গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী বেহাল মহাসড়ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ধমক শুনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক দেখতে গেলেন যোগাযোগমন্ত্রী ও যোগাযোগ সচিব। তাদের তৎপরতায় এক সপ্তাহ পর চালু হলো ওই রুটে বাস চলাচলও।
সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের মধ্যে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সচিব মোজাম্মেল হককে তিরস্কার করেন শেখ হাসিনা।
সড়ক সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল এর ১৩টি রুটে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ ছিলো।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর এ মহাসড়ক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সড়ক নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে।
যার ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিকরা। মঙ্গলবারও ঢাকায় একটি সেমিনারে যোগাযোগমন্ত্রীকে অপসারণের দাবি ওঠে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন মন্ত্রী ও সচিবের তোপের মুখে পড়ার তথ্য।
ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগমন্ত্রীকে বলেন, 'আমি আড়াই বছর ধরে তোমাকে বলছি ভাঙা রাস্তাগুলো ঠিক করতে। প্রতি বছর রাস্তা ঠিক করা হলে তো এখন আর এ অবস্থা হতো না।
ছোট ছোট গর্তগুলোই তো এখন পুকুরের মতো হয়েছে'। "
প্রধানমন্ত্রী যখন এ কথা বলছিলেন, তখন যোগাযোগমন্ত্রী চুপ ছিলেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বেহাল মহাসড়ক নিয়ে গত রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাহাসে জড়িয়ে পড়েছিলেন আবুল হোসেন। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার অভিযোগ করে এর দায় অর্থমন্ত্রীর ওপর চাপান তিনি। তবে সঙ্গে সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তদারকির অভাবেই মহাসড়কগুলো বেহাল হয়েছে।
মুহিত মঙ্গলবার সকালেও সাংবাদিকদের বলেন, "উনি (যোগাযোগমন্ত্রী) না বুঝে তা বলেছেন। "
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে যোগাযোগমন্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে যোগাযোগ সচিব মোজাম্মেল হকও প্রধানমন্ত্রীর তোপে পড়েন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, "যোগাযোগ সচিব প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করেনি বলেই সড়কের এ অবস্থা হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ সচিবকে বলেন, আপনি চুপ করেন। আপনি নিজে গিয়ে দেখেন না কেন?"
প্রধানমন্ত্রী ঈদের আগে শিগগিরই সড়ক সংস্কারের নির্দেশও দেন।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে থাকা ৬৯০ কোটি টাকা দিয়েই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেরিয়েই যোগাযোগমন্ত্রী ও যোগাযোগ সচিব গাজীপুরের পথে রওনা হন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক দেখে ভোগড়া বাইপাসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের আগেই সড়ক সংস্কার হবে।
ঈদের আগেই সংস্কারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেও এক দিন আগেই সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছিলেন, রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী।
এ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচলের নজির তুলে ধরে তিনি রোববার সাংবাদিকদের বলেন, "রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হলে এ বাসগুলো চলাচল করতে পারতো না।
"
মহাসড়ক দেখে যোগাযোগমন্ত্রী আসেন মহাখালী বাস টার্মিনালে। সেখানে বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপরই মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, রাত থেকেই ওই রুটে বাস চালানো শুরু করবেন তারা।
ঈদের আগে এ এক সপ্তাহ মহাখালী থেকে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের ১৩টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। দুদিন ধরে বন্ধ ছিলো টাঙ্গাইলে বাস চলাচলও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।