আমি এক কথায় স্বপ্নবাজ........স্বপ্ন দেখি সাইক্লোন হয়ে উড়িয়ে দেই ক্লেদ,পরতে চাই মহাকালের নবীনযোদ্ধার সাজ। কিছু বইএর গল্প করছি এখানে যেগুলো সারা পৃথিবী কাঁপিয়েছে অসাধারণ কাহিনীর কারণে। এখনো বইগুলোর সমকক্ষ হবার ধারে কাছে আসতে পারে আর কোনটি। কি এমন আছে বই গুলিতে????বিশ্বকাপানো রোমান্টিক বইগুলোই বা কোনগুলি??????আসুন দেখি......
বইয়ের নামঃ অউদারিং হাইটস।
লেখকঃ এমিলি ব্রন্টে।
কাহিনীঃ ১৮০২ এ অউদারিং হাইটস স্টেট এ কাহিনীর পটভূমি। কালোত্তীর্ণ এই ভালোবাসার উপন্যাসটি আপনাকে কখন যে চোখ দিয়ে পানি ঝরাবে টেরই পাবেন না!!!!
বইয়ের নামঃ আন্না কারেনিনা।
লেখকঃ লিউ তলস্তয়।
কাহিনীঃ রাশিয়ান সমাজের এক অসামান্য ভালবাসার উপন্যাস এটি। ভাই স্টিভা এর বিয়ে বাঁচাতে গিয়ে মস্কোতে সে প্রেমে পড়ে ভ্রন্সকির।
বিবাহিতা আন্না স্বামীকে পরিত্যাগ করে। অইদিকে তার ভালোবাসা ভ্রন্সকির সাথে শুরু হয় টানাপোড়েন। শেষে...............না,না। বলবো না!!!!!এত অসাধারণ একটি উপন্যাসের শেষ বলা ঠিক হবে না!!!!!
মজার ব্যাপারঃ ২০০৪ সালে বইটি বেস্টসেলার হয় অপরাহ উইনফ্রে তার প্রিয়তে নেয়ার পর!!!!
বইয়ের নামঃ রোমিও এন্ড জুলিয়েট।
লেখকঃ উইলিয়াম শেক্সপীয়ার।
কাহিনীঃ রোমিও জুলিয়েটের নাম শুনেন নি এমন কি কেউ আছেন????তৎকালীন শহরের দুই বিখ্যাত গোষ্ঠীর ছিল আক্ষরিক অর্থেই সাপে নেউলে সম্পর্ক। ঐ দুই পরিবারের দুই মধ্যমনি রোমিও মন্টাগু এবং জুলিয়েট কাপুলেট এর মর্মস্পর্শী ভালোবাসার ছোঁয়া যুগ যুগ ধরে মানুষ্কে আলোড়িত করে আসছে।
মজার ব্যাপারঃ জনপ্রিয় কম্পিউটার গেমস দ্যা সিমস ২ এ ঐ দুই কালোত্তীর্ণ চরিত্রকে দেখানো হয় একে অপরের প্রেমে পড়তে!!!!
বইয়ের নামঃ ক্যাসাব্লাঙ্কা।
লেখকের নামঃ জুলিয়াস এবং ফিলিপ ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের বন্ধু হাওয়ার্ড কোচ।
কাহিনীঃ ক্যাসাব্লাঙ্কা আসলে একটি নাট্য শো ছিল যা বিখ্যাত হয়েছিল হামফ্রে বোগার্ট ও ইনগ্রিড বার্গম্যান।
পরে লেখক ভ্রাতৃদ্বয় স্ক্রিপ্ট কে পৃথিবীর অন্যতম সেরা একটি রোমান্টিক উপন্যাসে রুপান্তরিত করে। গল্পে আমেরিকান রিক একটি জুয়ার ক্লাবের মালিক থাকে। ক্লাবটি ছিল মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কা নামক শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার সাথে তার প্রেমিকা ইলসা এর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর যখন ইলসা আবার ফিরে আসে তখন সে......... না আর বলা ঠিক হবে না!!!!!!!!পড়ুন আসাধারন এই উপন্যাসটি।
মজার ব্যাপারঃ ক্যাসাব্লাঙ্কার একটি লাইন “Here's looking at you, kid” পৃথিবীর সর্বকালের ৫ম সেরা ডায়ালগ হিসেবে রেকর্ডবুকে স্থান করে নেয়।
বইয়ের নামঃ মিডসামার নাইট’স ড্রিম।
লেখকঃ উইলিয়াম শেক্সপীয়ার।
কাহিনীঃ এটি এথেন্সের একটি রোমান্টিক কমেডি। ডিউক থেসিয়াস একটি বিশাল আয়োজন করে বিবাহ উপলক্ষে।
তার মেয়ে হারমিয়া বাবার পছন্দ ছেলেকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে সে তার ভালোবাসার মানুষ লাইসান্ডার এর হাত ধরে বেড়িয়ে পরে। এরপর তাদের সাথে দেখা হয় কয়েকজন দেবীর। এরপর নানা ধরনের ঘটনার পরে শেষ পর্যন্ত.........সমাপ্তি বলাটা কি ঠিক হবে???
মজার ব্যাপারঃ ১৯৮৯ এর ব্লকবাস্টার হিট ছবি ডেড পোয়েটস সোসাইটি এর নিল পেরি চরিত্রটি নেয়া হয় এই বই থেকে।
বইয়ের নামঃ ডক্টর জিভাগো।
লেখকঃ বরিস প্যাস্টেরনাক।
কাহিনীঃ নোবেল বিজয়ী এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইউরি জিভাগো হল ১৯১৭ এর রাশিয়া বিপ্লবের সময়কালীন একজন ডাক্তার। অসাধারন সুন্দরী তনয়া এর সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর নার্স লারার প্রেমে পরে যায় সে। এরপর ত্রিভুজ প্রেমের এক অসাধারন কাহিনী এগোতে থাকে।
পরিণতি????বইটি না পড়লে জাস্ট মিস করবেন।
মজার ব্যাপারঃ ডক্টর জিভাগো গল্পের প্রথম চলচ্চিত্ররূপ ১৯৫৯ সালে ব্রাজিলে মুক্তি পায়।
ধন্যবাদ। কেমন লাগল???জলদি পড়ে ফেলুন বইগুলি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।