আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ টাকা কেজি চাউল খাইতে চাইলে এবং ভারতেকে ফ্রি সেবা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকায় ভোট দিনঃ হাসিনা

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তায়নে বিশ্বাসীদের কাছ থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওরা ক্ষমতায় এলে মা-বোনদের নির্যাতন করবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করবে। Click This Link নৌকা মার্কায় ভোট দিব, দশ টাকা কেজি চাল খাব। http://www.youtube.com/watch?v=k2nPkR0z784 ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে এভাবেই জোর গলায় হাসিনা শ্লোগান দিয়েছিল।

কিন্তু এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে হাসিনা এটা বেমালুম অস্বীকার করে; http://www.youtube.com/watch?v=72xI8LuEo40 হাসিনা বলে যে এটা নাকি ১৯৯৬ এর শ্লোগান। অথচ তখন বিএনপি আমলে চালের কেজি ছিল ৮ টাকা মোটেও ২০ টাকা না। সর্বপরি আওয়ামী তোতা পাখী মোজাম্মেল বাবুর স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল STV USও ছিল না। এরপর ২০০৮ এর নির্বাচনে হাসিনা আরো গলাবাজি করে যে তথাকথিত আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটির মাধ্যমে শুধু ভারত নয় এর সাথে নেপাল, ভুটান এমনকি চীনকে যূক্ত করে ট্রানজিট বাণিজ্য চালু করবে। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর চীনতো দূরে থাকুক এখন পর্যন্ত নেপাল ও ভুটানকেও অন্তর্ভূক্ত করার জন্য কোন চুক্তি করেনি ভারত।

কেবলই আশ্বাস যেখানে ভারত উজানের নদ-নদীর প্রাকৃতিক পানির ন্যায্য অংশ শুস্ক মৌসুমে দিতে নারাজ। সেই ১৯৯৬ সালে হাসিনা সংসদে বিরোধী দল বিএনপি, জামাতকে তো দূর নিজ ক্ষমতার সহযোগী দল জাপার সংসদ সদস্যদের শত দাবী সত্ত্বেও কোন কিছু না জানিয়ে ভারতের সাথে প্রতারণামূলক ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি করে হাসিনার সে কি গলাবাজি যে তারা নাকি পর্যাপ্ত তথা ৩৫ হাজার কিউসেক পানি শুস্ক মৌসুমে আনতে সমর্থ্য হয়েছে। অথচ নিরপেক্ষ কোন পানি বিশেষজ্ঞই এর বাস্তবতা খুজে পায়নি বরং ১৯৯৭ শুস্ক মৌসুমের চেয়ে ১৯৯৬ সালেই চুক্তি বিহীন ভাবেই বেশী পানি প্রাপ্তি ছিল। কিন্তু হাসিনা গং এ সব কথা শুনলেতো বরং কিভাবে ভারতের মনযুগিয়ে চলবে সেই চিন্তায় মশগুল।

পরে ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি জোট সরকারের আমলে ভারত পর্যন্ত কৌশলগত ভাবে স্বীকার গেছে বাংলাদেশ পানি পায় না। ভারতের তথা তৎকালীন হাইকমিশনার মিজ বিনা সিক্রির দাবী যে বাংলাদেশ নাকি পানি ধরে রাখতে পারে না; Indian High Commissioner Veena Sikri said the JRC mandated dialogue has been active since 2003 and the problem of Bangladesh's water resources was its mismanagement. Hafiz Uddin BB and Veena Sikri contradict over water sharing of common rivers Click This Link বিএনপির তরফ থেকে বার বার এই ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি গ্যারান্টি ক্লজ সহ প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার তাগিদ দিলেও দিল্লীর একই কথা যে তোমরা বর্ষা কালে পানি ধরে রাখার রিজার্ভার বানাও। এরপর এই মেয়াদে হাসিনার নিযূক্ত দিল্লীস্থ বাংলাদেশী হাইকমিশনার তারেক করিমও সেই বিনা সিক্রির সুরেই স্বীকার করেন যে পানি ধরে না রাখতে পারার ব্যার্থতা; Bangladesh, India, Bhutan and back to back Bangladesh, India and Nepal because these are two separate basins we don't link them up and at some point of time the linkage will come because it's not just management we have changed the rhetoric from water sharing to water management. Click This Link এখন প্রশ্ন হলে ১৯৯৬ সালে হাসিনার ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি করে কি লাভ হল? এরপর তিস্তা নিয়া কত কিস্যা কাহিনী। ২০১১ সালের সেপ্টম্বরে ভারতীয় গণমাধ্যম যেখানে সাউথ ব্লকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় যে মনমোহনের ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হচ্ছে না সেখানে ছাগলী দিপু মণি বার বার বলে যে চুক্তি হবেই। এই বছর ২০১৩ সালে আলীগ সরকার ও তার চামচা মিডিয়া আবার তিস্তা নিয়ে কত লাফালাফি যে দিল্লী নাকি পশ্চিমবঙ্গের মমতাকে উপেক্ষা করেই পানি বন্টন চুক্তি করবে।

