জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ১০ বছর আগে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি বাড়ির অধিকার ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে ইতি টেনেছেন। সোমবার বিচারপতি মোঃ বজলুর রহমান ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চে আবেদন করে এ বিষয়ক রিট প্রত্যাহার করেছেন শেখ রেহানা। মামলার বিষয়বস্তুর কারণে নয়, বরং উৎসর্গ করার মানসিকতা থেকে রেহানা এ রিট আর চালাতে চান না বলে প্রত্যাহার আবেদনে বলা হয়েছে। আদালত শেখ রেহানার এ মানসিকতাকে উৎসাহিত করেন। সোমবার আদালতে শেখ রেহানার আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এবং সরকার পক্ষে ছিলেন ওই আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা আশেক মোমেন।
জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকার ২০০১ সালের ১১ জুলাই শেখ রেহানার নামে ধানমণ্ডির একটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়। পরবর্তী সময়ে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই আইন বাতিলের পাশাপাশি ওই বাড়ির বরাদ্দও বাতিল করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ পাস করা হয়। ওই আইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন এসএসএফ অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ অনুযায়ী ভিআইপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ওই আইন অনুযায়ী সরকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসন ব্যবস্থা করবে বলেও উল্লেখ রয়েছে।
বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ২৭ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে 'শেখ রেহানার নামে বরাদ্দকৃত বাড়ি আজ থেকে থানা' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দায়েরকৃত একটি রিটে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
গতকাল রিট প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, মামলার বিষয়বস্তুর কারণে নয়, বরং উৎসর্গ করার মানসিকতা থেকে শেখ রেহানা এ রিট আর চালাতে চান না। আদালত শেখ রেহানার এ মনোভাবকে উৎসাহিত করেন। আবেদনে আরও বলা হয়, শেখ রেহানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের কারণে তিনি গর্বিত।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বাবার রেখে যাওয়া সব সম্পত্তি দেশের জনগণের সেবায় দান করেছেন। টুঙ্গিপাড়ার বাড়িটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শেখ রেহানার ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে সরকার আইন অনুযায়ী তাকে একটি বাড়ি দিতে বাধ্য এবং এর আগে তার বাড়ি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটিও ছিল অবৈধ।
বাড়িটি বর্তমানে থানা হিসেবে জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে তিনি তার অধিকার ত্যাগ করতে চান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে তৎকালীন সরকার এরকম সুবিধা দিয়েছিল। গুলশানে একশ' এক টাকায় দেড় একর আয়তনের একটি বাড়ি কেনেন খালেদা জিয়া। সেনানিবাসে শহীদ মঈনুল সড়কে এক টাকায় ১৯৮১ সালের ৮ জুলাই আট বিঘা আয়তনের একটি বাড়িও ইজারা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। গত বছরের ১৩ জুলাই খালেদাকে ওই বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
http://www.shamokal.com/ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।