....। ইদুর আবার প্যকেট টা যাবার আগে সুন্দর করে লাগায় রেখে গেছে। এরাতো দেখি ডিজিটাল ইন্দুর!!! ব্যস,হাসির মাত্রা গেল বেড়ে। হাসির শব্দে ঐদিকে ফুপা এর ঘুম ভঙে গেছে ততক্ষনে। একটু পর শুনি ম্যাচ জ্বালানোর শব্দ!!! ঐদিকে আমার বাতিকগ্রস্থ ভাই কেন জানি হাসা শুরু হল!!!(কি মুশকিল).. আমাদের আত্তারাম খাচাছাড়া অবস্তা!!! আমরা কম্বল মুড়ি দিয়ে মড়ার মত পড়ে আছি,আর আল্লাবিল্লা করছি।

আল্লাহ আমাদের ডাক শুনলেন। ফুপা কিচ্ছু টের পায় নায়....উনি সিগারেট খেয়ে আবার সুতে গেলেন.....একটু পর নাক ডাকার শব্দ!! ঐ ভা্ইয়া এর হাসি তখনো কনটিনিউ........(উফফ কি জ্বালা) ...... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।