ভারতের কেন্দ্রের এক মন্ত্রী আসছেন সেই কি ঢাক ঢোল পেটানো। এই নিয়ে এক পত্রিকা বলে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজটা নাকি পশ্চিমবঙ্গের যে এলাকায় সেটার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হল কংগ্রেস পার্টির সদস্য তাই চুক্তি হবেই। হাম্বা ও এর চামচা মিডিয়াদের তোড়জোরে মনে হচ্ছিল মুরগীর ডিম ফোটার আগেই বাচ্চা হয়ে গেছে পরে কি দেখা গেল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অসুস্থতার জন্য আসছে না। ভারতের অব্যাহত প্রতারণায় এবং আম্লীগের দালালিতে নদী মাতৃক বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পরেই ২৪ হাজার কিমি নদী পথের ১৮ হাজার কিমিই হারিয়ে গেছে; Click This Link উপরোক্ত রিপোর্টে দেখা যায় ১৯৬৭ হতে ১৯৭৫ উভয় জরিপেই বাংলাদেশের মোট নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিমি যা বর্তমানে মাত্র ৬ হাজার কিমি। তো এই হইল হাসিনার ভারত হতে পানি আনার সাফল্য।

১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬এ বিএনপির কথা হল ভারত এক হাতে সুবিধা দিবে অন্য হাতে সুবিধা নিবে। ভারতের সাথে আমাদের চুক্তি হবে মর্যাদা ও ন্যায্য স্বার্থের ভিত্তিতে। কোনমতেই বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে এবং গোপন চুক্তিতে নয়। এগুলাই হল বাংলাদেশের বার্গেনিং পয়েন্ট ও ট্রাম্প কার্ড। তাই ভারত কোনদিনও বিএনপির সরকারে থাকাকে মোটেও পছন্দ করেনি।

সে নিজে তার মিডিয়া এবং বাংলাদেশে তার দালাল আওয়ামী-বাকশালী গংকে দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে সীমাহীন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করছে। কৃত্রিম জংগী জেএমবি সৃষ্টি করা সহ সারা বিশ্বে প্রোপাগান্ডা করে যে বাংলাদেশ এখন জঙ্গীবাদের আস্থানা। অথচ জেএমবি গঠিতই হয় ১৯৯৮ সালে এবং তাদের আস্থানা ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহে। জাতীয় স্বার্থে বার্গেনিং করা বিএনপিকে সহায়তা করাতো দূর হাসিনা ও তার আলীগ ভারতের স্বার্থে নোংরা রাজনীতির মাধ্যমে মিথ্যা অপবাদ দিতে থাকে। এরই ফলশ্রুতিতে ১/১১ ঘটে।

