বাধা পেলেই সৃষ্টি হয় গণজোয়ার।
টাইম ম্যাগাজিন একটি লিস্টি প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের নিয়ে এমন একটি খবর হুজুগে বাঙ্গালী যেমন জেনেছে তেমনি হুজুগে বাঙ্গালীর সাংবাদিকরাও এটা নিয়ে বিরাট বিরাট খবর আজকে পত্রিকায় দিয়েছে। আবার আমাদের একদল আবাল উতিউৎসাহী দলবাজ সাংবাদিকরাও মনে হয় পুরা লেখা না পড়ে এটাকে বিশ্বের প্রভাবশালী মহিলার তালিকা বলে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার মাথায় প্রশ্ন এল, এটা যদিই বিশ্বের প্রভানশালি মহিলার তালিকা হয়, তাহলে হিলারি-সোনিয়া-অপেরাহ-মিশেল এনারা কোঁথায় গেল!!!!
প্রশ্নের উত্তর জানতে আজকে টাইমের মুল খবর পড়লাম। পড়ে আমার চোখ ছানাবড়া না শুধু মেজাজটাই আউলিয়ে গেল।
মেজাজ আউলানোর ১ নাম্বার কারন সেখানে লেখা হয়েছে এটা হল এই মুহুর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায আছেন এমন ১২ জন নারীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন। আর আমাদের আবাল সাংবাদিকগুলা শিরোনাম কড়ে দিয়েচে এটা বিশ্বের প্রভাবশালী নারীর লিস্ট। আর আওয়ামী লীগ-এর কর্মীরা শেখ হাসিনার নাম দেখে মহা আনন্দে নাচতে লাগলো। তারা মনে করলো এটিও শেখ হাসিনার একটি অর্জন। কি হাস্যকর বিষয়।
২ নাম্বার কারন এই প্রতিবেদনে দেয়া শেখ হাসিনার জীবনীতে লেখা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে নৃশংস হামলায় শেখ হাসিনার ছেলে, ভাই ও বাবাসহ ১৭ জন মারা গেছেন। কি অদ্ভুত আর ভয়াবহ ব্যাপার। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ছেলে মারা গেলো কিভাবে? তাহলে কি সজিব ওয়াজেদ জয়ের আরেক ভাই ছিল? নাকি সজিব জয় নিজেই সেদিন মারা গিয়েছিল??
আমরা যে হুজুগে বাঙ্গালী তা এটার মাধ্যমে আবার প্রমানিত হল। সাথে সাথে আরেকবার প্রমানিত হল আমাদের সাংবাদিকরা ঘাস খায়। এদের কোন কোয়ালিটি নাই।
এরা দলাদলি করতে করতে এদের সব হারিয়ে ফেলেছে। থু।
বিস্তারিত & মুল লেখা সুত্র-- View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।