আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন জ্ঞানের অভাবে ..প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিক লাপাত্তা

দীর্ঘ ১ বছর প্রেমের পর যৌন জ্ঞানের অভাবে ৫ মাসের গর্ভধারণ করা জ্যোৎস্না বেগম (২৫)-কে রেখে উধাও তার প্রেমিক মো. সুমন (২৮)। জ্যোৎস্নার এজাহারের উল্লেখ, গত ১ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হকের বাসায় কাজ করার সময় সুমনের (২৮) সাথে পরিচয় হয় জ্যোৎস্নার। সুমন পাশেই কালাচাঁন ব্রাদার্সের দোকানে চট সেলাইয়ের কাজ করত। তার বাবা হাবিব কসাই। ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের লাল মিয়ার চরে তার বাড়ি।

৫-৬ মাস আগে জ্যোৎস্নার বাসার মালিকের অনুপস্থিতিতে সুমন বাসায় আসে এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর জ্যোৎস্না অসুস্থ অনুভব করলে স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার তাকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। জ্যোৎস্না তার প্রেমিক সুমনকে বিশ্বাস করত বলে বিষয়টি সুমনকে জানায়। কিন্তু প্রতারক সুমন এ কথা শুনেই চম্পট দেয়।

জ্যোৎস্নার সাথে যোগাযোগ করে না আর। এমনকি নিজের কাজও ছেড়ে দেয় বলে জ্যোৎস্না জানতে পারে। তাকে খুঁজে না পেয়ে জ্যোৎস্না ওই দোকানের অন্য দু’জন কর্মচারী মোশাররফ ও আব্দুল হোসেনকে জানায়। কিন্তু তারা কেউই খোঁজাখুঁজি করে সুমনকে না পেলে বাধ্য হয়ে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করে জ্যোৎস্না। মামলা নং-২৩, তারিখ : ২১-০৭-১১ইং।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নূর মোহাম্মদ বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। ডাক্তারি পরীক্ষাও শেষ হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আসামিকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তাকে পেলেই মেয়েটির সাথে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জ্যোৎস্নার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে এখন নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার জেলখানায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কোর্ট থেকে অর্ডার হয়েছে তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য। কয়েকদিন পরই তাকে ওখানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সুমনকে পাওয়া না গেলে জ্যোৎস্নাকে কী করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা বলতে পারব না। এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তর বলতে পারবে। তবে সন্তান হওয়া পর্যন্ত তার নিরাপত্তার দায়িত্ব তারা নিবেন। আর আসামি সুমনকে পাওয়া না গেলে তাকে ব্ল্যাকলিস্টে রাখা হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।