এক সময় সুকান্ত পড়লাম, নজরুল পড়লাম, রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, জীবনানন্দ দাশ পড়লাম, জসিম উদ্দীন পড়লাম, শরৎ পড়লাম। যখন মনে করতে শুরু করলাম লেখালেখি করবো, তখন বাদামের ঠোঙা কুড়িয়েও পড়তে শুরু করলাম। কলেজে ভর্তি হবার পর হাতের কাছে দুইটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরী পেলাম। একটা শহরের পৌর পাঠাগার। একটা কলেজ লাইব্রেরী।
মোটা মোটা বই বাড়িতে এনে চোখ ডুবিয়ে নাক ডুবিয়ে পড়ছি। অনেক কিছুই হয়তো বুঝছি না, তবু পড়ছি। প্রথম দিকে সাহিত্যের বইই পড়তাম। পরে অন্যান্য বিষয়গুলোও পড়তে শুরু করলাম। তারপর যখন মনে হলো আমার রাজনীতি করা উচিত, তখন রাজনীতি ও ইতিহাসের বই পড়েছি।
পাঠ্যক্রম মেনে তো পড়া হয়নি। কোনটা আগে পড়তে হবে কোনটা পরে কেউ বলে দেইনি। কিছু সিরিয়াস পাঠকের সাথে আলাপ পরিচয়ের পর বুঝেছি, পড়াপড়িতে একটা ক্রমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। রাজনীতিতে কাটালাম বেশ কিছু বছর। রাজা-উজির হবার সাধ আর রইল না।
পত্র-পত্রিকা বের করেছি বেশ। মফস্বল থেকে লেখা পাঠাই জাতীয় দৈনিকে, ছাপা হয়। পড়াপড়ির ধারাবাহিকতায় চোখ খুলে গেলো, আমি যে লেখা লিখছি এটা বিশ্বসাহিত্যের নাগাল পাবে না কিছুতেই। অনর্থক কেনো লিখছি? লেখালেখিটাও ছাড়তে হলো।
শামুক হয়ে রইলাম অনেক বছর।
বারো বছর পর গলা বাড়িয়ে দেখলাম কাক হতে পারি। আবার যখন লিখছি, সেদিনের সেই পঠন-পাঠনই আমার কাজে দিচ্ছে এখন। এখন যেগুলো পড়ি নতুন সিলেবাসের আলোকে। এ পড়াটা তাৎক্ষণিক কাজের প্রয়োজনে। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল লেখকগণের তাজা স্মৃতির কাছাকাছি সময়ে আমরা নতুন সাহিত্য নির্মাণে সচেষ্ট হয়েছি।
আমি এখন কতদূর দৌড়ে যেতে পারবো? আমি হয়তো লেখক হতে ভালোবাসি। শুভ জন্মদিন সরসিজ আলীম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।