সুমন ভাই আমাদের কলিগ নোয়াখালীর ছেলে কিন্তু নোয়াখালীর যে বদনাম আছে তার বিন্দুমাত্র তার মধ্যে নেই। রোজার শুরুতেই বললেন সবাই মিলে একদিন এসাথে ইফতারী করা্র জন্য, সাথে সাপোর্ট দিলেন শামীমা ম্যাডাম। সব ঠিক ঠাক আমরা ইফতারী করব ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। কিন্তু সমস্যা হল, চাকবাজার থেকে কিনে আনা ইফতারীতো ঠান্ডা হয়ে যাবে! সমাধানে এগিয়ে আসলেন আমাদের সবার অতিপ্রিয় চমন ম্যাডাম, উনি বললেন সবাই মিলে উনার বাসায় চলে যেতে, আর এক বাক্য সবাই রাজী হয়ে গেল। প্রোগ্রামের দিন যথারীতি মেন্যু নিয়ে ঝামেলা, সে বলে এইটা ত ও বলে ওইটা এই আর কী।
সর্বসম্মতিক্রমে স্থির হল যারা চকে যাবে তারা তাদের পছন্দ মত খাবার কিনে নিয়ে আসবে, আর এই মহান গুরু দায়ীত্ত (!!!!!!!!!) পরল আমার আর বাপ্পী স্যারের উপর। পুরোনো ঢাকার নাজিরা বাজার বা নাজিমুদ্দিন রোডের খাবারের ব্যপারে আমার যেমন প্রচুর অভিজ্ঞতা ঠিক তার বিপরীত হচ্ছে চকবাজার এর ইফতারীর, কারন আগে কখন কিনতে যাইনি।
যা-হোক আল্লাহ্র নাম নিয়ে রওনা হলাম এবং প্রথম বিপত্তি ঘটল কলেজের একটু সামনেই, কলেজ স্ট্রিটের মত ব্যাস্ত রাস্তায় রিক্সার চাকা ভেঙ্গে রাস্তায় মাত্র দুইটা ডিগবাজি দিলেন বাপ্পী স্যার পরম করুনাময় এর রহমতে আর কিছুই হয় নাই।
চকবাজার পৌঁছায়ে আরও বিপত্তি কোনটা রেখে কোনটা নেই??????????????????? অতপর বাপ্পী স্যার গুরু দায়ীত্তটা নিয়ে আমাকে রেহাই দিলেন। চিকেন সাসলিক দিয়ে শুরু, সুতা কাবাক, কোয়েল ফ্রাই, জালি কাবাক, শামি কাবাব, শাহি জিলাপি, পাকোড়া, ছোলা বুট, ঘুঘনি, চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, বড়-বাপের পোলা ছাড়াও আরও কি সব কিনলেন শুধু স্যারই জানেন, আর সব শেষে হালিম।
প্রচুর কেনাকাটা শেষে অনেক কষ্টে রিক্সা ম্যানেজ করে রওনা হলাম জিগাতলার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষন পর পলাশ স্যার জানালেন উনি জেলখানায় আর আমরা কোথায়? আর কোনো বাধা আসে নাই। বাসায় গিয়ে সবাই মিলে ভালো হৈ হুল্লোর করে সময় পার করলাম। আসল মজা টের পেলাম ইফতার করতে বসে..............................। যার স্বাদ সুধুমাত্র উপস্থিত মানুষগুলো ছাড়া আর কারও পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় বা কাউকেই বুঝানোও সম্ভব নয়........................... পরদিন জানতে পারলাম অনেকেই নাকি রাতে ঘুমাতে পারে নাই, কেউ কেউ আবার স্যালাইন খেয়েছেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।