মূলত ভারতের তদবিরে পশ্চিমারা এটার পক্ষে কাজ করে। তাই ক্ষমতায় এসে হাসিনা এক বছরের মধ্যেই ২০১০ সালে দিল্লীতে গিয়ে ভারতের সাথে গোপন ট্রানজিট চুক্তি করে। এতদিন বলছিল যে এইবার সেই ১৯৭২ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির ভিত্তিতে নৌ-ট্রানজিট হতে বাংলাদেশ ভারতীয় নৌযান হতে টোল নিবে। শেষমেশ দেখা গেল কোন টোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে ভারতীয় নৌযান চলছে। এই প্রসঙ্গে হাসিনার মশিউরের কথা হইল "ভারত হতে ফি চাওয়া অসভ্যতা" মশিউর বার বার ভারতের দালালী করে ট্রানজিটের পক্ষে সাফাই গায়; Mashiur defends transit to India Click This Link এখন বাংলাদেশ ভারত থেকে টোল পাক বা না পাক বরং আমরা ভারতীয় নৌযান ও অন্যান্য যানবাহনকে রীতিমত ভর্তূকীতে জ্বালানি তেল সরবারাহ করছি; ফি না নিয়ে উল্টো ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ: দেবপ্রিয় Click This Link ভারতের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও হাসিনার সরকার রাজী করাতে পারে নাই যে সে টোল দিবে।

বরং আরো ভয়াবহ ব্যাপার হল যে সে আমাদের প্রতিষ্ঠিত আভ্যন্তরীন দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ও টেলিকম কোম্পানী সমূহ থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানী গুলোকে এখানে এন আমাদের ব্যাবসা খেয়ে ফেলতে চায় দিল্লী। হাসিনা গং এই বিষয়ে নির্বিকার। এত বৈরীতা, বৈষম্য এবং দালালী সত্ত্বেও এবার গোটা বাংলাদেশের অর্থনীতিটাকেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে হাসিনার সরকার। হাসিনার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলে যে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যতে বিনিময় হিসেবে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপীতে হওয়া উচিত; Muhith agrees to common trade currency Click This Link এখানে উদ্বেগজনক বিষয় হল; Though Muhith agreed to the at the meeting, he did not say anything about what be the currency will be. কারণ সার্কের জন্য এক মুদ্রা ব্যাবস্থার জন্য পাকিস্তানতো দূর নেপাল, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপও রাজী হয়নি। কারণ তারা চায় না যে তাদের ব্যাবসা-বাণিজ্য সহ গোটা অর্থনীতিটাই ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাক।

তাদের কোন আগ্রহ না থাকলেও হাসিনার সরকারের প্রবল আগ্রহ ডলার বাদ দিয়ে ভারতীয় রুপিতে লেনদেন করা। মুহিতও পুরোপুরি পরিস্কার করছে না যে আমাদের নিজস্ব মুদ্রা টাকার কি অবস্থা হবে! এই যখন অবস্থা তখন হাসিনা বিএনপি ও খালেদাকে কটাক্ষ করে বলে যে "তারা আসলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে"। আজকে দেশের বর্তমান অবস্থায় হাসিনার মহাজোট চুরি, র্দূনীতি-লুটপাট এবং জুলুম করে দেশকে যে অবস্থায় কোথায় নিয়ে গেছে তারচেয়ে বিএনপির আমল কেন এরশাদের আমলও শতগুণ ভাল ছিল। সাধারণ মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী তথা ভিক্ষা চাইনা কুত্তা সামলান অবস্থা। এর মধ্যেও হাসিনা যখন বিএনপিকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে সেটা নিয়ে বড়ই কৌতুক ও ভাড়ামু মনে হয়।

আমরা যেখানে বিগত ৪২ বছরে ভারত হতে এত দেনদরবার করে সাফল্য যেখানে সিংহভাগ ব্যার্থতা সেখানে দিল্লীর চাইতে দেড়ী কিন্তু আলীগ ও হাসিনা ক্ষমতায় আসলেই সেটা দিতে দেড়ী নাই। হাসিনা ও তার চামচা এবং কথিত সুশীল গং এখানে কেবল বিএনপিরই দোষ পায়। বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে ভারতের রাহুগ্রাসে ঠেলে দিলেও হাসিনার কোনই দোষ পায় না বা এই নিয়ে তেমন কিছু বলে না। চুড়ির উপর শিনাজুড়ি এই জ্ঞানপাপীদের কুঅভ্যাস বলেই হাসিনা আজকে অত্যন্ত দাম্ভিকতার সাথে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট চায়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।