যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে অস্বাভাবিক খানখন্দে ভরা সড়ক, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ী আর ভুয়া লাইসেন্সধারী ড্রাইভার - এসব দেখার দায়িত্ব কার? গত কয়েকদিন পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাথে বাসের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বাস মালিকেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। টিভিতে গাজীপুর চৌরাস্তার যে ছবি এসেছে তা দেখলে বোঝা যায় ঐ সড়কে হেঁটে যাওয়াও পুলসিরাত পার হবার মত।
ঢাকা শহরের মেয়র তো মৃত - তার থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। অলিগলিতে হাঁটা যায় না।
বিশাল বিশাল খন্দ, বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। দিনের পর দিন, মাসের পরে মাস, বছরের পরে বছর এমনই চলছে। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ, তারপরে আবার বিএনপি তারপরে আবার আওয়ামী লীগ এসে ক্ষমতার রঙবদল করে দেয় - কিন্তু এসব সড়কের কোনো গতি হয় না।
ক'টা ড্রাইভারের সঠিক লাইসেন্স আছে? লোকাল বাস থেকে শুরু করে ট্রাক্সি ড্রাইভার - ৪/৫শ টাকায় বাগিয়ে নিতে পারে দুইনম্বরী লাইসেন্স। এসব লাইসেন্সধারীদের নাই ন্যুনতম ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কিত জ্ঞান অথবা চর্চা।
এসব দেখবে কে?
পুরাতন গাড়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ী চলছে চোখের সামনে। ব্রেক ফেল করে উঠে যাচ্ছে ফুটপথে, উল্টে যাচ্ছে, বসে যাচ্ছে মাঝসড়কে - কে দেখবে?
আমাদের কাজ করে খেতে হয়। প্রতিদিন সড়কে নামতে হয়, বাসে চড়তে হয়। যাদের বক্তৃতা করে রাজনীতির ময়দানে সময় কাটে, তাদের যানবাহন যায় রাজকীয় ভঙ্গিতে। আগে পড়ে সিগনাল ব্লক করে, এসি-পাজোরোতে, পুলিশি প্রোটোকলে।
তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ভীতি নাই। কিন্তু আমাদের জন্য এই সাক্ষাৎ জাহান্নামের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধীদলীয় নেত্রী কি স্রেফ শোক জ্ঞাপন করে নিস্তার পেয়ে যাবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।